জুলাই ২০১১



এই সংখ্যায় ‘জলের গল্প’
জলের মাঝে শতাধিক দ্বীপ ভেসে রয়েছে একা একা। কিন্তু তারা নিজেদেরকে জুড়ে নিয়েছে মাঝারি চওড়া ক্যানালের মাধ্যমে। বড়ই অদ্ভুত, জল দিয়ে আলাদা করা আবার জল দিয়েই জোড়া! সে জলেই ভাসছে দৈনন্দিনতা, জীবনের প্রয়োজনে শহুরে যাতায়াতও এক্কেবারেই জলপথে। আর সে জায়গায় ঘুরতে গেলেই জলযাত্রা বাধ্যতামূলক। কেন না জলের জীবন দেখতেই তো যাওয়া! এত ক্ষণে নিশ্চয়ই জায়গাটা ধরা পড়ে গেছে মগজে! ‘ভেনিস’। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আমারও পথ হাঁসের যে-পথ, জলের পথে যাত্রী,/ ভাসতে যাব ঘাটে ঘাটে ফুরোবে যেই রাত্রি।’ ভেনিস গেলে এ লেখা মনে পড়তে বাধ্য। জলের কথা উঠল যখন, ঘুরে আসা যাক তবে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ থেকে। সেখানেও রয়েছে জল-ঘেরা প্রচুর দ্বীপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর শুরুটা এ জায়গা থেকেই শুরু হয়েছিল। এখানেই ওবামার জন্মভিটে। এই দুই জায়গা ঘোরার গল্পের প্রতিটি পাতায় রয়েছে যে শব্দটি তার নাম জল। এ সংখ্যায় তাই ‘জলের গল্প’ আপনার কলমে। সঙ্গে ফোটো শপে পিন্ডারি যাওয়ার বর্ণনা, অবশ্যই ক্যামেরায়।


আপনার কলমে

‘আড্রিয়াটিকের রানি’
জলময় ভেনিস
ক্যানাল দিয়ে গন্ডোলা চলছে। গন্ডোলা দেখতে সরু সরু ছিপের মতো, পাতলা, কিন্তু সুন্দর কারুকার্য করা। একাদশ শতক থেকে এই গন্ডোলাগুলো চলছে। তখনকার সময়ে সেতু ছিল না কাজেই গন্ডোলাই এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাতায়াতের প্রধান বাহন। এখন গন্ডোলা হল লাক্সারি। গন্ডোলা চালকদের প্রথাগত পোশাক আছে— সাদা শার্ট,‌ সাদা জুতো, কালো ট্রাউজার, মাথায় লাল ফিতে জড়ানো শোলার টুপি। গন্ডোলায় চেপে ভেনিসের নাড়ি-নক্ষত্র দেখে, শুনে, বুঝে এলেন

হাওয়াই-এ
হাওয়া বদল
হাওয়াই প্রদেশের রাজধানী হনলুলু একটি আধুনিক শহর, যা ওয়াহু দ্বীপে অবস্থিত। এই শহরেই জন্ম বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। হাওয়াই আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত ৫০-তম প্রদেশ। সব দ্বীপগুলি মিলিয়ে জনসংখ্যা ১২ লক্ষের কিছু বেশি। বাসিন্দাদের মধ্যে বিবিধ জনজাতির লোক ও তাদের মিশ্রণ দেখা যায়, যথা জাপানি, পলিনেশীয়, চৈনিক, কোরীয়, ফিলিপিনীয় প্রভৃতি। এতো গেল বাইরের ফিরিস্তি। ভেতরের গল্পটা কী? হাওয়াইয়ের অন্দরের কথোপকথন শুনে কলম ধরলেন

বাঙালির পায়ের নীচে সর্ষে। দল বেঁধেই হোক বা একা, ফি বছর তিল্পতল্পা গুছিয়ে বেড়াতে না বেরোলেতার পেটের ভাত হজম হয় না।
যাতায়াত আর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা না হয় হল, কিন্তু এর পরও রয়েযায় টুকিটাকি কিছু দরকারি ব্যাপার যা বাদ গেলে বেড়ানোটাই
মাটি হয়ে যেতে পারে। তেমনইছোটখাটো অথচ অতি প্রয়োজনীয় তথ্যের হদিশ পাওয়া যাবে এই পাতায়।


ক্যামেরাও কথা বলে। সেই রং-বেরঙের ছবির সাম্রাজ্যেও অবাধ বিচরণ হাওয়াবদল-এর।
রঙিন মুহূর্তগুলিকে একের পর এক সাজিয়ে শোনানো হবে বেড়ানোর অন্যরকম গল্প।
এই সংখ্যায় ক্যামেরা শোনাবে
পিন্ডারি যাওয়ার গল্প।

মাঝ-মাসের সংযোজন
এখনও পাওয়া যাচ্ছে। তবে শেষের দিকে। শেষ? না সেটা ঠিক বলা যাচ্ছে না। কেননা এদিক ওদিক নজর করলেই তাকে দেখা যাচ্ছে। আর এখন তো সারা বছরই সে আছে বাজার জুড়ে। নানা রঙের, রকমারি আকারের, ভিন্ন ভিন্ন গন্ধ ও স্বাদে ভরপুর আম দেখে মন ঠিক রাখা মুশকিল-ই বটে। আমের গুণাগুণ নিয়ে কিছু বলার না থাকলেও আম-মাহাত্ম্য নিয়েই এ বার খানাতল্লাশি

আকাশ কালো করা মেঘ, তার পর বৃষ্টি, গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে ঝমঝম— এ রকম পরিবেশে খাওয়ার কথা ছাড়া আর কিছু ভাবাই
যায় না। সাদামাটা থেকে বাহারি নানা খাবারের নাম জুড়ে আছে এই ঋতুটির সঙ্গে। তবে বর্ষার সঙ্গে মাছের কেমন সম্পর্ক, সেটাই
এ বার স্বাদবদল-এর বিষয়। সঙ্গে বিদেশে রবীন্দ্র জন্মোত্সব পালনের বিস্তারিত খবর-সহ সংবাদের হাওয়াবদল

ছুটির একটু গন্ধ পেলেই মন কেমন উড়ু উড়ু করে। আর এত বড় একটা গরমের ছুটি চলে গেল, মন নিশ্চয়ই ডানা মেলে বেড়িয়ে এল
কোথাও না কোথাও! সে সব জায়গা ঘুরে ঠিক কী দেখা গেল, কেমন লাগল— ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ লিখে আমাদের দফতরে পাঠান।
মনোনীত লেখা হাওয়াবদলে প্রকাশিত হবে নির্ধারিত সময়ে। লেখা পাঠাবেন নীচের ঠিকানায়। বিষয়ে লিখবেন:
ছুটির গ্রীষ্ম, অন্য দৃশ্য।

 
‘হাওয়াবদল’ আপনার কেমন লাগছে? লেখা, ছবি ও অন্যান্য বিষয়ে আপনার মতামত জানান।
জবাব দেবেন লেখক স্বয়ং। লেখা পাঠানোর ঠিকানা:
হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com
 

এ যাবৎ ২০১১
lসাইপ্রাস
ও নায়াগ্রা
lলে-লাদাখ-কার্গিল
ও পুষ্কর
lকানকুন ও রকি
মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
lজাপান ও স্মোকি
মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
lনোভা স্কশিয়া
ও লঙ্কাভি
lকুরুম্মা ও
ইংলিশ চ্যানেল

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল স্বাদবদল • খানা তল্লাশি • পুরনো সংস্করণ