গড়তে গেলে...
ভাবী জেলার সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে কেন?
আলিপুরদুয়ার আমাদের প্রাণের শহর। আলিপুরদুয়ারের প্রধান রাস্তার দু’ধারে এক সময় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার ধরে ছিল ব্রিটিশ আমলে পোঁতা সারিবদ্ধ RAIN TREE গাছ। বহু স্থানে ছিল কৃষ্ণচূড়া। আজ সে সব চোখে পড়ে না। বিএফ রোড বড় হয়ে গাছ কাটা পড়েছে। শহর বেড়েছে গাছ কাটা পড়েছে। সে সব গাছ লাগানো হয়নি বা লাগানোর কোনও ভাবনা চিন্তাও করা হয়নি। রোদে খা খা করে বিএফ রোড। গাছ কেটে বাড়ি আর দোকানপাট হচ্ছে। বনদফতরের বা মহকুমাশাসদের এতে কিছু আসে যায় না। যোগগঞ্জ থেকে যে রাস্তাটি চওড়া হচ্ছে গাছ কেটে তাতেও ডিভাইডার-এ গাছ লাগাবার কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। শিক্ষিত উচ্চপদাধিকারীদেরও কি শহর পরিকল্পনায় গাছ লাগাবার কোনও ভাবনা জাগ্রত হয় না? দু’মাস ধরে মহকুমার পুরসভা শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার করার কাজটি বন্ধ রেখেছে। দুর্গন্ধে চলা দায়। নাক বন্ধ করে চলতে হয়। আবর্জনার স্তূপ এখানে ওখানে দৃশ্যমান। সর্বত্র রোগ জীবাণুর ছড়াছড়ি। আর এর মধ্যেই চলছেন নেতা-মন্ত্রী, ছাত্রছাত্রী, ডাক্তার, আমলা, জনদরদি সবাই। তেমন প্রতিবাদ আজ পর্যন্ত চোখে পড়েনি। আলিপুরদুয়ারের মানুষ হিসেবে এটা ভাবতে হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়। শহরের প্রধান সড়কগুলিতেও নোংরার স্তূপ দেখে চোখে জল আসে। হে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আপনাদের কাছে প্রশ্ন, আর কত দিন এই সুন্দরী আলিপুরদুয়ারকে অবহেলায় ফেলে রাখা হবে? রাস্তাঘাট নোংরা আবর্জনার স্তূপে ঢাকা দেখতে হবে? আর এই শহরের প্রধান সড়কগুলোর বুকে বা দু’ধারে বৃক্ষরোপণই বা কবে হবে?
জ্যোতির্ময় রায়, আলিপুরদুয়ার

আগবাড়িয়ে চলে আসুন কালদিঘিতে
পাখি দেখার নেশায় গঙ্গারামপুর ও আশপাশে যাঁরা ঘুরে বেড়ান তাঁদের কাছে কালদিঘি বড় প্রিয় জায়গা। শীতকালে গ্রে ল্যাগগুজ, গাড়োয়াল প্রভৃতি পরিযায়ী পাখিদের ঝাঁকের সঙ্গে ভিড় করে মরাল, কুট বা কটন টিলের মতো পাখিরা। আবার এই ভিড়েই মিশে থাকে বিভিন্ন ধরনের কমোরান্ট ডার্টার, গ্রে হেরন, পারপেল হেরনের মতো পাখিরা। মার্চের প্রথম দিকে পরিযায়ীদের ভিড় কমতেই দিঘি চলে যায় মুরহেন, ব্রোঞ্জ উইংড জারানা, ফেজেন্ট টেইলও জারানা, লিটল গ্রিব প্রভৃতি পাখিদের হাতে। এ ছাড়া দিঘির দু’ধারে গাছগাছড়াতে হরেক কিসিমের ছোট ছোট পরিযায়ী পাখি ও স্থানীয় পাখিরা তো আছেই। জনবহুল একটা জায়গার মাঝখানে পড়ে থাকা একটা দিঘিতে পাখিদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা যথেষ্ট কঠিন। আর স্থানীয়দের সাহায্য ছাড়া তো এটা একপ্রকার অসম্ভব। এর জন্য যেটা সবার আগে দরকার, সেটা হল, স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, দিঘির পরিবেশ ও পাখির সংরক্ষণের মাধ্যমে যাতে একটা বিকল্প আয়ের উৎস খোলে তার ব্যবস্থা করা। দক্ষিণ দিনাজপুরকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য যে সব সরকারি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তাতে কালদিঘি এবং এই পাখিরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারি পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হলে কালদিঘিও হয়তো ইকো ট্যুরিস্ট স্পট হিসাবে গড়ে উঠবে। আর ইকো ট্যুরিজম থেকে আয়ের উৎস খুললে স্থানীয়রাই হয়তো এই দিঘির পরিবেশ ও পাখিদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এই পরিকল্পনা তখনই সফল হবে যখন পাখিপ্রেমী ও পরিবেশপ্রেমী ট্যুরিস্টরা ভিড় জমাবে কালদিঘি ও দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্য সম্ভাবনাময় ইকো ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে। তাই আগবাড়িয়ে চলে আসুন কালদিঘিতে।
চন্দন পান্ডে। দক্ষিণ দিনাজপুর

বিদেশে বাঙালি সংস্কৃতির মনোনীত খবর এ বার আপনাদের চিঠিতে। অনধিক ২০০ শব্দে চিঠি পাঠাতে পারেন নীচের ঠিকানায়।
সুইত্জারল্যান্ডে স্বামীজি
সুইত্জারল্যান্ডের আল্পসের পাহাড় ঘেরা গ্রাম সাস ফে। এখানে স্বামী বিবেকানন্দ বেশ কিছু দিন ছিলেন। সম্প্রতি সেই গ্রামে জেনিভা রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে ও সেখানকার মেয়রের সহায়তায় স্বামী অমরানন্দ বিবেকানন্দের একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করলেন। পাশাপাশি যে হোটেলে স্বামীজি ছিলেন তার প্রধান দরজার পাশে লাগানো হয় তাঁর নামাঙ্কিত ফলক। এই উপলক্ষে সুইত্জারল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয়রা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন। তবে সাস ফে গ্রামটি ঘুরে দেখবার মতো। নিজের অজান্তেই সেই মহাপুরুষের বিশালতার ছায়ার আভাস পাওয়া যায় এখানে আসলে।
দীপাঞ্জনা ঘোষ, সুইত্জারল্যান্ড
 
মাতল যে প্রাণ আনন্দে...
  • স্বাধীনতা দিবসের উচ্ছ্বাস।

  • মুক্তির দৌড়... হুড়ার কাটাগোড়া গ্রামে।

  • স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতিতে মেতেছে খুদেরা।

  • মনসাপুজোয় ঠাকুর মণ্ডপে যাওয়ার পথে। বাঁকুড়ায়।

  • ঝুলনযাত্রা। বর্ধমান রাজবাড়িতে তারই প্রস্তুতি।

  • শান্তিনিকেতনের ‘শিশুতীর্থ’-এ বৃক্ষরোপণ ও বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠান।
    উপস্থিত ছিলেন অপর্ণা সেন, পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুর,
    বর্তমান অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিংহ-সহ বিশিষ্টেরা।

  • ঝুলন উপলক্ষে সেজে উঠেছে মেদিনীপুরের ‘শ্রী শ্যামানন্দ গৌড়ীয় মঠ’।

  • গাছ বাঁচাতে রাখি বন্ধন ধানবাদে।

  • বাঁধিনু যে রাখি...

  • ঝুলনযাত্রা... তমলুকের ৫০০ বছরের প্রাচীন মহাপ্রভু মন্দিরে।

  • কাটোয়ার কাছাড়িপাড়ায় ঝুলনে সেজেছে খুদেরা।

  • দুর্গাপুরের মার্কনী অ্যাভিনিউয়ে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা।

  • বোলপুরের রেল ময়দান... মায়ের কাছে ফিরতে চেয়ে কান্না খুদে কৃষ্ণের।

  • গোপাল সাজে... জন্মাষ্টমীর দিন একটি স্কুলে।

  • জন্মাষ্টমী উপলক্ষে তমলুকে কৃষ্ণ সাজার প্রতিযোগিতা।

  • ১০৫ বছর বয়স হল সাহিত্যিক ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উঠোনে নন্দ
    উৎসবের। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর পরের দিন এই উৎসবের অন্যতম
    অঙ্গ নারকেল কাড়াকাড়ি। কাটোয়ার গঙ্গাটিকুরিতে ‘ইন্দ্রালয়’
    নামে এই বাড়ির বয়স আরও বছর বিশেক বেশি।

  • সরকার থেকেও কোনও অনুদান পান না। তাঁদের পেশায় এগিয়ে আসছে না
    নতুন প্রজন্মও। এমনকী পেটের দায়ে পুরনো শিল্পীদের অনেকেই ভিন্ন পেশায়
    যুক্ত হতে বাধ্যও হয়েছেন। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারাপীঠের খরুণ
    গ্রামের প্রতিমা শিল্পীরা তাকিয়ে থাকেন কৌশিকী অমাবস্যার দিকেই।
    ভক্তের ভিড়ের মতোই তাঁদের তৈরি তারা মায়ের ছোট-বড় ফ্রেমে বন্দি
    প্রতিমার বিক্রিও বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়।

  • সামনেই গণেশ চতুর্থী। সিউড়ির কলেজপাড়া এলাকার শিল্পী
    স্বপন পাল ১৯৭৮ সাল থেকে মূর্তি গড়ার কাজ করেন।
    মাটির প্রলেপ দিচ্ছেন তাঁরই সহকারী শিল্পী।

  • প্রসাদে ঢাকা... জয়পুরের এক মন্দিরে।

  • খড়্গপুরের জগন্নাথমন্দির এলাকায় পঞ্চমুখী গণেশ।

  • গণেশ মূর্তি তৈরি করতে ব্যস্ত নদিয়ার শিল্পী নিতাই দাস। ছ’মাস আগে
    দুর্গাপুরে এসে কাজ শিখতে শুরু করেন তিনি। ৩০০০ টাকার
    মাসিক বেতনে জেকে পাল লেনে একটি কর্মশালায় কাজ করছেন।

  • বলরামপুরের রাঙাডি গ্রামে গণেশ পুজো উপলক্ষে ১০৮টি ঘট নিয়ে শোভাযাত্রা।

  • আসছে বছর আবাব হবে... হায়দরাবাদে হুসেন সাগর লেকে।

—নিজস্ব চিত্র

পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ইতিমধ্যেই পস্তাচ্ছি আমরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল হাতেনাতে পেয়েও টনক নড়ে ক’জনের?
ব্যাতিক্রম অবশ্য আছে। আর সেই ব্যাতিক্রমী মানুষদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ করি আমরা। তাঁদের দলবদ্ধ অথবা ব্যক্তিগত
উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পাঠক সমক্ষে নিয়ে আসার পরিকল্পনার শরিক হতে চাইলে আমাদের জানান নীচের ঠিকানায়

সংবাদের হাওয়াবদল
হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com
 
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদলআপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ
..