|
|
|
|
বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পূর্বে পঞ্চায়েত সচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পাঁশকুড়ার রানীহাটিতে কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে পূর্ব মেদিনীপুরের জলমগ্ন এলাকা দেখতে এলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সৌরভ দাস। রাজ্য সরকারের তরফে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব শুক্রবার তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিসে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক-সহ রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরের জেলা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। জেলার জলমগ্ন এলাকার পরিস্থিতি, সরকারি ত্রাণ বণ্টন, উদ্ধার কাজ, পুনর্বাসনের এবং ক্ষয়ক্ষতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করেন। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল জানান, “রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব এ দিন জেলার বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার কাজ, ত্রাণবন্টন ও বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি-সহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন।” |
|
পাঁশকুড়ায় উদ্ধার কার্যে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
গত মঙ্গলবার দুপুরে পাঁশকুড়ার রানিহাটীতে কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়া ও তমলুক ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ফেরার পথে বুধবার জেলায় এসে কোলাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠক করে বাঁধ মেরামতি-সহ জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। তাঁর পর এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব এসে বৈঠক করলেন। এ দিকে জলমগ্ন পাঁশকুড়া, তমলুক ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও তমলুক ব্লক লাগোয়া নন্দকুমারের বরগোদারগোদা, কুমরচক, সাওড়াবেড়িয়া এলাকার বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে জল ঢুকেছে। ফলে সামগ্রিক ভাবে জেলার বন্যা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) জানান, “তমলুক ব্লক লাগোয়া নন্দকুমার ব্লকের কিছু গ্রামে জল ঢুকে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত বাসিন্দাদের জন্য স্থানীয় ভাবে কিছু ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।”
কাঁসাইয়ের ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজ করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সেচ দফতর। গত বুধবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যে পর্যন্ত জোর কদমে কাজ চলেছে। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাঁশকুড়ায় বাঁধ মেরামতির কাজ প্রায় শেষের পথে। দ্রুত ওই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।” পাশাপাশি তিনি এ দিন জানান, “তমলুক এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এলাকার বিভিন্ন খাল সংস্কার করা হবে। গঙ্গাখালি খাল সংস্কার করা হবে। এ ছাড়াও পায়রাটুঙ্গি খাল পুনরায় সংস্কার করা হবে।” |
|
|
|
|
|