চিতাবাঘেদের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কায় উদ্বেগে বন দফতরের কর্তারা
রসিকবিলের দম্পতির ঠিকানা বদল
রিকাঠামোর উন্নতি হয়নি। তার উপরে সেন্ট্রাল জু অথরিটির বিধি ভেঙে বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা। দুই উদ্বেগে রসিকবিল ‘মিনি চিড়িয়াখানা’ থেকে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী চিতাবাঘকে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় পাঠাচ্ছে বন দফতর। সম্প্রতি এই বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির অনুমোদন বন দফতরের কর্তাদের হাতে এসেছে। তারপরেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা-সহ যাবতীয় নিয়ম মেনে জোড়া চিতাবাঘ পাহাড়ে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
সব ঠিক থাকলে পুজোর পরে চিতাবাঘ দুটিকে পাহাড়ে পাঠানো হবে। বিনিময়ে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা থেকে রসিকবিলে প্রজাতির ‘ফেসেন্ট পাখি’ পাঠানো হচ্ছে। কোচবিহারে খোলটা ডিয়ার পার্ক থেকে চারটি সম্বর হরিণকেও ঝাড়গ্রাম পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “পরিকাঠামো সংক্রান্ত সমস্যা তো রয়েছেই। সেন্ট্রাল জু অথরিটির নিয়ম অনুযায়ী উদ্ধার কেন্দ্রে প্রজনন নিষিদ্ধ। সব মিলিয়ে রসিকবিল থেকে ওই জোড়া চিতাবাঘকে দার্জিলিংয়ে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” কোচবিহারের ডিএফও কৌশিক সরকার বলেন, “দুটি চিতাবাঘ দার্জিলিঙে পাঠানোর ব্যাপারে স্টেট জু অথরিটির অনুমোদন মিলেছে। বদলে রসিকবিলে বিশেষ প্রজাতির পাখি দেবে দার্জিলিং। খোলটা থেকেও চারটি সম্বর হরিণও ঝাড়গ্রাম পাঠানো হচ্ছে।”

পুজোর পরেই এদের ঠিকানা হবে দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানা।
কোচবিহারে হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই উদ্ধার কেন্দ্রে একটি পুরুষ ও পাঁচটি স্ত্রী চিতাবাঘ রয়েছে। ২০০৬ সালে মাদারিহাট থেকে দুটি স্ত্রী চিতাবাঘ কালী ও গৌরীকে এনে রসিকবিলে চিতাবাঘ উদ্ধার কেন্দ্র চালু করা হয়। ১ একর এলাকায় তারজালির বিশাল ঘেরাটোপে তাদের থাকার বন্দোবস্ত হয়। পরে শঙ্কর নামে আরও একটি পুরুষ চিতাবাঘকে সেখানে আনা হয়। সেই সূত্রে শঙ্করের ঘনিষ্ঠতায় শাবকের জন্ম দেয় কালী ও গৌরী। তিনটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ শাবক মিলে চিতাবাঘ পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ছয়টি। শঙ্করকে দার্জিলিঙে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে পুরুষ চিতাবাঘ তুফান কালীর ঘনিষ্টতায় পুরুষ শাবক মনুর জন্ম হয়। ওই ঘটনায় ফের সেন্ট্রাল জু অথরিটির রোষের মুখে পড়েন বন দফতরের কর্তারা। তুফানকেও প্রায় তিন বছর আগে দার্জিলিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল জু অথরিটির নিয়ম অনুযায়ী উদ্ধার কেন্দ্রে প্রজনন নিষিদ্ধ। পুরুষ চিতাবাঘ মনু যুবক হয়ে ওঠায় চিতাবাঘ পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বন দফতরের কর্তাদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। রসিকবিলের এক বন কর্তার কথায়, “মনুর আড়াই বছর বয়স হয়েছে। প্রজননক্ষম হয়ে ওঠার সময় দ্রুত ওকে না সরালে পরিবার বাড়তে পারত। স্টেট জু অথরিটি ছাড়পত্র দেওয়ায় এই উদ্বেগ কমল।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.