টরন্টো |
আমার পুজো |
টরন্টোর আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে না বেড়ালেও বা প্রকৃতিতে কাশফুলের হিল্লোল না উঠলেও ম্যাপল পাতায় কিন্তু লেগেছে রঙের ছোঁয়া। চতুর্দিক যেন মায়ের আগমনী বার্তায় সরগরম। সাগরপারে বসে, মন কেবলই ছুঁতে চায় কৈশোরের সেই পুজোর দিনগুলিকে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই পুরনো দিনগুলোয়। আর সেই কারণেই, মানে, পাড়ার পুজোর আড্ডা আর নতুন জামার গন্ধে মোড়া শৈশবের স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনতেই আয়োজিত হয়েছিল আমাদের প্রথম মাতৃ আরাধনা। |
|
পুজোর শুরু |
টরন্টোর মিসিসাগা অঞ্চলে ‘নর্থস্টার মন্টেসরি প্রাইভেট স্কুল’–এ এই বছরই দেবী বন্দনার শুভারম্ভ।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র-সহ অন্যান্য পেশায় যুক্ত কিছু তরুণ বাঙালির ভাবনা আর অতি উত্সাহেই এই পুজোর জন্ম। নতুন প্রজন্মের প্রাণখোলা আনন্দ, উদ্দীপনা ও নতুন কিছু করার ইচ্ছেই ‘আমার পুজোর’ মূল চালিকা শক্তি। |
পুজোর বৈশিষ্ট্য |
নৌকা, শকট, গজ বা অশ্বে নয়, সুদূরপারের ভক্তবৃন্দের ডাকে সাড়া দিতে মহিষাসুরমর্দিনী, কুমোরটুলি থেকে আকাশপথে এসে পৌঁছেছেন টরন্টোতে।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী নিখিল পালের নিখুঁত শিল্পকলার নিদর্শন এই একচালা ডাকের সাজের মৃন্ময়ী প্রতিমা।
এখানকার পুজো তথাকথিত বিশুদ্ধ মতে অনুশাসিত নয়। এই পুজোর থিম—
প্রাণের টান, অন্তরের ভক্তি আর সকলে মিলে আনন্দ করা। পুজো হচ্ছে সপ্তাহান্তে। পৌরোহিত্যে রমেন মুখোপাধ্যায়।
পুজোর অনুষ্ঠানে নিয়মনিষ্ঠার কোনওরকম ত্রুটি নেই। প্রতিটি কাজে ছোট বড় সকলেরই অদম্য উৎসাহ। এ যেন এক পারিবারিক অনুষ্ঠান। নতুন এবং পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠা, নির্ভেজাল আড্ডায় পুরনো সেই শারদীয়ার দিনগুলির রোমন্থন, ভক্তিভরে পুষ্পাঞ্জলি আর ভুরিভোজ—– ভরপুর সূচি! এর সঙ্গে আছে এ বেলা ও বেলা নিত্যনতুন পোশাক, সাজগোজ, আর প্রতি রাতে গানের অনুষ্ঠান-সহ বাচ্চাদের অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের দুষ্টুমির ঝলক। আনন্দে মেতে ওঠা এবং নিজের দেশ থেকে দূরে বেড়ে ওঠা এই ছোট ছোট শিশুগুলিকে নিজেদের সেই আনন্দ মুখর শৈশবের সঙ্গে পরিচয়ই করানোই ‘আমার পুজোর’ মূল লক্ষ্য।
|
ভোগ বিশেষত্ব |
পারিবারিক তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত হবে দেবীর পঞ্চব্যঞ্জন, মুগডাল, ভাত, পাঁচ রকমের ভাজা, শুক্তো, লুচি, পনিরের তরকারি, চাটনি, পায়েস, মালপোয়া ও মিষ্টি। নিয়ম সাপেক্ষে পুজোর এই দুই দিনে থাকবে আমিষ ভোগের বন্দোবস্ত।
দেবীর পঞ্চব্যঞ্জন ও ভোগ তৈরি করবেন বাড়ির মেয়েরা। সেই ভোগ নিবেদিত হবে দেবীর জন্য নির্দিষ্ট আলাদা বাসনে।
|
পুজোর আকর্ষণ |
প্রতিদিন সন্ধেয় ‘আমার পুজো’ টরন্টোর তরফ থেকে রয়েছে নানান ধরনের
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে দেখানো হবে কিছু পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র। নিজেদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ‘আমার পুজো’ থেকে করা হয়েছে কিছু ‘ফুড অ্যান্ড ফান্ড চ্যারিটি’র ব্যবস্থা।
|
এ বারের পুজো |
পুজোর নির্ঘন্ট |
০৮ অক্টোবর শনিবার ২০১১ |
সকাল ৯:০০ থেকে দুপুর ১২:৩০ ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী পুজো |
দুপুর ১২:৩০ থেকে ১:০০
পুষ্পাঞ্জলি |
দুপুর ১:৩০ থেকে ৩:০০
ভোগ বিতরণ |
সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:০০
সন্ধ্যারতি |
রাত্রি ৭:০০ থেকে ৯:০০
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান |
০৯ অক্টোবর রবিবার ২০১১ |
সকাল ৯:০০ থেকে দুপুর ১২:০০
নবমী, দশমী পুজো |
দুপুর ১২:০০ থেকে ১২:৩০
পুষ্পাঞ্জলি ও বিসর্জন |
দুপুর ১২:৩০ থেকে ১:৩০
দেবী বরণ ও সিঁদুর খেলা |
রাত্রি ৬:০০ থেকে ৮:০০
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা |
|
|
উদ্যোক্তা |
‘আমার পুজো’ টরন্টো
নর্থ স্টার মন্টেসরি প্রাইভেট স্কুল
৪৯০০ টমকেন রোড, মিসিসাগা, অন্টারিও, এল ৪ ডব্লিউ ১ জে ৮
কানাডা
ওয়েবসাইট: http://www.amarpujotoronto.com
ই-মেল: info@amarpujotoronto.co
|
তথ্য: রিনা নাগ, টরন্টো |
|
|
|