নুব্রা উপত্যকায় সে রাতে ছিল পূর্ণিমা
শেলী মিত্র
জীবনের অনেক ফেলে আসা মুহূর্তের মতো সেই সন্ধ্যাতেও মনে হয়েছিল— আজ যদি তুমি থাকতে আমার সঙ্গে! এই অনুভূতি বোধহয় প্রত্যেকের মনকেই উসকে দিয়েছিল সাঁঝবেলার সেই রুপোলি আলোয়। লাদাখের নুব্রা উপত্যকার সেই পূর্ণিমার সন্ধ্যায়!

লাদাখের রাজধানী লেহ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পেরিয়ে শিয়ক ও নুব্রা নদীর সঙ্গমে এই উপত্যকা অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উচ্চতায়। শিয়ক সিন্ধু নদের একটি শাখা। আর নুব্রার উত্পত্তি সিয়াচেন হিমবাহ থেকে। আদতে ‘লুমরা’ শব্দটিই অপভ্রংশ হয়ে নুব্রা নামে ব্যবহৃত হয়। নামের অর্থ ‘ফুলের উপত্যকা’ হলেও চারপাশের রুক্ষ্ম পাহাড় আর বালিয়াড়ির মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নুব্রা নদীর জল একেবারেই ঘোলাটে। বছরের বেশির ভাগ সময় বরফে ঢাকা থাকে এই অঞ্চল। আর অন্য সময় থাকে বালির ঢেউ! চাষবাসের একেবারেই অনুপযোগী এই জায়গার পরিচয় তাই ‘মাউন্টেন ডেজার্ট’।

নুব্রার পথে... পাহাড়ের উপর থেকে দেখা লেহ শহর
গত বছর লাদাখ ভ্রমণের এক রাত কাটানোর কথা ছিল নুব্রা উপত্যকায়। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনের দু’দিন আগেই আমাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ট্যুর কোম্পানি থেকে। ম্যানেজার অভিজিত্ চৌধুরীর এই ‘চেঞ্জ অফ প্ল্যান’-এর কারণ জেনেছিলাম ওখানে গিয়ে।

ঠিক ছিল সকাল সাতটায় রওনা দেব সকলে। কিন্তু বাঙালির সময়! প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে একটি ছোট এসি বাস ও একটি স্করপিও গাড়িতে যাত্রা শুরু হল আমাদের। লেহ পৌঁছনোর আগেই, কার্গিলে সিন্ধু নদ দেখতে গিয়ে উত্তেজনার গুঁতোয় পা ভেঙে আমি তখন কাহিল! ভেবেছিলাম এ যাত্রা হোটেলে বসেই সময় কাটবে। কিন্তু লেহর সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে করে দেখা গেল ভাঙেনি, মচকে গিয়েছে। এ ছাড়া, দলের বাকিদের উত্সাহ ও আশকারায়, এক পায়ে লাফাতে লাফাতে বেরিয়েই পড়লাম নুব্রার উদ্দেশে। অভিজিত্দা আমাদের সঙ্গে গেলেন না। দায়িত্ব দিলেন রহমান ভাইয়ের উপর, যিনি প্রায় ছায়াসঙ্গী হয়ে সর্ব ক্ষণ ছিলেন আমার পাশে।

দিনের আলো ফুটলেও, এখানে জনজীবন জাগে বেশ দেরিতে। ফাঁকা রাজপথ পেরিয়ে খুব তাড়াতাড়িই পৌঁছে গেলাম পাহাড়ি রাস্তায়। ভোরের পাহাড়ে সূর্যের প্রথম আলো, মেঘমুক্ত নীল আকাশ আর গাড়ির ভিতরে ভেসে বেড়ানো রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর— এমন সকাল! মনে থাকবে চিরকাল!
বাইক-বাহিনী মন্দির ও গিফট শপ
বরফ রাজত্ব
ফোটো-সেশন... সুগন্ধি চা হাতে...
এক সময় পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে নজরে পড়ল ছোট হয়ে আসা লেহ শহর। কোথাও পাহাড়ের অংশ ফাটিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন বসতি। আমার বসার ব্যবস্থা হয়েছিল বাসের পেছনের সিটে। সঙ্গের স্করপিওটি আসছে কি না দেখার ভার তাই অজান্তেই নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিয়েছিলাম! এক বার তার হদিস নিতে গিয়ে দেখি প্রায় ১০-১৫ জন মোটরবাইক আরোহী দল বেঁধে চলেছে অ্যাডভেঞ্চারের নেশায়। মনে হল দু’ তিন জন মহিলাও আছে তাদের মধ্যে। দু’জন আরোহীর হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো। আবার দু’ এক জন মনের মতো জায়গায় খানিক দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিচ্ছে। দলটা আমাদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে বাসের পাশ দিয়ে এগিয়ে গেল। তাদের সঙ্গে আবারও দেখা হল খারদুংলা-র ক্যান্টিনের সামনে। লেহ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে খারদুংলা, পৌঁছতে লাগল দেড় ঘণ্টা মতো। লাদাখ পর্বতমালার এই গিরিখাদ পৃথিবীর সর্বোচ্চ মোটর চলাচলের পথ, ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতায়। ১৯৭৬ সালে এই পাহাড়ি পথ তৈরি হলেও যান চলাচল শুরু হয় ১৯৮৮ সালে। দেশের অন্যান্য সীমান্ত পার্বত্য অঞ্চলের মতো এখানকার পথঘাটের দায়িত্ব সামলায় ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’। সিয়াচেনের ভারতীয় সেনা শিবিরের রসদ যায় এই পথেই। তাই সেনা জওয়ান চোখে পড়ে ইতিউতি। একটা ছোট্ট মন্দির, গিফট শপ ও কাফেটেরিয়াও রয়েছে। রিনচেন নামে সেই কাফেটেরিয়ায় পাওয়া যায় গরম ম্যাগি আর দারুচিনি দেওয়া চা। ঠান্ডার মধ্যে সেই সুগন্ধি চা বেশ উপাদেয়। অভিজিত্দার শত বারণ সত্ত্বেও আমরা সকলেই প্রায় আধ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলাম খারদুংলায়। বারণ করার কারণটা খুবই যথাযথ— লেহ থেকে বেশ অনেকটাই উঁচুতে এই গিরিখাদ। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বা অসুস্থ হওয়া এড়াতেই ছিল সেই সতর্কবাণী। কিন্ত কে কার কথা শোনে! খারদুংলা পৌঁছনোর বেশ আগে থেকেই পর্বতচূড়ায় বরফকুচি দেখা যাচ্ছিল। আর এ জায়গায় তো শুধুই বরফ। বয়স ভুলে সবাই কেমন শিশুর মতো লাফালাফি করতে লাগল। আমার দুই সহযাত্রী চম্পাদি আর কৌশিক বাসে এসে বলল তারা বরফে হাতের ছাপ দিয়ে এসেছে! বাসের ভেতর থেকেই সবার হাসিমুখ দেখছিলাম। আর নিজের উপর খুব বিরক্ত লাগছিল। এক সময় সাহস করে নেমেই পড়লাম। রাস্তায় বরফ না থাকায় একটু এ দিক ও দিক ছবি তুলে আবার গুটিগুটি বাসে এসে বসলাম।

পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নুব্রা নদী
আবার পথ চলা। রাস্তা কোথাও মসৃণ তো কোথাও নেই বললেই চলে। তবে গত কয়েক দিনে এই ছবির সঙ্গে আমরা সকলেই ভাল ভাবে পরিচিত হয়ে গিয়েছি। তাই রাস্তার দিকে কারওরই ভ্রূক্ষেপ নেই, সবাই মনোনিবেশ করেছে চারপাশের পাহাড়ে। এ বার আর কোথাও না দাঁড়িয়ে সোজা নুব্রা। এই উপত্যকায় জনবসতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও মূলত চারটি জায়গা— দিস্কিত, হুন্ডুর, সুমুর ও প্যানামিক-এ পর্যটকদের ভিড় জমে বছরের এই সময়ে— জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত, প্যানামিক-এর পর পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ। লাদাখের বেশ কিছু জায়গাতেই এমন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, কারণ এই অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান আর তিব্বত নিয়ে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না!

এক সময় পাহাড়ি রাস্তা ছেড়ে আমাদের বাস চলল সমতলের মধ্য দিয়ে। পাহাড় অনেক দূরে সরে গিয়েছে তখন। তবে সে পথও খুবই রুক্ষ্ম। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ছিল বলে কিছু টের পাওয়া যায়নি, না হলে সবাই বোধহয় ধুলো মেখে সাদা হয়ে যেতাম। এর পর হঠাত্ই এক নদীর দেখা পাওয়া গেল— এঁকেবেঁকে পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নুব্রা। খরস্রোতা, তবে মাঝে মাঝে বালির চর। ঘোলা জলের ধারে সবুজের খোঁজ মিলল, প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে। দুপুর হয়ে এসেছে। খিদেও পেয়েছে সবার। কিন্তু প্রকৃতির রূপে সবাই যেন সম্মোহিত! ঘোলা জল কখন যে বালির আস্তরণে পরিবর্তীত হয়েছে কেউই খেয়াল করিনি! হুঁশ ফিরল ছোট ছোট বালির ঢিবি দেখে। একেবারে মরুভূমির ছবি, যেখানে হাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ‘স্যান্ড ডিউন্স’! রাস্তার এক দিকে পাহাড়, আর অন্য দিকে এই মরু অঞ্চল হওয়ায় বাসের এক দিকে সবাই কেমন ধাক্কাধাক্কি করতে লাগল। ছবি তুলতে হবে যে! ড্রাইভার সাহেব ধমক দেওয়ায় আবার যে যার সিটে গিয়ে বসল।

বালির ঢেউ...
এর মিনিট কয়েক পরই পৌঁছলাম হুন্ডুর অঞ্চলের আমাদের ক্যাম্প সাইট-এ। সারি সারি তাঁবু টাঙানো— টু বেড রুম না বলে স্নানাগার সহযোগে ‘টু বেড টেন্ট’ বলাই ভাল। প্রত্যেকটি টেন্টের ঠিক মাঝখানে সুন্দর সাদা চাদরে মোড়া বিছানা পাতা, মোটা অথচ হাল্কা লেপ, সঙ্গে কম্বল, মাথার বালিশ। পাঁচ তারা হোটেলের সব কিছুই আছে কাপড়ের এই তিন কোণা ঘরে! নুব্রায় পর্যটকদের থাকার এই ব্যবস্থাই বোধহয় এই অঞ্চলের মূল আকর্ষণ। দশ-কুড়িটা টেন্ট নিয়ে এক একটা ছোট ছোট ক্যাম্প। আমার ‘টেন্ট-মেট’ চম্পাদি ফিসফিস করে বলল, “তুমি আস্তে ধীরে এসো, পায়ে ব্যথা তো! আমি গিয়ে সব থেকে ভাল টেন্টটা দখল করি।” ছোটদের জানালার ধারের সিটে বসার মতো সব্বাই তাই করছিল। আনন্দে কেমন আত্মহারা অবস্থা। এমন দুর্গম জায়গায় এমন ব্যবস্থা— সত্যিই মাথার ঠিক থাকে না। ‘অ্যাটাচ বাথ’-এ হাত-মুখ ধুয়ে, অন্য এক ‘ডাইনিং টেন্ট’-এ গিয়ে দুপুরের খাওয়া সেরে খানিক বিশ্রাম নেওয়ার কথা হল। কিন্তু তাঁবুর ভিতরে না গিয়ে সবাই ক্যাম্পের মাঝখানে এসে বসল— সরু করে বেড়া দেওয়া পরিষ্কার জায়গায় চেয়ার পাতা। রোদ ঝিলিক দিচ্ছে গাছ-গাছালির ফাঁক দিয়ে। গাছে থোকা থাকা অ্যাপ্রিকট আর মাঝখানে একটা লম্বা বাঁশের মাথায় রঙিন পতাকার শিরশিরানি। এই পতাকাগুলি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতীক। মন্ত্র লেখা নানা রঙের ছোট বড় এমন পতাকা দেখা যায় প্রায় সারা লাদাখ জুড়ে। লাদাখের বেশির ভাগ ভূমিপুত্রই বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। কার্গিল অঞ্চলে অবশ্য শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানদের বসতি দেখতে পাওয়া যায়। হুন্ডুর অঞ্চলের গোম্ফাটি বেশ নামকরা। ক্যাম্প পৌঁছনোর আগে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে সেই গোম্ফার দিকে। তবে এ বারে আর গোম্ফা দর্শন হয়নি। শুধু মাত্র একটি তোরণ দেখেই মন ভরাতে হয়েছে।
গোম্ফা তোরণ রঙিন পতাকা আ-এ...
উটের সওয়ারি...

বর্ণময় পাহাড় পাহাড়িয়া বন্ধু উপত্যকার জলধারা
বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ আবার গাড়িতে গিয়ে বসলাম সবাই। পাঁচ মিনিটে গাড়ি এসে দাঁড়াল দূর থেকে দেখা বালিয়াড়ির কাছে। দু’পাশে পাহাড় উঠে গিয়েছে তার নিজের খেয়ালে, মাঝখানে একটা সরু জলধারা, পাহাড়ের পাদদেশে ছোট ছোট ঝোপ হাল্কা হয়ে কিছুটা ঘাস-জমি, তার পরই বালির ঢিবি। প্রকৃতি তার সব কিছু দিয়ে উজাড় করে সাজিয়েছে নুব্রা উপত্যকা। জলধারাটি যেন গাড়ি-রাস্তাকে আলগোছে বিচ্ছিন্ন করেছে মূল বালিয়াড়ি থেকে। একটা ছোট কাঠের সেতু পেরিয়ে সবাই এগিয়ে চললাম মরুভূমির দিকে। কিছুটা গিয়ে আমি ঘাসের উপরেই বসে পড়লাম, জলের ধারে। এক হাঁটু স্বচ্ছ জল। নীচের নুড়ি-পাথর পর্যন্ত দেখা যায়। আধ কিলোমিটার মতো ঘাস-জমি কেমন হেলেদুলে হারিয়ে গিয়েছে বালির ঢেউয়ে। আর প্রথম ঢেউয়ের আগেই নজরে এল উটের সারি— পর্যটকদের সওয়ারির জন্য। আক্ষরিক অর্থেই মরুভূমি! দুই কুঁজওয়ালা উটগুলি আশপাশের গ্রামেই থাকে। বছরের এই কয়েকটা মাসই যা উপার্জন হয় তাদের! আমাদের দলের বেশ কয়েক জন সেই উপার্জনে সাহায্য করল। এ দিকে মচকানো পা নিয়ে একই জায়গায় বসে বসে চারপাশের আকাশ-পাহাড় দেখতে লাগলাম আমি। সূর্যের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বৈচিত্রময় হয়ে উঠছিল দু’ধারের পাহাড়। একটি সুন্দর দেখতে কুকুর কখন এসে পাশে বসেছে খেয়ালই করিনি। আমাকে একা বসে থাকতে দেখে বোধহয় সঙ্গ দিতে এসেছিল! এক সময় সূর্য লুকিয়ে পড়ল পাহাড়ের কোলে। আর আমার দলের লোকেরাও ফিরে এল আমার কাছে। রহস্য উন্মোচন করে রহমান ভাই এ বার বললেন দু’দিন আগেই আমাদের নুব্রা যাত্রার কারণ, “আজ পূর্ণিমা। চাঁদের আলোয় নুব্রার সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। সাদা বালিয়াড়ি দেখে মনে হয় রুপোর পাত।”

খুব আস্তে করে নেমে এল অন্ধকার। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে চাঁদ ওঠার। কৌশিকের সাহায্যে আমি তত ক্ষণে গিয়ে বসেছি একটা উঁচু ঢিবির উপর। বালিয়াড়ির উল্টো দিকে, দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল ক্যাম্পের আলো। অবশেষে এল সেই বহু প্রতিক্ষিত মুহূর্ত। মরুভূমি আলো করে পাহাড়ের রেখা ফুটিয়ে উঁকি দিল পূর্ণ চন্দ্র। মন্ত্রমুগ্ধের মতো এক দৃষ্টে কত ক্ষণ যে তাকিয়ে ছিলাম সে দিকে! নিস্তব্ধ চারপাশ। তার পর হঠাত্ই ‘ক্লিক... ক্লিক’— সবাই যেন প্রায় একই সময়ে সম্বিত ফিরে পেয়ে ছবি তুলতে তত্পর হয়ে উঠল। বাদ গেলাম না আমিও।

রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাটাও যেন বাড়ছিল। ফিরে এলাম নিজেদের পছন্দের ক্যাম্পে, প্রকৃতির উজাড় করা রূপ-রঙে মন-প্রাণ ভরিয়ে। আফশোস রইল শুধু ‘একাকিত্বের’। মন বলছিল, আজ যদি তুমি থাকতে আমার সঙ্গে!
ছবি: লেখক
লেখকের আরও ভ্রমণকথা
• সিরডি থেকে সিঙ্গানাপুর— ধর্ম দর্শনের পথে
• চেনা জায়গার অজানা ইতিহাস
‘মাতারানি’র দুয়ারে • ইতিহাসের বাণিজ্য পথে
• মন চল নিজ নিকেতনে কোচবিহারের রাস মেলা জয় বাবা কেদারনাথ
শুরুর শুরু এ তো দেখছি ঝিন্দের বন্দি এক ছুটে ভুটান



রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ