মহাকরণে মমতার পাশে হাজির মাওবাদী সুচিত্রা |
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: বিনপুরের বুড়িশোল জঙ্গলে কিষেণজির মৃত্যুর পরে যৌথবাহিনীর নজর এড়িয়ে সুচিত্রা মাহাতো পালালেন কী করে, এ নিয়ে জল্পনা ছিলই। প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে কি ওই মাওবাদী নেত্রী দলের স্কোয়াড সদস্যদের সঙ্গে ‘গোপন শিবিরে’ না-থেকে অন্য কোনও ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ আছেন?
ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে, শুক্রবার দুপুরে রাজ্যের একাধিক পুলিশকর্তার ঘেরাটোপে মহাকরণে এলেন সুচিত্রা। তাঁকে পাশে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আজ আমার ভাল লাগছে। সুচিত্রা আত্মসমর্পণ করতে এসেছে। ও বহু দিন মাওবাদী আন্দোলনে ছিল। নেতৃত্ব দিয়েছে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” |
|
|
ছদ্মবেশী সুচিত্রাকেই প্রশ্ন,
‘সুচিত্রা কোথায়?’
|
কিংশুক গুপ্ত, ঝাড়গ্রাম: দু’হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল চালানোয় অসম্ভব দক্ষ। ছদ্মবেশ ধরতেও জুড়ি মেলা ভার। প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁকে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে কখনও কখনও দোকানে চা খেতেও দেখা যেত। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই হাওয়া হয়ে যেতেন মাওবাদী দম্পতি শশধর ও সুচিত্রা মাহাতো। শুক্রবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে সুচিত্রার আত্মসমর্পণের পরে একান্ত আলাপচারিতায় এ সবই জানাচ্ছিলেন রাজ্য পুলিশের এক কর্তা। বস্তুত, লালগড় অঞ্চলে মাওবাদী স্কোয়াডের অন্যতম জঙ্গি নেত্রী সুচিত্রাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে এমনই নানা তথ্য। |
|
স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কোতুলপুর ও
দেবব্রত দাস, খাতড়া: মহাকরণের পোডিয়ামে সুচিত্রা মাহাতোকে নিয়ে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন, তখন এক পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বছর ঊনচল্লিশের যুবকটি।
মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা নিজের আত্মসমর্পণ নিয়ে দু’চার কথা বলার পরেই মাইক্রোফোনের সামনে চলে এলেন ওই যুবক। প্রবীর গড়াই। সুচিত্রার দ্বিতীয় স্বামী। বর্তমানে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার রানারহাট গ্রামে বালি খাদানের ব্যবসায় যুক্ত। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রের খবর, বালির ব্যবসার পাশাপাশি পৈতৃক চাষবাস সামলান প্রবীর। |
ছত্রধর-শশধরকে
চিনতেন প্রবীরও
|
|
ধর্মঘটে গরহাজিরায়
বেতনে কোপ
স্কুল-কলেজেও |
পরিবহণের হাল
ফেরাতে ‘তামিল-দাওয়াই’
খুঁজছে রাজ্য |
|
রং খেলতে গিয়ে ঝামেলা, গুলিবিদ্ধ ১ |
|
ছাত্রের সাজে খেলনা পিস্তল নিয়ে ডাকাতি |
|
টুকরো খবর |
|
|