লম্বায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন তার কাছে নেহাতই শিশু। এত দিন এত বড় একটা খাত নিশ্চিন্তে ঘাপটি মেরে ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। গ্রিনল্যান্ডের বরফ চাদরের তলায়। কিন্তু তার সে সুখ আর সইল না।
সম্প্রতি ব্রিটেন আর আমেরিকার এক দল গবেষক গ্রিনল্যান্ডে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। এর জন্য নাসার রেডার চিত্রের সাহায্য নিচ্ছিলেন তাঁরা। তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে হঠাৎই গবেষকদের নজরে আসে মধ্য গ্রিনল্যান্ডের বরফ চাদরের তলায় কিছু একটা রয়েছে। আরও বিশদ পরীক্ষা করতে গিয়ে তাঁরা এই খাতটির বিষয়ে জানতে পারেন। তাঁদের এই গবেষণা বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত হয়েছে। |
গবেষক দলের অন্যতম মাইকেল স্টাডিংগার বলেন, “প্রায় তিন কিলোমিটার চওড়া বরফের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে এই খাত। এই বরফের স্তর এতটাই পুরু যে নাসার উপগ্রহ চিত্রে প্রথমে কিছুই ধরা পড়েনি। পরে রেডার চিত্রে খাতটির কথা জানা যায়।” লম্বায় প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার লম্বা এই খাতটি গ্রিনল্যান্ডের মাঝখান থেকে উত্তর দিক পর্যন্ত একটানা চলে গিয়েছে। অবশ্য এটি গভীরতায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের থেকে অনেকটাই কম। কিন্তু এত পুরু বরফের স্তর থাকার জন্য খাতটি সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা যায়নি।
মাইকেল বলেন, “গবেষণায় যতটুকু জানা যাচ্ছে ওই খাতের মধ্যে দিয়ে সম্ভবত কোনও নদী বয়ে যেত। পরে তা বরফের চাদরে পরিণত হয়।” প্রায় ৪০ লক্ষ বছর ধরে তুষার চাদরে লুকিয়ে রয়েছে এই খাত। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে যে হারে বরফ গলছে, খুব শীঘ্রই এই খাতের কিছুটা উন্মুক্ত হয়ে যাবে বলে জানান মাইকেল।
আর তখনই হয়তো উদ্ধার হবে খাত রহস্য।
|