২৮ আশ্বিন ১৪১৮ শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০১১



মা এলেন বাপের বাড়ি। মেতে উঠল সবাই আনন্দে। কিন্তু মায়ের আপ্যায়ণের ভার যাঁদের উপর তাঁদের আনন্দ সেই হেঁসেলেই।
যত্ন-নিষ্ঠা-ভক্তি নিয়ে প্রস্তুত হয় মাতৃ আরাধনার ভোগ প্রসাদ। এক এক বাড়ির ভোগের পদ এক এক রকম। এমনকী পুজো
কমিটিগুলোরও থাকে ভিন্ন ভিন্ন পদ। পৃথিবীর নানা প্রান্তের বেশ কয়েকটি পুজোর বিশেষ কয়েকটি পদ নিয়ে নিবেদিত হল ‘ভোগ-ব্যঞ্জন’।

খিচুড়ি ভোগ


উপকরণ

• বাসমতি চাল: ৯ কাপ • ভাজা মুগ ডাল: ৯ কাপ • ডুমো করে কাটা আলু • ফুলকপি • মটরশুটি • গোটা গরমমশলা • তেল: আন্দাজমতো
• তেজপাতা: ২টি • কাচালঙ্কা: ৪টি • আদা বাটা: ১ চামচ
• জিরেবাটা: আন্দাজমত • নুন, মিষ্টি, হলুদ: আন্দাজমতো

প্রণালী
• ফুলকপি ছোট ছোট করে ছাড়িয়ে রাখুন। মটরশুঁটিও ছাড়িয়ে আলাদা করে নিন।
• রাইসকুকারে দু’চামচ তেল গরম করে হলে জিরে, আদাবাটা,
কাঁচালঙ্কা, গোটা গরমমশলা দিয়ে কুকার বন্ধ করে দিন।
• এরপর সব্জি ও আন্দাজমত নুন-হলুদ দিয়ে নেনে চেড়ে দিন।
• বেশ গরম হলে তাতে চাল, ডাল, ১২ কাপ জল, নুন, মিষ্টি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে কুকারে সেদ্ধ হতে দিন।
• নামানোর আগে ২ চামচ ঘি দিয়ে দিন।

প্রান্তিকের দুর্গাপুজো (পামারস্টোন নর্থ, নিউজিল্যান্ড)... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/september/bideshe-bandana3.html

পোলাও (১০০ জনের)

উপকরণ
• গোবিন্দভোগ চাল: ১২ কেজি • চিনি: ২ কেজি ৫০০ গ্রাম • ঘি: ২ কেজি ৫০০ গ্রাম • সা-মরিচ: ২০ গ্রাম • সা-জিরে: ১০ গ্রাম • ছোট এলাচ: ৫০ গ্রাম
• দারুচিনি: ৫০ গ্রাম • লবঙ্গ: ৫০ গ্রাম • জয়িত্রি: ১০ গ্রাম • কেশরি রং: ১ প্যাকেট • নুন: ৫০০ গ্রাম • কাজুবাদাম: ১ কেজি ২৫০ গ্রাম
• কিসমিস: ১ কেজি ২৫০ গ্রাম • তেজপাতা: ১০ গ্রাম • গোলাপজল: ছোট এক বোতল • জল: ১৮ লিটার • কলাপাতা: ৮টি • টিকে: ২ কেজি


প্রণালী

• গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে কেশরি রঙে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১ ঘন্টা।
• ভেজানো চাল মার্কিন কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে।
• ডেকচিতে ১ কেজি ২৫০ গ্রাম ঘি দিয়ে অর্ধেক গোটা গরমমশলা এবং তেজপাতা, সাহজিরে, কাজু, কিসমিস দিয়ে নাড়তে হবে।
• তারপরে পরিমাণ মতো জল, চিনি ও নুন দিয়ে ফোটাতে হবে।
• পরে কেশরি রঙে ভেজানো চাল ফোটানো জলে দিতে হবে।
• চাল তিন ভাগ ফুটে যাওয়ার পরে সাহমরিচগুঁড়ো, অবশিষ্ট ১ কেজি ২৫০ গ্রাম ঘি, জয়ত্রী ও জায়ফলগুঁড়ো এবং গোলাপজল
মিশিয়ে কলাপাতা ঢাকা দিয়ে ডেকচির ঢাকনা বন্ধ করে, তার ওপর টিকে জ্বালিয়ে ৩০ মিনিট দম দিতে হবে।
• গরম গরম পরিবেশন করুন।

হাওড়ার আমতার খড়িয়প আশ্রম... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/october/pujo-ashram.html

বৌবাজার মতিলালবাড়ির লাউ-চিংড়ি
মতিলাল বাড়ির দুর্গাপুজোর ভোগদান: খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, বেগুনী, ভাত, শুক্তো, ছ্যাচড়া, মুড়ো দিয়ে ডাল, মাছ দিয়ে ফুলকপি-আলুর ঝোল,
লাউ-চিংড়ি, চাটনি, মিষ্টি ও পায়েস। এগুলি সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে দেওয়া হয়।
দশমীর ভোগ নবমীর রাতে রেঁধে রাখতে হয়। পান্তাভাত, কচুশাক, শুকনো-ডাল, ইলিশমাছ ভাজা, চালতার অম্বল, পায়েস, বোঁদে ও মিষ্টি।

উপকরণ
• লাউ, আলু, মাপের চিংড়ি • তেজপাতা • শুকনোলঙ্কা • গোটা জিরে • আদাবাটা • হলুদ • লঙ্কাগুঁড়ো • নুন • চিনি
• ঘি ও গরমমশলা • অল্প সাদা তেল বা সরষের তেল


প্রণালী
• লাউ ডুমো করে কাটতে হবে। সঙ্গে সামান্য আলুও ডুমো করে কেটে দিতে হবে।
• চিংড়ি মাছ আগে থেকে ভেজে রাখতে হবে।
• কড়াতে তেজপাতা, শুকনোলঙ্কা ও গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে।
• ফোড়নের গন্ধ ছাড়লে আলু সামান্য ভেজে নিতে হবে।
• পরে লাউ দিয়ে ভাল করে কষে তাতে আদাবাটা, হলুদ, নুন, মিষ্টি ও সামান্য লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে কষে চিংড়িমাছ মিশিয়ে ঢাকা দিতে হবে।
• নামানোর আগে ঘি ও গরমমশলা ছড়িয়ে দিন।

নিরামিষ বিরিয়ানি
প্রতিপদ থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী দুর্গাকে অন্নভোগ দেওয়া হয়।
ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, ফ্রায়েডরাইস, বিরিয়ানি, ঘি-ভাত। তরিতরকারির মধ্যে শুক্তো, ডাল, পাঁচরকম ভাজা, অন্তত চারটি করে পদ থাকে।
কপির ডালনা, ছানার কোপ্তা, ধোঁকার ডালনা, বাঁধাকপি, লাউ ও চালকুমড়োর ঘণ্ট, পাঁপড়ের ডালনা। আর থাকে চাটনি, পায়েস ও দু’তিন রকমের মিষ্টি।
দশমীতে পান্তা ভাত, খিচুড়ি, ডাল, কয়েকটি তরকারির পদ।
চাটনির রকমফের হয় জলপাই, আমষি, কাঁচাতেঁতুল অথবা ক্যাপসিকাম দিয়ে। মিষ্টিমুখ অবশ্যই। সবশেষে থাকে পান।

উপকরণ
• বাসমতি চাল • মাঝারি সাইজের আলু • পনির (বড় বড় টুকরো করে কাটা) • কাজুবাদাম • সা-জিরে • সা-মরিচ • জয়িত্রি • জায়ফল গুঁড়ো
• কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো • স্বাদমতো নুন, কেওড়াজল, গোলাপজল, মিঠে আতর • আন্দাজমতো সাদা তেল ও ঘি

প্রণালী
• সামান্য দুধে জাফরান ভিজিয়ে তার সঙ্গে মেশাতে হবে কেওড়াজল, গোলাপজল, মিঠে আতর।
• বাসমতি চাল ধুয়ে, জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
• সাদা তেলে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন।
• পনিরের টুকরোগুলো হাল্কা আঁচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভেজে নিন।
• আলু সেদ্ধ করে দু’ টুকরো করে কেটে হাল্কা আঁচে ভেজে নিন।
• এ বার তেলে সা-জিরে, সা-মরিচ, জয়িত্রি, জায়ফলগুঁড়ো, সামান্য কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো
দিয়ে তার সঙ্গে চাল দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
• পরিমাণ মতো নুন দিতে হবে।
• এবার যত পরিমাণ চাল, তার দ্বিগুণ পরিমাণ জল দিয়ে ফুটতে দিতে হবে।
• ফুটে চাল ও জল সমান হলে আলু ও পনির মেশাতে হবে।
• এর পর জাফরানের মিশ্রণ ঢেলে দিন।
• ঘি ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ নিভিয়ে দিন।
• পাত্রের মুখ ভাল করে বন্ধ করে ঢাকার ওপরে ভারী কিছু দিয়ে রেখে দিন।

ভবানীপুর মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/october/pujo-kolkata.html
 
বারুইপুর ব্যানার্জীবাড়ির বলির মাংস
সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত অন্নভোগে থাকে নানা বৈচিত্র। এ বাড়িতে প্রতি দিন দু’ভাগে ভোগদান হয়। সকালে বাসি ভোগে থাকে মাসকলাই ও মুগডাল সহযোগে গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি। বেলায় সাদা ভাতের সঙ্গে সাত বা ন’রকমের ভাজা। এই ভাজার মধ্যে মাখনসিমভাজা অবশ্যই থাকে। থাকে মাছভাজাও।
সপ্তমীতে শুক্তো, মুগডাল, আলুপটলের তরকারি, মাছের কালিয়া, বলির মাংস, জলপাই ও আমসত্ত্বের চাটনি,
পায়েস, (পায়েসে চালের গুঁড়ি ও নারকেল কুঁড়ো দিয়ে তৈরি বড়া দেওয়া হয়), দই এবং মিষ্টি।
অষ্টমীতে শুক্তো, অরহড় ডাল, ফুলকপির ডালনা, ছাঁচিকুমড়োর তরকারি, মাছের ঝোল, বলির মাংস, দু’রকম চাটনি,
পায়েস (কাঁঠালি কলা ও আটার মিশ্রণে বড়া দেওয়া হয় পায়েসে) দই ও মিষ্টি।
সন্ধিপুজোয় ঘিয়ের লুচি ও নাড়ু।
নবমীতে শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল, অরহড়ডাল, ফুলকপির ডালনা, সর্ষে দিয়ে মাছ, বলির মাংস, দু’রকমের চাটনি, পায়েস, দই ও মিষ্টি।
দশমীর অন্নভোগে থাকে আগের দিনের রান্নাকরা ভাত, শুকনো মুগডাল, শুকনো মাংস, মাছভাজা, নারকেল সহযোগে কচুশাক, চিংড়িমাছ দিয়ে পুঁইশাক,
কলার বড়া ভাজা।
দধিকর্মা ও পান্তাভাত খেয়ে দেবী দুর্গা পিতৃগৃহে গমন করেন। চিঁড়ে, দই, কলা ও নাড়ু দিয়ে তৈরি হয় দধিকর্মা।

উপকরণ
• মাংস • আদাবাটা • জিরেবাটা • লঙ্কা • হলুদ • নুন • চিনি • ঘি • গরমমশলা

প্রণালী

• পিতলের হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে প্রথমে আদাবাটা ও জিরেবাটা দিন।

• এরপর লঙ্কা, হলুদ, নুন, চিনি মিশিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন।

• এবার মাংস দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন যাতে মাংসের গায়ে ভাল করে মশলা লেগে যায়।

• পরিমাণমত জল দিয়ে হাড়ির মুখ ঢাকা দিয়ে দিন।

• মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে নামানোর আগে ঘি ও গরমমশলা দিয়ে দিন।

 
পানতুয়া
সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবীদুর্গাকে অন্নভোগ দেওয়া হয় সাদা ভাত, ঘি ভাত, খিচুড়ি, সাতরকম ভাজা, ধোঁকার ডালনা, ছানার ডালনা,
বাঁধাকপি ও ফুলকপির ডালনা, চাটনি, পায়েস, পানতুয়া, সন্দেশ ও দই। বাড়িতে ভিয়েন বসিয়ে নানা রান্নার সঙ্গে পানতুয়া করা হয়।
সপ্তমীতে যে ভোগ দেওয়া হয় তাই দেওয়া হয় বাকি দু’দিনে। অষ্টমীর সন্ধিপুজোতে দেওয়া হয় লুচি, পাঁচরকম ভাজা,
পনিরের ডালনা, কপির তরকারি, চাটনি ও মিষ্টি।
যদি সন্ধিপুজো দিনে হয় তখন ভোগের সঙ্গে দই ও রাতে হলে পায়েস দান করা হয়।
দশমীতে আগের দিনের রান্না করা অন্ন দেওয়া হয়। পান্তাভাত, পাতিলেবু, শাকভাজা, নারকেলভাজা, আলুভাজা, পটলভাজা, ডাল সুজি ও মিষ্টি।


উপকরণ
• ছানা, গোটা এলাচ, নকুলদানা, ঘি ও চিনি।

প্রণালী
• আগে থেকে আলাদা করে চিনির পাতলা রস ও ঘন রস বানিয়ে রাখুন।
• দু’টো শিলের মধ্যে নতুন গামছায় মুড়ে ছানা চেপে রাখতে হবে যাতে পুরো জল বেরিয়ে যায়।
• এবার
এলাচের দানা মিশিয়ে ছানা ভাল করে মেখে নিন।
• ছোট ছোট লেচি করে প্রত্যেকটি লেচির মধ্যে একটি করে নকুলদানা দিয়ে গোল করে হাতের চেটোয় পাকাতে হবে।
• ঘিয়ে ছানার গোলা ভাজতে হবে যতক্ষণ না লালচে রং আসছে।
• পরে ভাজা ছানার মণ্ড পাতলা রসে ডুবিয়ে, ঘন রসে ফেলতে হবে।

সাউথ গড়িয়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/october/pujo-kolkata.html
 
বেহালার হালদারবাড়ির গর্ভমোচার তরকারি
অষ্টমীতে ভোগের পাতে অবশ্যই থাকে গর্ভমোচার তরকারি। ভোগ রান্না করেন বাড়ির দীক্ষিত মহিলারা।
পরিবারের বয়োজেষ্ঠ,আশি ছুঁই ছুঁই আশালতা হালদার জানালেন মায়ের ভোগের পদ্ধতি।


উপকরণ
• গর্ভমোচা • আলু • আদাবাটা • জিরেবাটা • গোটা জিরে • কাঁচালঙ্কা • গরমমশলা • ঘি • তেল • নুন • চিনি • তেজপাতা

প্রণালী
মোচা ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিন।
কুচানো মোচা সেদ্ধ করে ভাল করে জল ঝরিয়ে নিন।
আলু-মাখার মত মোচা ভাল করে মেখে নিন।
আলু ডুমো করে কেটে ভেজে রাখুন।
তেল গরম করে তেজপাতা ও জিরে ফোড়ন দিন।
তারপর আদাবাটা, জিরেবাটা, লঙ্কা দিয়ে মশলা কষে নিন।
এবার মোচা দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন যাতে মশলার সঙ্গে মিশে যায়।
ভাজা আলুর টুকরো দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন যাতে পাত্রে লেগে না যায়। প্রয়োজনে জল ছিটিয়ে দিন।
খেয়াল রাখবেন যে তরকারি হবে শুকনো শুকনো।
আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে গরমমশলা, ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

হালদারবাড়ির পুজো... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/september/pujo-kol-behala.html
 
বেহালার মুখুজ্জেবাড়ির ‘মাছ পোড়া’ ভোগ
পুজোর আগে থেকেই মাছ এনে রাখা হয় বাড়িতে। বর্তমান প্রজন্মের বড়গিন্নি ইলা মুখোপাধ্যায় তৈরি করেন মায়ের ভোগ।

উপকরণ
• ল্যাটা, সিঙ্গি, মাগুর, ষোল বা ভেটকি মাছ নুন, হলুদ, কাঁচালঙ্কা কলাপাতা

প্রণালী

• মাছের আঁশ ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
• নুন-হলুদ মাখিয়ে মাছটি কলাপাতায় মুড়িয়ে কাঠ-কয়লার উনুনে দিয়ে দিন।
• পোড়া গন্ধ বেরোলে উল্টে দিন।
• দু’দিকই পোড়ানো হয়ে গেলে, কলাপাতা ফেলে মাছের কাঁটা বেছে নিন।
• তেল, লঙ্কা সহযোগে মাছটি ভাল করে মেখে নিন।
টিপস্
• স্বাদে রকমফের আনতে ভাজা মশলা ব্যবহার করতে পারেন।

মুখুজ্জেবাড়ির পুজো... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/september/pujo-kol-behala.html
 
কচুশাকের ঘণ্ট

ষষ্টী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবীর ভোগে থাকে নানা বৈচিত্র।

ষষ্টীতে লুচি, আলুকপির ডালনা, পাঁচরকম ভাজা, চাটনি, সুজির পায়েস, মিষ্টি ও দই।
সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত একই রকমের ভোগদান করা হয়। খিচুড়ি, সাদাভাত, পোলাও, পাঁচরকম ভাজা, শুক্তো, বাঁধাকপি ও ফুলকপির ডালনা,
চাটনি, পায়েস, মিষ্টি ও দই। প্রতি দিন ১৩টি থালায় খিচুড়ি, সাদাভাত ও পোলাও দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে পাঁচরকম ভাজা।
দশমীতে আগের দিনের পান্তাভাতের সঙ্গে নানা পদ থাকে। বিশেষ পদ থাকে কচুশাকের ঘণ্ট।


উপকরণ
• কচুশাক • থোড় • নারকেল কোড়া • আদাবাটা • গোলমরিচ বাটা • তেজপাতা • শুকনোলঙ্কা • নুন • হলুদ • মিষ্টি • তেল

প্রণালী
• কচুশাক ও সামান্য থোড় কেটে আলাদা ভাবে সেদ্ধ করে, ভাল করে জল ঝরিয়ে নিন।
• এবার ভাল করে চটকে মেখে নিতে হবে।
• তেল গরম করে জিরে, তেজপাতা ও শুকনোলঙ্কা ফোড়ন দিন।
• কচুশাক ও থোড় মাখা মিশিয়ে ভাল করে কষে নিন।
• এবার নুন, হলুদ ও মিষ্টি দিয়ে নারকেল কোড়া মেশাতে দিন। স্বাদে মিষ্টিভাব বেশি হবে।

সাউথ গড়িয়া হালদারবাড়ির পুজো... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/october/pujo-kolkata.html
 
ভোগের খিচুড়ি


উপকরণ
• মুগ ডাল: ২ কাপ • আতপ চাল: ২ কাপ • আলু: ৪-৫ টি (চার টুকরো করা) • ফুলকপি: ১টি বড় (বড় টুকরো করা)
• ফ্রোজেন কড়াইশুঁটি: ২৫০ গ্রাম • টমেটো: ৪ টুকরো করা • কাঁচালঙ্কা: ৭-৮ টি
ফোড়নের জন্যে
দারচিনি: ৪-৫ টি স্টিক • লবঙ্গ • ছোট এলাচ • আস্ত জিরে: ১ চা চামচ • শুকনো লাল লঙ্কা: ৩ টি • তেজপাতা: ৩-৪ টি • আদা বাটা: ২-৩ টেবিল চামচ
• হলুদ: আন্দাজমত • জিরেগুঁড়ো: ৩ চা চামচ • নুন: স্বাদ অনুযায়ী • চিনি: ১ টেবিল চামচ • তেল: ৫ টেবিল চামচ
• সুগন্ধি ঘি: ১-২ টেবিল চামচ • গরম মশলা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ • গরম জল: ৯-১০ কাপ

প্রণালী
• প্যান বা কড়াই গ্যাসে বসিয়ে মুগের ডাল বাদামি করে ভেজে নিন, খেয়াল রাখবেন পুড়ে না যায়।
• এবার ডাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। চালও ধুয়ে রাখুন।
• এবার বড় একটি ডেকচি গ্যাসে বসিয়ে তেল গরম করতে দিন।
• ভালো করে গরম হলে আঁচ কমিয়ে আলুর টুকরোগুলো ভেজে নিন নরম হওয়া অবধি।
• এরপর ফুলকপির টুকরোগুলো ভাজুন সামান্য বাদামি করে।
• এবার গরম তেলে ফোড়নের উপকরণ দিয়ে দিন। ফোড়নের গন্ধ বেরোলেই হলুদ, জিরেগুঁড়ো
ও আদা বাটা দিয়ে নাড়ুন, আঁচ কমিয়ে। সামান্য জলের ছিটে দিন।
• ভাজা মুগের ডাল মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
• খানিকটা পরে ৬ কাপ মতন গরম জল দিন, আর আঁচও বাড়িয়ে দিন।
• ফুটতে শুরু করলে হিট সামান্য কমিয়ে ডেকচি ঢাকা দিয়ে দিন।
• ৪-৫ মিনিট পরে ধুয়ে রাখা চাল ছেড়ে দিন ও প্রয়োজনে আরও খানিকটা গরম জল দিন।
• আন্দাজ মতন নুন দিয়ে ডেকচি আবার ঢাকা দিয়ে দিন। ৪-৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে দেখুন চাল ডাল অর্ধেক সেদ্ধ হয়েছে কি না।
• এবার ভাজা আলু ও ফুলকপি দিয়ে দিন ও মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করুন। খেয়াল রাখবেন তলায় লেগে না যায়।
• এবার টমেটো ও ফ্রোজেন কড়াইশুঁটি দিয়ে দিন ও প্রয়োজনে একটু গরম জল।
• যখন দেখবেন চাল-ডাল-আনাজ সব সেদ্ধ হয়ে মাখো মাখো হয়েছে তখন কাঁচালঙ্কা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
• এবার একটি ছোট প্যানে ঘি গরম করতে দিন।
• গরম হলে গরম মশলাগুঁড়ো দিয়ে নেড়ে নিয়ে খিচুড়িতে মিশিয়ে দিন। ভোগের খিচুড়ি তৈরি।


ফিজির মাটিতে প্রথম দুর্গোত্সব... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/october/pujo1.html
 
ভোগের পায়েস
উপকরণ
• দুধ: ২ লিটার • বাসমতি চাল: ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম • চিনি: ৭৫০ গ্রাম • তেজপাতা ৩/৪টি
খেজুর গুড়: সামান্য • কিশমিশ, কাজু, আমন্ড, এলাচ: আন্দাজমত


প্রণালী

• একটি পাত্রে চাল ভিজিয়ে রাখুন।
• কিশমিশ, কাজু, আমন্ডও ভিজিয়ে রাখতে হবে।

• কম আঁচে দুধ অনেকক্ষণ ধরে জাল দিয়ে বেশ ঘন করতে হবে।
• দুধ ঘন হয়ে এলে তাতে চাল মিশিয়ে দিন।
• চাল যখন সেদ্ধ হয়ে আসবে, তখন চিনি দিতে হবে ও ভাল করে নাড়ুন।

• ঘন হয় আসলে তেজপাতা, কিশমিশ, কাজু, আমন্ড, এলাচ সব দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

• যখন গরম ভাবটা কমে আসবে, তখন ভালো করে গুড়ো করে নেওয়া খেজুর গুড় মিশিয়ে দিন।
টিপস্
• গরম অবস্থাতে গুড় দিলে দুধ ফেটে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
• আঁচ সবসময় কম থাকবে।

বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গাপুজো... এই পুজোর আরও তথ্য জানতে...
http://www.anandabazar.com/travel/2011/september/bideshe-bandana9.html


 

রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল ভোগ-ব্যঞ্জনপুরনো সংস্করণ