জলযন্ত্রণার শেষ কবে, জানতে চান ঘাটালবাসী
শুক্রবারেও ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রইল।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মহকুমার দাসপুরে জল কমলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। তবে নতুন করে কোনও এলাকা জলমগ্ন হয়নি। বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে এসেছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার আসেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ঘাটাল এবং দাসপুরের জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি ক্ষয়ক্ষতির হিসাব জানতে প্রশাসনিক অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘাটালের মহকুমাশাসক অদীপ রায় বলেন, “মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই। একটু করে জল কমলেও পরিস্থিতি একই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি।”
মন্ত্রী-আমলাদের যাতায়াত, নানা প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও স্বস্তিতে নেই এই জনপদ। একই মরশুমে একাধিকবার এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভগো চরমে। অভিযোগ, ঘাটাল মহকুমা বন্যাপ্রবণ তাই এলাকা জলমগ্ন হবেই। এটা যেন ধরেই নিয়েছে প্রশাসন। ফলে গা ছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে আধিকারিকরাও। আর জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা সহায়, সম্বল হারিয়ে দিনের পর দিন কোথাও হাঁটু জলে, কোথাওবা কোমর জলে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
দাসপুরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া। —নিজস্ব চিত্র।
ঘাটালের মনসুকার ষাট ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা কমলা ঘোষ, দেওয়ানচকের বিমল কর, দাসপুরের নন্দনপুরের অমিয় পাত্রদের অভিযোগ, “গ্রামে জল ঢুকলেই জল কমতে দিন দশেক লেগে যায়। বৃষ্টি একটু বেশি হলে আর রক্ষা নেই। আর কত দিন এ ভাবে কাটাব? সব সময় তো প্রশাসনেরও দেখা মেলে না!” ঘাটালের চাইলির গয়ারাম সানকির কথায়, “প্রায় তিন মাস আমরা জলে আটকে। আমি অন্যের জমিতে মজুরি খেটে সংষার চালাই। তিন মাসেরও বেশি কোনও কাজ নেই। কী ভাবে সংসার চলছে তা আমরাই জানি।” তাঁর প্রশ্ন, “সরকারি ত্রাণে আর কত দিন চলবে?”
প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, নদীর নাব্যতা বাড়ানো, নিয়মিত বৈজ্ঞানিক উপায়ে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ, নীচু এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উঁচু করে বসানো, কেরোসিন তেল ও পানীয় জলের পর্যাপ্ত যোগান-সহ অতি প্রয়োজনীয় সমস্যাগুলোর উপর সরকার নজর দিলে অনেকটাই স্থায়ী উপকার হয়। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেন, “জলমগ্ন এলাকাগুলিতে আমি ঘুরে দেখছি, এই সময় বাসিন্দারা সত্যিই খুব কষ্টে থাকেন। তাঁদের চাহিদা গুনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তার উদ্যোগ নেব।”
অসহায় চোখে সরকারের দিকেই চেয়ে ঘাটালবাসী।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.