|
|
|
|
বয়সের রেকর্ড ৩৬ বছরের মিসির
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
বয়সের জন্য একটা চোখে কম দেখে। সে জন্য অন্যদের থেকে একটু বেশি আদরও অবশ্য তার রোজকার পাওনা। সে মিসি নামের একটি পেঙ্গুইন। ব্রিটেনের গ্লস্টারশায়ারের বার্ডল্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ পার্কে তার বাড়ি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মিসি-ই বিশ্বের সব থেকে বয়স্ক পেঙ্গুইন।
ওই পার্কের ম্যানেজার সিমন ব্ল্যাকওয়েল জানালেন, এখানকার সব পেঙ্গুইনের মধ্যে মিসিই যে সব থেকে বয়স্ক তা জানা থাকলেও তার বয়স ঠিক কত, জানা নেই কারও। নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের মে মাসে জেনটু প্রজাতির মিসি-কে যখন এই পার্কে আনা হয় সে পূর্ণবয়স্ক। জেনটু প্রজাতির পেঙ্গুইনরা সাধারণত ৫ বছরে পূর্ণবয়স্ক হয়। সেই অনুযায়ী ১৯৮২ সালে মিসি অন্তত ৫ বছরের যুবতী ছিল। আর সেই হিসেবে মিসি-র বয়স এখন অন্তত ৩৬ বলেই মনে করছেন সিমনরা। |
|
মিসি-র বয়সের কথা জেনে অবাক হয়ে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। তাঁদের কথায়, জেনটু প্রজাতির পেঙ্গুইনরা সাধারণত ১৫-২০ বছর বাঁচে। তবে চিড়িয়াখানাতে ২৬ বছর পর্যন্তও পেঙ্গুইনদের বাঁচতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এত বয়সের কোনও পেঙ্গুইনের কথা এর আগে জানা যায়নি বলেই দাবি তাঁদের। তাঁরা গিনেস বুকে মিসি-র নাম তোলার কথাও ভাবছেন।
কয়েক দিন আগে ডেনমার্কের এক চিড়িয়াখানা দাবি করে, তাদের একটি পেঙ্গুইন বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বয়স্ক। ৩৪ বছর। সেটা শুনেই নড়েচড়ে বসে গ্লস্টারশায়ারের বার্ডল্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক। আর তখনই মিসি-র বয়সের কথা সামনে আসে।
এ নিয়ে অবশ্য খুব একটা হেলদোল নেই মিসি-র। প্রতি দিন সকাল হলেই লম্বা লেজটা নাড়তে থাকে সে। খাবার চাই। তার পছন্দের মাছ পেলেই হল। চুপচাপ নিজের জায়গায় গিয়ে বসে পড়ে। এত বয়স হলেও ফুর্তিতে ছোটদের থেকে কিছু কম যায় না সে। এক চোখে কম দেখে তাই একটু হেলে হাঁটে। তবে এখনও ওই পার্কের পেঙ্গুইন দলের মাথা সে। সঙ্গে থাকে সর্ব ক্ষণের সঙ্গী আর এক পেঙ্গুইন, সেথ। |
|
|
|
|
|