নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
খোদ পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়ে এক সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ফুঁসলে সহবাসের অভিযোগ জানানোর এক সপ্তাহ পরেও আইনি প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় অভিযোগকারিণীর পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। পরিবারেরক লোকজনদের অনেকেরই অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টিকে গোড়া থেকেই মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তরুণী জানান, তাঁকে সিলিগুড়ি থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে এক পুলিশ কর্তা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই তরুণী সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে রেজিস্ট্রি করে ওই সাব ইন্সপেক্টর বিয়ে না -করলে তিনি প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন না।
পক্ষান্তরে, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ভাস্কর বিশ্বাসকেও জেরা করা হবে বলে পুলিশ কমিশনারেট সূত্রের খবর। ভাস্করবাবু অবস্য দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত ভাস্করবাবুকে কোনরকম জেরা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ সুপার কে সাভারি রাজকুমার। তিনি বলেন, “মহিলার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে তাঁকে অভিযোগ দিতে বলার পরেও তিনি লিখিত অভিযোগ দেননি।” এদিন তরুণীর আইনজীবী উদয় মালাকার বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পদস্থ কর্তারা মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।”
পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না। একটি সন্তান রয়েছে। গত ৪ বছর ধরে ভাস্করবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর জেরে দুবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে প্রতিবারই গর্ভ নষ্ট করা হয়েছে। ভাস্করবাবুর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। ওই মহিলার দাবি, কয়েক মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানালেও রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করতে চাইছেন না। রেজিস্ট্রির দাবি করলে তাঁকে মারধর ও অত্যাচার শুরু করেন ভাস্করবাবু বলে জানান তিনি। এর পর বাবার বাড়িতে গিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন।
|