• বয়সে রেকর্ড ৩৬ বছরের মিসির। বিস্তারিত...
|
• পোড়ো পিয়ার্সফিল্ডে ধুঁকছে ওয়ার্ডসওয়ার্থের স্মৃতি। বিস্তারিত...
|
• ড্রেজিংয়ে, দূষণে বিপন্ন মাছ-শুশুক থেকে শঙ্খচিলও। বিস্তারিত...
|
• বিপন্ন প্রজাতির আমুর বাজ রক্ষায় সক্রিয় নাগা গ্রামবাসীরা। বিস্তারিত...
|
• নন্দনকাননের অনুসরণে এ বার টাইগার-সাফারি ত্রিপুরাতেও। বিস্তারিত...
|
• প্রায় ৩০০ বছরের স্মৃতি খুঁড়ে বন-শহিদের স্বীকৃতি পেল ১১ সেপ্টম্বর। বিস্তারিত...
|
• চেহারায় রাকুন, শুধু মুখটুকু যেন টেডি বিয়ার। দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিঅরণ্যে সন্ধান মিলল নয়া প্রাণীর। বিস্তারিত...
|
• লিভারপুল স্ট্রিট স্টেশন। লন্ডন শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। আর এই স্টেশনের নীচেই মিলল প্রাচীন কবরখানা! বিস্তারিত...
|
• ৪০ লক্ষ বছরের বরফ-চাদরে লুকিয়ে খাত। গ্রিনল্যান্ডে বিশ্ব উষ্ণায়নের গবেষণা চলাকালীন উঠে এল এক নতুন তথ্য। বিস্তারিত...
|
• নীল রঙের একটি নেহরু জ্যাকেট ছিল জন লেননের সংগ্রহে। সেই জ্যাকেটই ৭০০০ পাউন্ডে বিক্রি হল একটি নিলামে। লেননের বাড়ি থেকেই মিলেছে ওই জ্যাকেটটি। বিটলসের ভক্ত এক মহিলা সেটি কিনেছেন।
|
• রাস্তা তৈরির সময় মাটি খুঁড়ে মিলল পোড়ামাটির নৌকা, নরকাসুর পাহাড় সংলগ্ন টিয়ানগর এলাকায়। অসমের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধিকর্তা দ্বীপরেখা কৌলি জানান, সপ্তম থেকে দশম শতাব্দীতে ওই রকম নৌকায় মৃত ব্যক্তির অস্থি সমাধিস্থ করা হত।
|
• অরুণাচলের ঈগল নেস্ট অভয়ারণ্যে হবে ‘পাখি উৎসব’। সম্প্রতি এ কথা ঘোষণা করেছে সে রাজ্যের বন দফতর। জানা-অজানা পাখির খোঁজে ওই অভয়ারণ্যে সারা বছরই ভিড় জমান দেশ-বিদেশের পাখি-প্রেমিকরা। সেই অরণ্যে হরেক রকম প্রজাপতিরও দেখা মেলে। বন দফতরের আশা, পশ্চিম কামেং জেলার ওই অভয়ারণ্যে ‘পাখি উৎসবে’ আসবেন অনেক পর্যটকই। প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘ঈগল নেস্ট’-এ ধনেশ, হেরন, কালো সারস, বাজ, ঈগল, ট্রাগোপান, পেঁচা, কোয়েল-সহ প্রায় ৪৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। রয়েছে ১৬৫ রকমের প্রজাপতি। তা ছাড়া, জঙ্গলে দেখা মিলবে রেড পান্ডা, বাঘ, ভালুক, উল্লুকেরও।
|
• পটশিল্পে প্রসিদ্ধ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নয়া গ্রামকে ‘মডেল’ করে সেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটক টানতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। পিংলা ব্লকের নয়া গ্রামে ৬৫টি পরিবারের বসবাস। তাঁরা সকলেই পট তৈরির সঙ্গে যুক্ত। আর তার টানেই দেশ-বিদেশের বহু মানুষ এই গ্রামে আসেন। পর্যটন দফতরের অর্থানুকূল্যে এ বার গ্রামটিকেই আগাগোড়া বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। যেমন হয়েছিল কেরালার কোঝিকোড়ের সারগালাইয়া বা ওড়িশার রঘুরাজপুরে। কী ভাবে হবে উন্নয়ন? অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুমন ঘোষ বলেন, “সরকারি খরচে নয়া গ্রামের প্রতিটি বাড়ি একই ধাঁচে তৈরি করা হবে। আদ্যন্ত সংস্কার করা হবে পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থার।” পাশাপাশি, রাস্তা ও নিকাশিনালা তৈরি করা হবে। গ্রামের পুকুর, বাগান সাজিয়ে তোলা হবে। গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তায় থাকবে একটি বড় গেট। শুধু তাই নয়, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের থাকার জন্য আলাদা একটি কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকবে। তৈরি করা হবে একটি মিউজিয়ামও। এক কথায়, গ্রামটিকে ছবির মতো সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।
|
• পাঁপড়, জিলিপি বা নাগরদোলার দেখা মেলা ভার। তবু মানুষের ভিড়ে খামতি নেই। ফি বছর এমন দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের ভান্ডারটিকুরির বাসিন্দারা। প্রতি বছর শ্রাবণ সংক্রান্তিতে ব্রহ্মাণী দেবীর পুজো উপলক্ষে মেলা বসে এখানে। গাছের কেনাবেচাই হচ্ছে মেলার বিশেষত্ব। তাই এই মেলা গাছমেলা নামে পরিচিত। আম, জাম, কাঁঠাল, নারকেল, বাতাবি লেবু, পেয়ারা, কুল-সহ নানা ফলের চারা নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। মেলে গাঁদা, রজনীগন্ধা, জুঁই, গোলাপ-সহ নানা ফুলের চারাও। গত তিন দশক ধরে কাঠের তৈরি নানা জিনিসও বসছে মেলায়। জাহান্নগর কুমারানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চেয়ার, টেবিল, দোলনা-সহ কাঠের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে মেলায় আসেন ব্যবসায়ীরা। পূর্ব রেলের ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে ভান্ডারটিকুরি স্টেশন থেকে কিছুটা এগোলেই ব্রহ্মাণী দেবীর মন্দির। কথিত রয়েছে, চাঁদ সদাগর এই মন্দিরেই মনসার উদ্দেশে পুজোর ফুল নিবেদন করেছিলেন। এলাকাবাসীর কারও দাবি, পুজোর বয়স দু’শো। কারও মতে তিনশো। কেউ বলেন আবার পাঁচশো বছর!
|
• দেশের স্বাধীনতার পূণ্যলগ্নের অন্যতম সাক্ষী রাঁচির পাহাড়ি মন্দির। আসল নাম ফাঁসিটোংড়ি। ঝাড়খণ্ডের সরকারি নথি অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার দিন রাত বারোটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়েছিল দিল্লির কাউন্সিল হাউসে। একই সময় জাতীয় পতাকা তোলা হয় রাঁচির ফাঁসি টোংড়ির চূড়ায়। ফাঁসিটোংড়িই পরবর্তী কালে হয়ে যায় পাহাড়ি মন্দির। ১৬ অগস্ট সকালে ফাঁসিটোংড়িতে ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী। প্রশাসনিক তথ্য জানাচ্ছে, খাদির কাপড়ে পাতার রস ঘষে সবুজ আর কমলা লেবুর খোসায় সিঁদুর, কেশর মিশিয়ে গেরুয়া রং করে তৈরি হয়েছিল তেরঙ্গা। তার পর ওই পতাকা ওঠে পাহাড়ি মন্দিরের শীর্ষে। ২০০ ফুট উঁচু ওই পাহাড়কে আদিবাসী ভাষায় ফাঁসিটোংড়ি বলা হত। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই পাহাড়ের গাছে অনেক বিপ্লবীর ফাঁসি হয়েছিল। পাহাড়ি মন্দির বিকাশ সমিতির দাবি, মন্দিরে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তোলা হয়। মানুষ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, সরকারি দফতরের মতোই প্রতিদিন পাহাড়ি মন্দিরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হোক।
|
• কাঁকসার ঘন জঙ্গলের মাঝে অজয় নদের ধার ঘেঁষে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে একটি উঁচু মন্দির। ‘ইছাই ঘোষের দেউল’ হিসাবে সেটি পরিচিত। প্রচলিত কাহিনি বলে, গৌড়ের রাজা তখন দেবপাল। আর কাঁকসার জঙ্গল ঘেরা ত্রিষষ্টিগড়ের সামন্তরাজা কর্ণসেন। তাঁর আশ্রিত সোম ঘোষের পুত্র ইছাই ঘোষ ত্রিষষ্টিগড়ের মধ্যেই আলাদা ঢেকুরগড় স্থাপন করে নিজেকে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করেন। যুদ্ধ বাধে কর্ণসেনের সঙ্গে। কর্ণসেন হেরে যান। জয়ের নিশান হিসাবে ইছাই ঘোষ গড়ে তোলেন এক সুউচ্চ শিখর দেউল। ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণের মতে, দেউলটি গড়ে তোলা হয়েছিল মধ্যযুগের শেষ দিকে। দেউল ও সংলগ্ন ৮১ একর জায়গা নিয়ে নব্বই দশকের শুরুর দিকে জেলা পরিষদ সেখানে গড়ে তোলে ‘দেউল পার্ক’। পার্ক পরিচালনার দায়িত্বে ছিল স্থানীয় বনকাটি পঞ্চায়েত। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকায় লোকজনের তেমন আনাগোনা ছিল না।
২০০৬ সালে পঞ্চায়েত পার্কটি ৩০ বছরের জন্য ‘লিজ’ দেয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে। গড়ে তোলা হয় রিসর্ট, কনফারেন্স রুম, লেক, আর্ন্তজাতিক মানের গোলাপ বাগিচা, মুক্ত মঞ্চ। শুরু হয় মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি-পশুপালন, ডেয়ারি শিল্প। লাগানো হয় বিরল প্রজাতির বিভিন্ন গাছ। বদলে যাওয়া নতুন পার্কে বাড়তে থাকে ভিড়। কিন্তু সেই দেউলের দিকেই কারও নজর নেই। জন্মেছে আগাছার ঝাড়। আগাছায় জমে থাকা বৃষ্টির জলে ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
|
• জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির মনসা পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে এই শহরের ঐতিহ্য। প্রচলিত ধারণা, রাজা শিষ্য সিংহ ১৯১৫ সালে রাজ্য প্রতিষ্ঠার সময় থেকে রাজবাড়িতে মনসাপুজো শুরু করেন। সেই সময় রাজবাড়ির মনসাপুজো হত রীতিমতো জাঁকজমক করে। এক মাস আগে বিভিন্ন মহলে প্রজাদের কাছে পেয়াদা পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হত পুজোর উপকরণ পাঠানোর। সে নির্দেশ পালিতও হত। প্রজারা উপস্থিত থাকতেন পুজোতে। পুজোর উপকরণকে বলা হত বেদামি। বলিদান প্রথা চালু ছিল। পুজোর তিন দিন রাজবাড়ি চত্বরে মেলা বসত। পুজো শেষে কলার ভেলায় প্রতিমা চাপিয়ে বিসর্জন দেওয়া হত রাজবাড়ির পুকুরে। পুজোর কাজ এবং প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলত বংশপরম্পরা ধরে। সে সময় বিশেষ ট্রেন চলত হলদিবাড়ি থেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে রাজবাড়ির পুজোও। এখন পুজোর জন্য রয়েছে আলাদা জায়গা। উপকরণ জোগাড় করেন রাজবাড়ির লোক। জরুৎকারু মুনির ডান দিকে থাকেন পদ্মা। বাঁ দিকে গৌরবর্ণা নেতা। বড় মনসা হিসেবে পুজো করা হয় নেতাকে। পদ্মাকে পুজো করা হয় ছোট মনসা হিসেবে। এখন শুধু পুজোর প্রথম দিনে বলি দেওয়া হয় পাঁঠা, আখ, হাঁস বা পায়রা। পুজোয় এখনও মেলা বসে। সে মেলায় আসেন প্রচুর মানুষ। রাজবাড়ির মনসাপুজো আর মেলা যেন চুপিসারে শোনায় ভুলে যাওয়া এক ইতিহাস। সেই ইতিহাস বদলে যাওয়া সময়ের।
|
• পবিতরা অভয়ারণ্যে খোঁজ মিলল ‘স্লো লরিস’-এর। ধীরগতিতে নিঃশব্দে চলাফেরা করে বলে বিরল ওই প্রাণীটির এমনই নাম। তবে, এক কামড়ে বিষ ঢালতে পারে প্রাণীটি। সর্বভূক স্লো-লরিস জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটায় কোনও গাছেই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৮ প্রজাতির লরিস পাওয়া যায়। চিন-সহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে চোরাশিকারিদের দাপটে ক্রমশ কমছে ‘বিপন্ন’ প্রাণীর তালিকাভুক্ত ‘স্লো-লরিস’-এর সংখ্যা । চিনাদের বিশ্বাস, অশুভ আত্মার দমন, রোগ নিরাময়, ক্ষমতা-বৃদ্ধি হয় স্লো-লরিসের প্রত্যঙ্গ থেকে তৈরি ওষুধে। বিষদাঁত ভেঙে ওই প্রাণীকে পোষ্য করা হয় জাপানে।
|
• বোয়িং ৭৩৭ বা এয়ারবাস ৩১০ নয়, এ বার থেকে ছোট এটিআর-ই চলবে ঢাকা আর কলকাতার মধ্যে, জানাল বাংলাদেশের সরকারি উড়ান সংস্থা বিমান। বিমানের কলকাতার রিজিওনাল ম্যানেজার মহম্মদ আলাউদ্দিন জানান, এটিআর-এ যাত্রী ধরে মাত্র ৪৪ জন। এখন দিনে একটি উড়ান চলে কলকাতা-ঢাকা রুটে। এ বার থেকে দিনে দু’টি এটিআর যাতায়াত করবে এই রুটে।
প্রধানত যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, এখন সপ্তাহে পাঁচ দিন কলকাতা-ঢাকা রুটে একটি করে উড়ান চলছে। তাঁর কথায়, “বড় বিমানের আসন অর্ধেকও ভরছে না, অথচ জ্বালানি খরচ বেশি। আবার কলকাতায় এ ধরনের বিমানের ল্যান্ডিং ও পার্কিং ফি-ও সম্প্রতি অনেকটা বাড়ানো হয়েছে।” তাঁর দাবি, গত এক বছরে প্রতিটি উড়ানে যাত্রী ছিলেন গড়ে ১০০-রও কম। এই অবস্থায় প্রতিদিন দু’টি ছোট এটিআর চালালে সর্বোচ্চ ৮৮ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ছোট বিমানে জ্বালানি খরচ কম, কলকাতায় ল্যান্ডিং-পার্কিং ফি-ও কম হবে। যাত্রীরা সকাল ও বিকেলে যাওয়ার বিকল্পও পেতে পারেন।
|
• গুয়াহাটির নরকাসুর পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হওয়া পোড়ামাটির নৌকার নির্মাণকাল জানতে ‘রেডিওকার্বন ডেটিং’-এ পাঠানো হচ্ছে। ১৩ অগস্ট শহরের নরকাসুর পাহাড়-সংলগ্ন টিয়ানগর হাইস্কুলের সামনে রাস্তা তৈরির জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে নৌকাটির সন্ধান মিলেছিল। রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে খননকাজ চালিয়ে সেটি উদ্ধার করেন। ওই বিভাগের অধিকর্তা দ্বীপরেখা কৌলির মতে, সপ্তম থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যে ওই রকম নৌকায় অস্থি রেখে সমাধিস্থ করার প্রচলন ছিল।
|
• পরিকল্পনা বহু দিনের। এ বার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এ বার থেকে রাতেও বিমান ওঠানামা করবে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে। ১ অক্টোবর থেকে রাতের এই উড়ান চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্পাইসজেট। এই মর্মে তারা চিঠি দিয়েছে বিমান পরিবহনের নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে। বাগডোগরা বিমানবন্দরটি কার্যত বায়ুসেনার অধীনে। বায়ুসেনার অনুমতিক্রমেই সেখানে যাত্রী বিমান ওঠানামা করে। সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে যাত্রী বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা ছিল এতদিন। পাশাপাশি, রাতে বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা ছিল বায়ুসেনার কর্মীর অভাব। সম্প্রতি কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে রাতে বিমান ওঠানামার সুযোগ করে দিতে বায়ুসেনা রাজি হয়েছে। স্পাইস সূত্রের খবর, ১ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁরা অতিরিক্ত একটি উড়ান চালাবে। এই উড়ানটিকে নিয়ে আসা হবে মুম্বই থেকে। সাড়ে পাঁচটায় মুম্বই থেকে কলকাতায় নেমে সেটি সন্ধ্যা ছ’টায় রওনা হবে বাগডোগরায়। সেখানে সন্ধ্যা সাতটায় নামবে। আবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সেখান থেকে রওনা হয়ে রাত সাড়ে আটটায় বিমানটি কলকাতায় ফিরবে। ১ অক্টোবর থেকে কলকাতা-বাগডোগরা রুটে সকালে একটি উড়ান চালাবে স্পাইস। এই রুটে এটি স্পাইসের তৃতীয় উড়ান। বিমানটি সকালে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় এসে যাবে বাগডোগরায়।
|
• দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুন থেকে রেহাই পায়নি বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের ‘সানফ্লাওয়ার পেন্টিং’। কিন্তু আশার কথা, পুড়ে যাওয়ার আগে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল ভ্যান গঘের সেই সৃষ্টিকে। প্রায় ৬৮ বছর পর সেই দুর্লভ ফোটোর সন্ধান মিলল। জাপানের জাদুঘরে সম্প্রতি উন্মোচন করা হয় ছবিটিকে। ব্রিটেনের এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, ছবিটির গাঢ় নীল পটভূমিতে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী ফুল দিয়ে সাজানো ফুলদানি। ১৮৮৮ সালে ছ’টি সূর্যমুখী ফুলের ছবি এঁকেছিলেন ওই বিখ্যাত ওলন্দাজ শিল্পী। জাপানের এক চিত্রসংগ্রাহক সেটি কিনে নেন। ১৯২০ সাল নাগাদ সেটি পাড়ি দেয় জাপানে। আর ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কোনও ভাবে ছবিটিতে আগুন লেগে যায়। এত দিন পর সেটির ক্যামেরাবন্দি রূপটি সামনে নিয়ে আসার সিংহভাগ কৃতিত্ব অবশ্য ভ্যান গঘ বিশেষজ্ঞ মার্টিন বেইলির।
|
• চৈতন্যজন্মভূমি তথা বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপে পর্যটকের ভিড় বারো মাসই। অথচ পর্যটকের তুলনায় থাকার বন্দোবস্ত এখানে নিতান্তই অপ্রতুল। ভাল হোটেল বা সরকারি অতিথিশালা নেই। ভরসা কেবল বিভিন্ন মঠ- মন্দিরের অতিথি নিবাস ও মাঝারি মানের কিছু হোটেল। সেই অভাব মেটাতে নবদ্বীপে একটি ত্রিতল অতিথিশালা তৈরি করছে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। নবদ্বীপের গঙ্গাতীরে ফাঁসিতলা অঞ্চলে তিরিশ কাঠা জমির উপর বাগান-সহ অতিথিশালা নির্মাণ করা হচ্ছে। অতিথিশালার সঙ্গেই থাকছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল পরীক্ষার একটি ল্যাবরেটরি। এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কৃষ্ণনগর সদর বিভাগের সহকারী বাস্তুকার তাপসরঞ্জন বেরা বলেন, “তিন তলা ভবনের এক তলায় থাকছে জলের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দোতলা এবং তিন তলা মিলিয়ে আপাতত পাঁচটি ঘর, মিটিংরুম তৈরি হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে নতুন অতিথিশালা ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
|
• এ বার জলপথে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দ ট্যুরিস্ট সার্কিট’-এ দক্ষিণেশ্বরকে সংযুক্ত করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র জানান, উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রতিনিধিরা মন্দিরের শেষ প্রান্তে বালি ব্রিজের নীচের জায়গাটি পরিদর্শন করেন। সিদ্ধান্ত হয়, গঙ্গার এই অংশের নাব্যতা বেশি হওয়ায় সেখানেই জেটি তৈরি করা যেতে পারে। পাশাপাশি, সেতু থেকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে লঞ্চ ধরা যাবে। এখানেই রয়েছে দক্ষিণেশ্বরের নহবতখানা। এই নহবতখানায় শ্রীরামকৃষ্ণ প্রতি দিন ভোরে আসতেন। মদনবাবু বলেন, “বাড়িটি আর একটু সংস্কার করে, হেরিটেজ ঘোষণা করে, পুরনো দিনের মতো ভোরে সানাই বাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গঙ্গার পাড়ে গ্যাস বাতি লাগানো হবে। তাতে দক্ষিণেশ্বরের পুরনো পরিবেশ আরও বেশি মাত্রায় ফিরে পাবেন দর্শনার্থীরা।” লঞ্চ থেকে নেমে ওই বাড়ির পাশ দিয়ে দর্শনার্থীরা গঙ্গার পাড় ধরে হেঁটে মিনিট দুয়েকের মধ্যে মন্দিরে পৌঁছনো যাবে। সম্প্রতি বেলুড় মঠে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন জলপথে শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দ-র স্মৃতি বিজড়িত জায়গাকে এক সুতোয় বেঁধে দিতে হবে। সেই মতো ২৮ অগস্ট ‘এম ভি নটরাজ’ নামে একটি লঞ্চ চালু করেন রাজ্য পরিবহণ দফতর। লঞ্চটি ফেয়ারলি থেকে ছেড়ে হাওড়া, বাগবাজার, বরাহনগর, বেলুড় মঠ হয়ে আড়িয়াদহ পর্যন্ত চলছে। মদনবাবু বলেন, “জেটি না থাকায় এখনই লঞ্চটি দক্ষিণেশ্বরে ভিড়তে পারছে না। আপাতত নদী থেকে দক্ষিণেশ্বর দেখতে হচ্ছে। আশা করি আগামী দু’মাসের মধ্যেই এখানে লঞ্চ পরিষেবা চালু হবে।”
|
• নিউ টাউন-বারাসত এবং নিউ টাউন-বাগবাজার রুটের আটটি বাতানুকূল বাসের উদ্বোধন হল। অনুষ্ঠানে সবুজ পতাকা দেখিয়ে বারাসত ও বাগবাজারগামী আটটি বাতানুকূল বাসের উদ্বোধন করেন মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমরা। পরিবহণমন্ত্রী জানান, এলাকাবাসী এবং অফিসযাত্রীদের সুবিধার্থে নিউ টাউন-বাগবাজার রুটে দু’টি শিফ্টে ১০টি বাস চলবে। অন্য দিকে, নিউ টাউন-বারাসত রুটে দু’টি শিফ্টে চলবে ছ’টি বাস। বাসগুলি আপাতত নিউ টাউন থানার কাছে ইউনিটেক থেকে ছাড়া হবে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, “নিউ টাউনে ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাস চালু হলে দূরপাল্লার বাসই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক রুট যেমন ঢাকাগামী বাসও এখান থেকে চলবে।”
|
• যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি এ বার তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জিনিস বিক্রি করার কথা ভাবছে আইআরসিটিসি। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই পরিষেবা শুরু করছে রেল অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। তাদের দাবি, বর্তমানে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ তাদের পরিষেবা নেন। ট্রেন ও বিমানের টিকিট সংরক্ষণ, হোটেল বুকিং ও ট্যুরিজম প্যাকেজ সংক্রান্ত পরিষেবা দেয় তারা। সংস্থার বক্তব্য, ভারতে এখন ইন্টারনেটে জিনিস কেনার প্রবণতা বাড়ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে বিপুল সংখ্যক উপভোক্তাদের বাজার ধরতে তৎপর হয় আইআরসিটিসি। তারা জানিয়েছে, জামাকাপড়, জুতো, বই, মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন সামগ্রী কেনা যাবে তাদের ওয়েবসাইট থেকে।
|
• বালিয়াড়ির মধ্যে একা দাঁড়িয়ে শহিদবেদি। আজও সেখানে কান পাতলে শোনা যায় বিপ্লবতীর্থ কাঁথি মহকুমার রামনগর থানার বেলবনি গ্রামের স্বদেশপ্রেমের গৌরবময় আখ্যান। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতেই গ্রামেরই মাটি রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল। যে ঘটনাকে স্বয়ং মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ‘বীরোচিত এবং গৌরবময়’ অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছিলেন। বিস্মৃতির অন্তরালে হারাতে বসেছে সে কথা। ৮ অগস্ট মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী ডাক দিলেন ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের। স্বাধীনতার মুক্তি পেতে গোটা দেশের সঙ্গে উত্তাল হল অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাও। ২২ সেপ্টেম্বর মহিষাগোটে স্বদেশী জমায়েতে পুলিশের গুলি চালনায় শহিদ হয়েছিলেন ৬ জন। তাঁদেরই দু’জন রামনগর থানার দক্ষিণ শীতলা গ্রামের সর্বেশ্বর প্রামাণিক ও ঘোল গ্রামের রমাপ্রসাদ জানা। এই দুই শহিদের স্মৃতি তর্পণ এবং পরবর্তী কর্মসূচি রূপায়ণে ‘সমর পরিষদে’র সবার্ধিনায়ক বলাইলাল দাস মহাপাত্রের নেতৃত্বে ২৭ সেপ্টেম্বর বেলবনি গ্রামে এক সত্যাগ্রহ শিবির শুরু হয়। ব্রিটিশ পুলিশ রাতের অন্ধকারে সেই শিবিরে এলে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে বিদ্যুৎগতিতে আশপাশের গ্রামে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাজার হাজার মানুষ বেলবনি শিবিরে ছুটে আসেন। মানুষের ভিড় দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পুলিশ প্রথমে লাঠি ও গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশের গুলিতে বেলবনির ভজহরি রাউত, চন্দ্রমোহন দাস, লালপুরের বৈষ্ণবচরণ জানা, ভীমচরন দাসমহাপাত্র, কাদুয়া গ্রামের হেমন্তকুমার দাস, বংশীধর কর, মাধবপুরের চৈতন্য বেরা, কলাপুঞ্জা গ্রামের শিবপ্রসাদ ভুঁইয়া ও সোনাকনিয়ার রজনীকান্ত ঘোষ, ঘোল গ্রামের চন্দ্রমোহন জানা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরও অনেকে। এর পর শুরু হয় বেলবনি গ্রাম জুড়ে পুলিশের নির্মম তাণ্ডব। ৫১টি বাড়িতে লুঠতরাজ চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের লেলিহান শিখা পুড়িয়ে দেয় কলাপুঞ্জা, ডাণ্ডা-বেলবনি, সোনামুয়ী ও উত্তর মুকুন্দপুর গ্রামের ঘরবাড়ি। আবালবৃদ্ধবনিতার সর্বস্ব হারানোর হাহাকারে পুঞ্জীভূত হতে থাকে ইংরেজ রাজত্বের প্রতি চরম ঘৃণা। যা পরবর্তী কালে দেশের স্বাধীনতার পথ তরাণ্বিত করে। স্বাধীনতা লাভের পর অবশ্য হারিয়ে যেতে বসেছে বেলবনি গ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ইতিহাস। রামনগর থানার জনগণের শৌর্যবীর্য, সাহস, স্বদেশপ্রেম আর আত্মোৎসর্গের অত্যুজ্জ্বল কীর্তির নির্মম সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে শুধু এলাকাবাসীর তৈরি শহিদবেদি।
|
• কবর খুঁড়ে হাড়ের ডিএনএ পরীক্ষার কথা ভাবছেন ইতালীয় গবেষকরা। তবে পরীক্ষা হবে শুধুই মহিলাদের হাড়ের। উদ্দেশ্য একটাই, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সৃষ্টি ‘মোনা লিসা’ ছবির তৈরির পিছনে যে নারীর অবদান রয়েছে, তাঁকে খুঁজে বার করা। গবেষকদের মতে, ‘মোনা লিসা’ ছবিটি আঁকা লিসা জেরারদিনি দেল জিওকন্ডো নামে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর আদলে। ফ্লোরেন্সে লিওনার্দোর বাড়ির উল্টো দিকে থাকতেন লিসা। গত বছর ফ্লোরেন্সের উর্সুলিন কনভেন্টে কবর খুঁড়ে প্রচুর হাড় বার হয়। কিছু হাড় গবেষকরা কার্বন-১৪ পরীক্ষায় পাঠান। ধারণা, এগুলির মধ্যে রয়েছে লিসা জেরারদিনির হাড়ও। এ জন্যই করা হবে ডিএনএ পরীক্ষা।
|
• হাজারিবাগের জঙ্গলে শিকারে গিয়েছিলেন পাতিয়ালার রাজা নরেন্দ্র সিংহ। ঘন জঙ্গলের মধ্যে হঠাৎ একটি জলাশয়ে নজর পড়ে মহারাজার। তিনি দেখেন, গলগলিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে জল থেকে। উষ্ণ প্রস্রবণই যে উত্তাপের উৎস তা বুঝতে পারেন পাতিয়ালা-রাজ। শিকার থেকে ফিরেই জঙ্গলের ওই এলাকায় একটি মন্দির স্থাপনের উদ্যোগ নেন তিনি। তার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। সংস্কারের অভাবে এখন জীর্ণ হাজারিবাগের সূর্যকুণ্ড, সেই মন্দিরও। গ্র্যাণ্ড ট্রাঙ্ক রোডের লাগোয়া বড়কঠ্ঠা এলাকায় রয়েছে গরম জলের পাঁচটি কুণ্ড। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মকর সংক্রান্তিতে সেখানে মেলা বসে। ভক্ত সমাগম হয়। বছরের অন্য সময় কার্যত ফাঁকা থাকে ওই মন্দির। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রচারের জন্যই পর্যটকরা ছুটছেন রাজগীরের উষ্ণ প্রস্রবণে। কিন্তু ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছে সূর্যকুণ্ড। পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা ওই গরম জলের কুণ্ডগুলিকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করে কয়েকটি মহলও। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার উদ্যোগী হলেই ভিড় জমবে ওই এলাকায়। এখানে উষ্ণ প্রস্রবণ তো রয়েছেই, বাড়তি পাওনা পাহাড়, জঙ্গলের হাতছানি। কয়েক কদম দূরের জি টি রোড ধরে সহজেই পৌঁছনো যায় হাজারিবাগ শহর, কোডারমায়। মন্দিরের পুরোহিতরা জানান, সূর্যকুণ্ডের পাশাপাশি সেখানে রয়েছে ব্রহ্মাকুণ্ড, সীতাকুণ্ড, লক্ষ্মণকুণ্ড।
|
• জঙ্গলের ঘেরাটোপে নির্জন পরিবেশ। পাশ দিয়ে সর্পিল গতিতে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি নদী। কিছুটা দূরে ভুটান পাহাড়। ডুয়ার্সের জয়ন্তী এবং নিমতি বললেই এমনই দৃশ্য চোখে ভেসে ওঠে পর্যটকদের। এ বার পর্যটকদের আরও বেশি করে আকৃষ্ট করতে জয়ন্তী এবং নিমতিতে তৈরি হচ্ছে ৯টি কটেজ। মোট ১৮টি ঘর রয়েছে কটেজগুলিতে। সবক’টি ঘরেরই বুকিং মিলবে আগামী পুজোর মরসুম থেকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ধরনের আরও ১৮টি কটেজ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকায় তৈরি হবে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা জেভি ভাস্কর বলেন, “পাকা ভিতের উপর তৈরি একটি কটেজের ঘরে দু’জন করে পর্যটক থাকতে পারবেন। পাশাপাশি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকায় পর্যটকদের কার সাফারির বিষয় নিয়ে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কমিটির সঙ্গে কথা চলছে । আশা করছি দ্রুত কার সাফারির অনুমতিও মিলবে।” জঙ্গলের নির্জন পরিবেশে রাত্রিবাসের পাশাপাশি জঙ্গলে কার-সাফারির অনুমতি মিললে সেটি পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণের কাজ করবে বলে বন দফতর মনে করছে। তারা আরও জানিয়েছেন, কটেজের ভেতরে হাতি বা বন্য প্রাণীদের গতিবিধি রুখতে বিদ্যুতের তার দিয়ে পুরো চত্বরটি ঘিরে রাখা হবে। কটেজের আশেপাশে পরিখাও খোঁড়া করা হবে। কটেজের সামনের চত্বরে বাগানে আগুন পোহানো বা ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। |
|