জার্মানি |
স্টুটগার্টের দুর্গাপুজো |
বসন্তে, সবুজের সমারোহে আর শীতে, রুপোলি বরফে ঢাকা কবিগুরুর স্নেহধন্য আল্পস পর্বতের উপত্যকায় নববধূর মতো মাথা নত করে রয়েছে স্টুটগার্ট শহরটি। ইউরোপ ভ্রমণে এসে রবীন্দ্রনাথ শহরটির প্রেমে মজেই শুধু যাননি, দীর্ঘদিন কাটিয়েও গিয়েছেন এখানে। পাঁচের দশকের গোড়াতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত জার্মানির দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটিতে প্রতিষ্ঠা পায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘ভারত মজলিস’। কৌলিন্যের বিচারে এটি জার্মানির প্রথম বিদেশি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃত। |
|
পুজোর শুরু |
আজ থেকে আঠাশ বছর আগে প্রথম ঢাকের গায়ে কাঠি পড়েছিল এই পুজোয়। উদ্যোক্তা, প্রবাসী ভারতীয় সমাজ।
|
পুজোর বৈশিষ্ট্য |
প্রখ্যাত শিল্পী অমরেন্দ্র ঘোষের হাতে গড়া এখানকার ডাকের সাজের প্রতিমা। রয়েছে জরি ও চুমকির চোখ ধাঁধানো কাজ।
পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন লন্ডনের রঞ্জন ভট্টাচার্য। পুজোর পর দেবীকে আবার বাক্সবন্দি করে পরের বারের জন্য তুলে রাখাই এখানকার রেওয়াজ। নির্ঘন্ট অনুযায়ী মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমীর বিবিধ আচার নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়।
অষ্টমীর সন্ধেতে কুমারীপুজোর রেওয়াজ এখানে আছে।
বিজয়া দশমীর সন্ধেতে মহিলারা সিঁদুর খেলেন। তারপর শান্তিজল ছিটিয়ে পুজোর সমাপ্তি ঘোষণা হয়।
|
ভোগ বিশেষত্ব |
পুজোর দিনগুলিতে নিরামিষ খাওয়ার নিয়ম চলে আসছে সেই প্রথম দিন থেকে। আমিষ, নৈব নৈব চ! পদের মধ্যে আছে খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, পাঁচমিশেলি তরকারি, বাঁধা কপি আর ফুলকপির ডালনার সঙ্গে পাঁপড় ভাজা আর চাটনি।
মিষ্টির দায়িত্ব সাধারনত লন্ডন অথবা কলকাতার হালুইকরদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। মা-মাসিদের ভূমিকা এখানে নেই বললেই চলে। পুজোর দায়িত্বে এগিয়ে এসেছেন নতুনরাই।
|
পুজোর আকর্ষণ |
প্রতিদিন সন্ধেতে আরতির পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতীয় ও বাংলাদেশি শিল্পীদের সমারোহ।
|
উদ্যোক্তা |
প্রবাসী ভারতীয় সমাজ
ই-মেল: durgapujainstuttgart@t-online.de
|
তথ্য: দিব্যেন্দু চৌধুরি, স্টুটগার্ট |
|
|
|