নয়ডা |
বলাকার ডানায় ভর |
বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি, ‘ঘরকুনো’ বদনাম ঘুচিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, কোথাও তার উপস্থিতির অভাব নেই। ভোজনরসিক এবং আড্ডাপ্রিয় বাঙালি যেখানে গিয়েছে, সঙ্গে নিয়ে গেছে হজম-সহায়ক চূর্ণ অর্থাৎ নির্ভেজাল আড্ডা, রসনা নিবৃত্তের জন্য সুস্বাদু ভোজনসামগ্রী, তাদের সংস্কৃতি আর সর্বাধিক প্রিয় দুর্গোৎসব। দেখুন না, শুধু নয়ডাতেই নেই নেই করে কয়েক হাজার বাঙালি বর্তমানে বিরাজমান! নয়ডাতে আয়োজিত হয় প্রায় গোটা তিরিশেক দুর্গাপুজো।
বলাকার শারদোৎসব এ বার চতুর্থ বর্ষে পড়ল।
|
|
পুজোর আকর্ষণ |
নয়ডার বলাকার ২০১১-১২ বর্ষ শুরু হয়েছিল বর্ষবরণ এবং রবীন্দ্রবন্দনার মধ্য দিয়ে। আর শেষ হয়েছিল লোভনীয় নৈশভোজে। বর্ষব্যাপী আয়োজনের পসরাতে ছিল পরম আকাঙ্ক্ষিত দুর্গাপুজোও।
বলাকার সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে ‘২০১১ দুর্গোৎসব’ বলাকার পরিচিতির পরিধিকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করে তুলেছিল। বলাকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সপ্তমীতে শ্রাবণী-ব্রততীর অনুপম উপস্থাপনায় পালিত হয়েছিল রবিঠাকুরের সার্ধ্বশত জন্মবার্ষিকী, অষ্টমীতে স্বপন বসুর জমাটি লোকগীতি আর নবমীতে মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন সংগীত জগতের প্রতিভাবান নক্ষত্র বিনোদ রাঠৌর৷
|
|
এ বারের পুজো |
বলাকার এ বছরের দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয় পুজোর অনেক আগেই। সেক্টরের ৬১-র বিশাল কম্যুনিটি সেন্টারের প্রাঙ্গনে সাজো সাজো রব। এ বারের থিম ‘কলকাতার বনেদী বাড়ির দুর্গা মণ্ডপ’। শিল্পী রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত হরিদাস মালাকার। মূর্তিকার আনন্দ পাল। ১৮ অক্টোবর থেকে কম্যুনিটি সেন্টারের প্রাঙ্গন আলোতে আলোতে ঝলমল। ১৯ অক্টোবর আনন্দমেলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসব। ২০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ মিশনের পরম পূজনীয় ভক্তিরসানন্দজী মহারাজ।
মেলা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০ অক্টোবর থেকেই শুরু হয়— সপ্তমীতে শ্রীকান্ত আচার্য, অষ্টমীতে ভূমি এবং কলকাতার দয়াল বাবা, আর নবমীতে মুম্বইয়ের সমিধ মুখোপাধ্যায় ও অঙ্কিতা পাল। পাশাপাশি, আমাদের নিজস্ব পরিবেশনাগুলিও নয়ডাবাসীদের মন কেড়েছে।
|
উদ্যোক্তা |
বলাকা শারদীয়া দুর্গোৎসব
সেক্টর ৬১, নয়ডা |
তথ্য ও ছবি: অনুজ চক্রবর্তী, ভারত |
|
|
|
|