|
|
|
|
রং খেলতে গিয়ে ঝামেলা, গুলিবিদ্ধ ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রং খেলার সময়ে দক্ষিণ শহরতলিতে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক ব্যক্তি। তন্ময় নন্দী নামে ওই যুবক মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত রমেশ দাস ওরফে বাপ্পা নামে এক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা। গ্রেফতার হয়েছে আরও তিন জন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে রবীন্দ্রনগর থানার রামদাসহাটি এলাকায় দুই দলের মধ্যে রং খেলা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। তন্ময়ের মা শেফালিদেবী বলেন, “আমার ছেলে বাড়িতেই ছিল। ক্লাবের মাঠে চেঁচামেচি শুনে বেরোয়। হঠাৎ জানতে পারি, ওর মাথায় গুলি লেগেছে।” এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ওই সময়ে গুলি ও বোমা ছোড়া হচ্ছিল।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, তন্ময়ের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার নানা জায়গায় জুয়ার ঠেক চলছে। কয়েক জন তৃণমূল নেতা তাতে মদত দিচ্ছেন। ওই ঠেকের দুষ্কৃতীরাই স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের উপরে হামলা চালায়। তন্ময় ছাড়াও আরও ৫ জন জখম হন। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় সমাজবিরোধীদের উপদ্রব বেড়েছে। পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি।
জখম তন্ময় নন্দী |
স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতে জুয়ার ঠেক চলার অভিযোগের বিষয়ে মেটিয়াবুরুজের বিধায়ক মমতাজ বেগম বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করুক।” পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
তবে কলকাতা শহরে দোলের দিন বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে অভব্য আচরণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গোলমাল, বেআইনি অস্ত্র রাখা ইত্যাদি অভিযোগে ৬৯১ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে জানান যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম। আরও ৬ জন মারধর-সহ নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সল্টলেকের সংযুক্ত এলাকা দত্তাবাদে গোলমালের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা মত্ত অবস্থায় গোলমাল করছিল বলে অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীদের মারধোর ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দত্তাবাদে হঠাৎ দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। বিধাননগর (দক্ষিণ) থানা থেকে পুলিশ গেলে মহিলাদের সামনে দাঁড় করিয়ে পুলিশের দিকে ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর হয় পুলিশের একটি গাড়ি। কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিধাননগরের উত্তর ও পূর্ব থানা থেকে বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। দোলের দিন সমগ্র বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে মোট ১১০ জন গ্রেফতার হয়েছে।
এ দিকে, টিটাগড় থানার সূর্যপুরে দোলের দিন নেশা করে গণ্ডগোল পাকানোর ঘটনায় দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের দু’টি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান দীপনারায়ণ গোস্বামী বলেন, “নেশা করে দু’দল মারামারি করছিল। পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশের উপরেও হামলা হয়।” |
|
|
|
|
|