১৪ আশ্বিন ১৪১৮ শনিবার ১ অক্টোবর ২০১১


আশ্রমে মাতৃবন্দনা
পুরুলিয়ার বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমের পুজো
অবসর ও বিবর্তনের পথ বেয়ে বদলে গেছে ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর আঙ্গিক। এখন পুজোর দিনগুলিতে বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমে পাত পেড়ে পঞ্চগ্রামের মানুষদের প্রসাদ খাওয়ানোর চল প্রায় স্তিমিত। আগে পুজোর সময়ে যে শঙ্খচিলটি পুজোমণ্ডপে আশ্রমের উপর উড়ে বেড়াত, সেই শঙ্খচিল এখন আসে বিজয়ার দিন ঘট বিসর্জনের সময়। তা স্বত্বেও রামচন্দ্রপুরে বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমে অসীমানন্দ সরস্বতী কর্তৃক প্রবর্তিত পুজো নিজ ঐতিহ্যে ও লোকগাথায় অমলিন।
পুজোর শুরু
রামচন্দ্রপুরের বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমের পুজো আদতে চক্রবর্তীদের পারিবারিক পুজো হলেও অসীমানন্দ সরস্বতীর জীবদ্দশায় সেই পুজো ছিল অধুনা সাঁতুড়ি ও নিতুড়িয়া ব্লকের বাসিন্দাদের নিজস্ব পুজো। ১৯৩৮ সালে বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমে ঘটপুজো শুরু হয়। প্রবর্তক ছিলেন অসীমানন্দ।

পুজোর বৈশিষ্ট্য
বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমের পুজো হয় সম্পূর্ণ বৈষ্ণব মতে। দোচালার মূর্তি আশ্রমের এই পুজোকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।

১৯৪১ সালে হয় সপ্তমতী হোম। সেই বছর মহাষ্টমীর দিনে এই হোমের সময়ে ঘটেছিল অলৌকিক এক ঘটনা। প্রাঙ্গণে হোম করার সময়ে শুরু হয় বৃষ্টি, কিন্তু আশ্চর্য ভাবে অশ্বত্থগাছের তলায় পঞ্চমুণ্ডির আশ্রমের যজ্ঞকুণ্ডে এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়েনি।

পুজো ঘিরে রয়েছে আরও বেশ কিছু লোককাহিনি। হোমের বেদীর পাশেই ঠাকুরঘরে ঘট স্থাপন করে দুর্গাপুজো হয়েছিল। সন্ধিপুজোর পর ঠাকুর ঘরে সিঁদুর ছড়িয়ে ঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দরজা খুলে দেখা যায় সিঁদুরের উপর কয়েকটি ছোট ছোট পায়ের ছাপ পড়েছে।

একাধারে পুজো ঘিরে অলৌকিক ঘটনা, অন্য দিকে পুজোর দিনগুলিতে অকাতর দরিদ্র সেবা। ওই দুইয়ের মিশেলই বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমের পুজোকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। বর্তমানে অবশ্য দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুজোতেও পরিবর্তন এসেছে। পুজোর আড়ম্বর কমেছে। ভাটা পড়েছে বস্ত্র বিতরণে। উত্সাহ কমে গেলেও পুজোর সময়ে পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়ানোর প্রথা একেবারে হারিয়ে যায়নি। এককথায়, প্রসাদ থেকে বঞ্চিত হয় না পঞ্চগ্রামের কোনও মানুষই।

তথ্য: শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল
ছবি: সুজিত মাহাতো


আমতার খড়িয়প আশ্রমের ‘জীবন্ত দুর্গা’ পুজো
স্বামীজির ছোট বোন যোগীন্দ্রবালাদেবীর বিয়ে হয়েছিল আমতার খড়িয়প গ্রামের জমিদার বাড়িতে। মাত্র বাইশ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীজির মৌলিক চিন্তার মধ্যে নারী জাগরণের স্থান ছিল বিশেষ ভাবে। তারই প্রকাশ দেখেছিলেন ভগিনী যোগীন্দ্রবালার মধ্যে। সেই ভাবে শিক্ষিত করে তুলেছিলেন যোগীন্দ্রবালাকে। তাঁর মৃত্যু স্বামীজির মনে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করে। জমিদারীর এক খণ্ড জমিতে শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণদেব, শ্রীশ্রীমা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শে গড়ে উঠেছে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহার। বারো বছর ধরে সমাজসেবার মাধ্যমে পুজো উদযাপন হয়ে চলেছে।
পুজোর শুরু
স্বামী বিবেকানন্দের কাছে সারদা মা ছিলেন ‘জীবন্ত দুর্গা’। তিনি মূর্তি পুজো না করে তাঁর পুজোই করেছিলেন।

পুজোর বৈশিষ্ট্য
শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহার আশ্রমের পুজো সম্পন্ন হয় সারদাদেবীর পটে।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে দেবীর বোধন-আমন্ত্রণ-অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপুজো। চলে চার দিন। পঞ্চমীর রাতে মৃন্ময়ীদেবীকে আনা হয় কুমোরটুলি থেকে। গভীর রাতে দেবীকে প্রদীপ-ধূপ-চামর সহ শঙ্খধ্বনিতে স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে সারদাদেবীকেও স্থাপন করা হয় মণ্ডপে।

মহালয়ার দিন সন্ধ্যায় অঞ্চলের মায়েদের ধূপ, দীপ, ফুল, আতর, চামর-সমারোহে আরতি করে অর্ঘ্য নিবেদনে ‘মাতৃবরণ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সূচনা হয় দেবীপক্ষের। তবে এই আশ্রমে দেবীর বিসর্জন নেই। হয় ঘর-বদল। অর্থাৎ মণ্ডপ থেকে দেবীপটকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্দরে।

প্রায় কুড়ি বিঘা জমিতে ফল-ফুল আর দু’টি পুকুর ঘিরে গড়ে উঠেছে আশ্রম। একটি সারদাদেবী নামাঙ্কিত মায়ের পুকুর। পুকুরের জল ব্যবহৃত হয় পুজোর যাবতীয় কাজে। অন্যটি শ্রীরামকৃষ্ণদেব নামাঙ্কিত পুকুর। সেখানে মৃন্ময়ীমূর্তি বির্সজন হয়।

ভোগ বিশেষত্ব
গত বছর মহা অষ্টমীতে ভোগগ্রহণে অংশ নিয়েছিলেন ছাব্বিশ হাজার ভক্ত। এ ছাড়াও ষষ্ঠী, সপ্তমী ও নবমীতে হাজার তিনেক ভক্ত দেবীর প্রসাদ পান। পুজোর ক’টি দিনে ভোগপ্রসাদ হয় খিচুড়ি ও পোলাও।

তথ্য ও ছবি: পাপিয়া মিত্র
 
হাওয়াবদল
উত্তর ২৪ পরগনা
• বনগাঁর বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো
উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট
• বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
শ্বশুরালয়ের পুজো
• ব্রহ্মানন্দ মহারাজের বাড়ির পুজো
কলকাতা
• কল্যাণপুর বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি
• ভবানীপুর মুখোপাধ্যায়
পরিবারের পুজো
• বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো
হুগলি: আরামবাগ
• ‘জলকর’ রায় পরিবারের পুজো
• খামারবেড় গ্রামের পুজো
হুগলি
ধনেখালির তেধারার দে-বাড়ির পুজো
শ্রীরামপুরের চাতরার ভট্টাচার্যবাড়ির পুজো
মেদিনীপুর
পরমানন্দপুরের ঘোষ পরিবারের পুজো
• কিশোরনগর গড়ের দুর্গাপুজো
বর্ধমান
• বোরহাটের দেবেন্দ্রভবন
• ইদিলপুর ঘোষবাড়ির পুজো
• নতুনগঞ্জের দাসবাড়ির পুজো
পুরুলিয়া
কাশীপুর রাজবাড়ির পুজো
হদলনারায়ণপুর গ্রামের
মণ্ডল পরিবারের পুজো

সিমলাপাল রাজবাড়ির পুজো
মুর্শিদাবাদ
কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ির পুজো
ডোমকলর পালবাড়ির পুজো
নতুনবাজার সেনবাড়ির দুর্গাপুজো
উত্তরবঙ্গ
বসাকবাড়ির পুজো
• বাচামারির সেনবাড়ির পুজো
দে বাড়ির পুজো
আশ্রমে মাতৃবন্দনা
• পুরুলিয়ার বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমের পুজো
• আমতার খড়িয়প আশ্রমের ‘জীবন্ত দুর্গা’ পুজো