টুকরো খবর
আটকে রেখে মারধর, তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত
এগরা থানা এলাকার কসবা-এগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরই সহকর্মী শিক্ষককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক দেবাশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে এগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সহ-শিক্ষক অশোক রাণা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এগরা জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠে অনিয়মিত আসা ও আরও কিছু অভিযোগে স্কুলের সহ-শিক্ষক দেবাশিস মিশ্রকে শো-কজ করা হয়। স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক শান্তিপদ নন্দ বলেন, “বারাবার সাবধান করা সত্ত্বেও স্কুলকে না জানিয়ে অনুপস্থিত হওয়া ও স্কুলের নিয়মনীতি না মানার জন্য দেবাশিসবাবুকে বাধ্য হয়ে আমরা শো-কজ করি।” জানা গিয়েছে, শো-কজ হওয়ার পর দেবাশিসবাবুর যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে স্কুলের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ক কমিটির সদস্য সহ-শিক্ষক অশোক রাণার উপর। সেই আক্রোশ থেকেই অভিযুক্ত দেবাশিস আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে অশোকবাবুকে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। অশোকবাবুর দাবি, “দেবাশিস মিশ্র বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি গাড়িতে এগরার মহাবিশ্রা গ্রাম থেকে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় বাবু বিশ্রের ধান গোলায় আটকে রেখে সারারাত নির্যাতন চালায়। প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে গভীর রাতের ছেড়ে দেয়।” মুক্তি পেয়েই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান অশোক রাণা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবাশিস মিশ্র জানান, “ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে অশোকবাবু এমনটা করছেন।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “অশোকবাবু মদ্যপ অবস্থায় আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করলে লোকে তাঁকে ঠেলাঠেলি করে। এর বেশি কিছুই হয়নি।” তবে জোর করে তুলে আনার বিষয়ে তিনি নিরুত্তর থাকেন। এগরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মহিষাদলে মৃতের পরিচয় জানা গেল
মহিষাদলের নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় মৃত যুবকের পরিচয় মিলল। মৃতের নাম মধুসূদন মান্না (২৬)। বাড়ি নন্দীগ্রাম থানার বিরুলিয়া গ্রামে। শুক্রবার তাঁর পরিজনেরা দেহটি শনাক্ত করেন। দশমীর রাত থেকে তিনি দুর্গাচক থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছল স্থানীয় একটি পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায়। পরে খোঁজ না মেলায় ১৬ অক্টোবর তাঁর ভাই খোকন মান্না দুর্গাচক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বৃহস্পতিবার মহিষাদল থানার বাবুরহাট গ্রামের এক নয়ানজুলিতে মধুসূদনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। মৃতদেহের গলায় ধারালো অস্ত্রের দাগ ছিল। ঘটনাটি যে খুনের তা একরকম নিশ্চিন্ত ছিল পুলিশ। শুক্রবার মৃতের পরিবারের তরফে নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। তবে মৃতের পরিবার ও পুলিশের দাবি, পুরানো আক্রোশের জেরেই মধুসূদনকে দুর্গাচক থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুরনো খবর:
পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা, ধৃত পাঁচ জন
গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে খোদ মন্ত্রীর সঙ্গে ঘুরছিলেন তাঁরা। পরে মন্ত্রীর বৈঠকে হাজির থেকে দিব্যি টুকটাক খাওয়াদাওয়াও সেরেছেন। তবে শেষ রক্ষা করতে পারলেন না! শুক্রবার বিকালে বৈঠক চালাকালীনই স্থানীয় শাসক দলের লোকেরাই চিনতে পেরে যান তাঁদের। পরে তা জানাজানি হতেই মন্ত্রীর চক্ষু চড়কগাছ! শেষ পর্যন্ত পাঁচ ‘পুলিশ’ যুবককে গ্রেফতার করে দাসপুর থানার পুলিশ। ঘাটালের সিআই অসিত সামন্ত বলেন, “পাঁচ যুবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়িটিকেও আটক করা হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত পাঁচ যুবকেরই বাড়ি দাসপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের নাম অপূব চক্রবর্তী, রাকেশ প্রামাণিক, সুদীপ প্রামাণিক, অমিত সামন্ত এবং সৌমেন পাইন। ধৃতদের জেরা করে দাসপুর থানার পুলিশ জানতে পেরেছে, দাসপুর থানার ভুতার অপূর্ব দীর্ঘ দিন ধরে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এলাকায় তোলা আদায় করত। শুক্রবার জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে ঘাটাল-সহ মহকুমার একাধিক ব্লকে বৈঠক করেন। মন্ত্রীর সঙ্গেই ওই পাঁচ যুবক পুলিশের স্টিকার লাগিয়েই ঘুরছিলেন। ফলে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরাও মন্ত্রীর কাছের লোক ভেবে খাতিরও করেন। সৌমেনবাবু বলেন, “আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ওরা পুলিশ। যখন বিষয়টি বুঝতে পারি, তখন পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলি।” শেষ পর্যন্ত দাসপুর ১ ব্লকে বৈঠকের সময় স্থানীয় তৃণমূলের যুব নেতা কৌশিক কুলভীর নজরে আসে বিষয়টি। কৌশিকবাবু বলেন, “আমিই প্রথমে ওই পাঁচ যুবকের পরিচয় জানতে চাই। তারপরই বিষয়টি সামনে আসে। মন্ত্রীও পুলিশকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বলেন। আমি নিজেও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।” পুলিশ সূত্রের খবর, কৌশিকবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.