১৪ আশ্বিন ১৪১৮ শনিবার ১ অক্টোবর ২০১১


কলকাতা
কল্যাণপুরের বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ির পুজো
জনার্দন উপাধ্যায় নামে দাক্ষিণাত্যের এক বৈদিক ব্রাহ্মণ মহিষাদলে এসে বসতি স্থাপন করেন সপ্তদশ শতকে। পরবর্তীকালে মহিষাদল রাজপরিবারের সঙ্গে এই উপাধ্যায় পরিবারের সখ্য হয় ও তাঁরা বংশানুক্রমে রাজকার্যে যুক্ত হন। সহস্ররাম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে তেমনই এক রাজকর্মচারীর কাজে খুশি হয়ে মহিষাদল রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বারুইপুরের কল্যাণপুর গ্রামটি বসবাসের জন্য দান করেন। তাঁরই উদ্যোগে এই পরিবারের দুর্গাপুজো আরম্ভ হয়।
পুজোর শুরু
পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, বারুইপুর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো আরম্ভ হয়েছিল ১১৫৭ বঙ্গাব্দে।

পুজোর বৈশিষ্ট্য
মহিষাসুরমর্দিনীর একচালা প্রতিমা।

ষষ্ঠীতে বোধন। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণের সন্ধিপুজোয় এখনও বন্দুক ফাটানো হয়। নবমীতে এখনও পাঁঠাবলি বজায় রেখেছে এই পরিবার।

দশমীর দিন বিসর্জনের আগে পর্যন্ত পরিবারে অরন্ধন। সকালে পরিবারের সদস্যরা পান্তা ভাত খান। সন্ধ্যায় বিসর্জন সমাপ্ত হলে রান্না আরম্ভ হয়।

তথ্য: গৌতম বসুমল্লিক
ছবি: পিন্টু মণ্ডল


ভবানীপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হরচন্দ্র মুখোপাধ্যায় পৌরোহিত্যের পেশা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধামুয়া থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। তিনি ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া অঞ্চলে ঠাকুরদালান-সহ ভদ্রাসন নির্মাণ করে দুর্গাপুজো আরম্ভ করেন। বাড়ির বর্তমান ঠিকানা ৩৯ গিরীশ মুখার্জি রোড। পুত্র গিরীশচন্দ্র ছিলেন সে যুগের নামকরা উকিল। তাঁর আমল থেকে পুজোর জৌলুস বৃদ্ধি পায়।
পুজোর শুরু
‘গিরীশ ভবন’-এর মুখোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজোর সূচনা ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে।

পুজোর বৈশিষ্ট্য
প্রতিমা সাবেকি একচালা রীতির মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি।

মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজোর বৈশিষ্ট্য হল— পরিবারের এয়োস্ত্রীরা নন, দশমীর সকালে প্রতিমা প্রদক্ষিণ করেন পরিবারের পুরুষ সদস্য এবং ব্রাহ্মণেরা। এই প্রথা চলে আসছে একেবারে শুরু থেকে।

এক কালে এখানে পুজোর সময়ে যাত্রা-নাটক অভিনয়ের চল ছিল। প্রতিবেশী উত্তমকুমারও অংশ নিতেন অভিনয়ে।

তথ্য ও ছবি: গৌতম বসুমল্লিক


দক্ষিণ গড়িয়ার বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ির পুজো
পুজোর শুরু
দক্ষিণ গড়িয়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো বেশ প্রাচীন। যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকলেও পরিবারের সদস্যের দাবি এটি প্রায় ৩২৫ বছরের পুরনো পুজো। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম স্টেশন থেকে অটোরিকশায় দক্ষিণ গড়িয়ার যদুনাথ বিদ্যামন্দিরের কাছেই বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাদালান।
এই পরিবারের যদুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজোর সূচনা করেন বলে জানা যায়।

পুজোর বৈশিষ্ট্য
জন্মাষ্টমীর পরের দিন নন্দোৎসব। সে দিন হয় কাঠামো পুজো। ওই দিন গরানকাঠের টুকরোকে কাঠামো হিসেবে পুজো করা হয়।

দেবীপক্ষের পঞ্চমীর দিন বোধন বসে। একচালা, বাংলা রীতির মহিষাসুরমর্দিনী, ডাকের সাজের প্রতিমা। সিংহ ও ময়ূর ব্যতীত অন্য দেবতাদের বাহন থাকে না।

নবমীতে আখ, ছাঁচিকুমড়ো ও কলা বলি হয়।

দশমীর দিন এখনও প্রতিমা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে গিয়ে পারিবারিক পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।

তথ্য: গৌতম বসুমল্লিক
ছবি: পিন্টু মণ্ডল
 
হাওয়াবদল
উত্তর ২৪ পরগনা
• বনগাঁর বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো
উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট
• বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
শ্বশুরালয়ের পুজো
• ব্রহ্মানন্দ মহারাজের বাড়ির পুজো
কলকাতা
• কল্যাণপুর বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি
• ভবানীপুর মুখোপাধ্যায়
পরিবারের পুজো
বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো
হুগলি: আরামবাগ
• ‘জলকর’ রায় পরিবারের পুজো
• খামারবেড় গ্রামের পুজো
হুগলি
ধনেখালির তেধারার দে-বাড়ির পুজো
শ্রীরামপুরের চাতরার ভট্টাচার্যবাড়ির পুজো
মেদিনীপুর
পরমানন্দপুরের ঘোষ পরিবারের পুজো
• কিশোরনগর গড়ের দুর্গাপুজো
বর্ধমান
বোরহাটের দেবেন্দ্রভবন
ইদিলপুর ঘোষবাড়ির পুজো
নতুনগঞ্জের দাসবাড়ির পুজো
পুরুলিয়া
কাশীপুর রাজবাড়ির পুজো
হদলনারায়ণপুর গ্রামের
মণ্ডল পরিবারের পুজো

সিমলাপাল রাজবাড়ির পুজো
মুর্শিদাবাদ
কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ির পুজো
ডোমকলর পালবাড়ির পুজো
নতুনবাজার সেনবাড়ির দুর্গাপুজো
উত্তরবঙ্গ

বসাকবাড়ির পুজো
• বাচামারির সেনবাড়ির পুজো
দে বাড়ির পুজো

আশ্রমে মাতৃবন্দনা
• পুরুলিয়ার বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমের পুজো
• আমতার খড়িয়প আশ্রমের ‘জীবন্ত দুর্গা’ পুজো