ফিনল্যান্ড
পূজারি অ্যাসোসিয়েশনের মাতৃ আরাধনা
ফিনল্যান্ড ৬ মাস বরফে আছন্ন থাকে। আমাদের এই প্রবাস জীবনে আজ দেশের শরতের কাশফুল ছুঁয়ে এক রাশ ঠান্ডা বাতাসের যেন হেলসিঙ্কিতে আগমন— শারদোৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে। আকুল করা মন মুহূর্তে স্মরণ করিয়ে দেয় দেশের পুজোর কথা।
পুজোর শুরু
২০০৮ সালে কয়েকটি হিন্দু পরিবার মিলে প্রথম বার আয়োজন করে বিজয়া সম্মেলনীর। কিন্তু মা দুর্গার দর্শন না পেলে কী আর মন ভরে! তাই ২০১০ সালে গঠন করা হয় পূজারি অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিনল্যান্ড। পাঁচ-ছ’টি পরিবার থেকে চাঁদা তুলে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে আনা হয় দুর্গা প্রতিমা। এবং সেই সালেই প্রথম বার আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর।

পুজো ও ভোগ বৈশিষ্ট্য
বিদেশে সাধারণত ছুটির দিনগুলিতে (শনি ও রবিবার) কোনও স্কুল বা কলেজের অডিটোরিয়ামে পুজোর আয়োজন করা হয়। আমাদের পুজোয় পৌরোহিত্য করেন এক নেপালি পুরোহিত। তিথি অনুযায়ী পুজো করা সম্ভব না হলেও, নিয়ম নিষ্ঠার কোন ত্রুটি রাখেন না তিনি। পুজোর কাজে সাহায্য করে মায়েরা। শিশুরা মালা গাঁথা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। জিলিপি, সন্দেশ, রসগোল্লা— একান্নবর্তী পরিবারের মতো এক এক বাড়ি থেকে মহিলারা এই সব নানা রকমের মিষ্টি বানিয়ে আনেন। আর থাকে ঢাকার মিষ্টি দই।

পুজোর আকর্ষণ
শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক বিশেষ আকর্ষণ। এ দেশে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও বাঙালি সংস্কৃতি মনে প্রাণে গ্রহণ করেছে তারা।

বিজয়া দশমীর সন্ধ্যাতে মহিলাদের মধ্যে সিঁদুরখেলা একটা বিশেষ আকর্ষণ। পুজোর দিনগুলিতে নিরামিষ খাবারের আয়োজন করা হয়। পুজোর পর দেবীকে বাক্সে বন্দি করে পরের বছরের জন্য তুলে রাখা হয়।

উদ্যোক্তা
পূজারি অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিনল্যান্ড
ওয়েবসাইট:

তথ্য ও ছবি: উৎপল পোদ্দার, ফিনল্যান্ড
 
হাওয়াবদল
ডেট্রয়েট
দুর্গা মন্দিরে দুর্গাপুজো
ফিনল্যান্ড
পূজারি অ্যাসোসিয়েশন
মন্ট্রিয়ল
ইন্ডিয়ান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন
নেদারল্যান্ডস
কল্লোল
টরন্টো
আমার পুজো
নয়ডা
বলাকা শারদীয়া দুর্গোৎসব
মাতৃবন্দনায় বিশ্ববাসী


অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.