বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই উদ্ধার কেন্দ্রে একটি পুরুষ ও পাঁচটি স্ত্রী চিতাবাঘ রয়েছে। ২০০৬ সালে মাদারিহাট থেকে দুটি স্ত্রী চিতাবাঘ কালী ও গৌরীকে এনে রসিকবিলে চিতাবাঘ উদ্ধার কেন্দ্র চালু করা হয়। ১ একর এলাকায় তারজালির বিশাল ঘেরাটোপে তাদের থাকার বন্দোবস্ত হয়। পরে শঙ্কর নামে আরও একটি পুরুষ চিতাবাঘকে সেখানে আনা হয়। সেই সূত্রে শঙ্করের ঘনিষ্ঠতায় শাবকের জন্ম দেয় কালী ও গৌরী। তিনটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ শাবক মিলে চিতাবাঘ পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ছয়টি। শঙ্করকে দার্জিলিঙে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে পুরুষ চিতাবাঘ তুফান কালীর ঘনিষ্টতায় পুরুষ শাবক মনুর জন্ম হয়। ওই ঘটনায় ফের সেন্ট্রাল জু অথরিটির রোষের মুখে পড়েন বন দফতরের কর্তারা। তুফানকেও প্রায় তিন বছর আগে দার্জিলিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল জু অথরিটির নিয়ম অনুযায়ী উদ্ধার কেন্দ্রে প্রজনন নিষিদ্ধ। পুরুষ চিতাবাঘ মনু যুবক হয়ে ওঠায় চিতাবাঘ পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বন দফতরের কর্তাদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। রসিকবিলের এক বন কর্তার কথায়, “মনুর আড়াই বছর বয়স হয়েছে। প্রজননক্ষম হয়ে ওঠার সময় দ্রুত ওকে না সরালে পরিবার বাড়তে পারত। স্টেট জু অথরিটি ছাড়পত্র দেওয়ায় এই উদ্বেগ কমল।” |