|
|
|
|
ছাত্রের সাজে খেলনা পিস্তল নিয়ে ডাকাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পায়ে ‘স্নিকার’, পিঠে কালো ব্যাগ। বিশ-বাইশের ওই তরুণদের দেখলে কলেজের পড়ুয়া বলে মনে হতেই পারে। ‘আপাত নিরীহ’ ওই তরুণেরাই পিস্তল নিয়ে একের পর এক ডাকাতি করছিল নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়।
কিন্তু ওই স্নিকার আর কালো পিঠ-ব্যাগই শেষ পর্যন্ত কাল হল ডাকাতদলটির। ডাকাতদের চেহারা এবং পোশাক সম্পর্কে একই তথ্য পেয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, এই দলটিই গত ৪ ফেব্রুয়ারি ডাকাতি করেছিল খড়দহের ডাঙাপাড়ার মাঠপাড়ায়। নদিয়া পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যেও জানা যায়, রানাঘাটে দু’টি ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত ছিল ‘স্নিকার’ পরা, পিঠে কালো ব্যাগ নেওয়া দলটি। তার পরেই বুধবার রাতে খড়দহ থেকে ডাকাতদলটিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডাকাতদের ধরার পরে হতভম্ব তদন্তকারীরাও। কারণ, ওই ডাকাতদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি খেলনা পিস্তল! তদন্তকারীরা জানান, বাড়িতে ঢুকে খেলনা পিস্তলটি দেখিয়েই তারা লুঠপাঠ চালাত বলে ওই দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অসিত সিকদার, মেহতাব বিশ্বাস, সুজিত চৌধুরী ওরফে সৈনিক। তাদের ধরা হয়েছে খড়দহের জ্যোতি কলোনি থেকে। ধৃতদের জেরা করে পাশের আনন্দময়ী কলোনি থেকে আনিসুর মণ্ডল, রাজু চক্রবর্তী ও শুভ সমাদ্দার নামে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ছ’জনই সম্প্রতি ওই দু’টি এলাকায় ঘর ভাড়া নিতে থাকতে শুরু করেছিল।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা-প্রধান দীপনারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘ওই সব ডাকাতির ব্যাপারে স্পোর্টস শু আর কালো ব্যাগটাই আমাদের সূত্র দিয়েছিল। লুঠের কিছু গয়না, নগদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে ধৃতদের কাছে। আটক করা হয়েছে একটি খেলনা পিস্তল। সেটি দিয়েই ভয় দেখিয়ে লুঠ করত দুষ্কৃতীরা। খেলনা পিস্তল ছাড়াও আসল ভোজালি দু’খানা, ১০টি বোমা এবং বোমার মশলা আটক করা হয়েছে।’’ |
|
|
|
|
|