অবশেষে চেতলা বাজারের সংস্কারের কাজ শুরু করছে কলকাতা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি)। এত দিন পুনর্বাসন সমস্যায় এই কাজ আটকে ছিল।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “চেতলা কেআইটি বাজারের উপরে অহীন্দ্র মঞ্চের সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এ বার এক তলার বাজারটির সংস্কার করা হবে। বাজারের ফাঁকা জায়গায় স্টল তৈরি করে রাস্তায় যে সব বিক্রেতা বসেন তাঁদের স্টল দেওয়া হবে। এতে বাজার সংলগ্ন রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতের সুবিধা হবে।”
বামফ্রন্ট আমলে কেআইটি-র বাজারগুলির সমীক্ষা হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল শুধু কসবা বাজারের সংস্কার সম্ভব। বাকি বাজারগুলিতে পুনর্বাসনের সমস্যা ছিল। কসবা বাজারে আধুনিকমানের বহুতল বাজার নির্মাণের জন্য নকশা কলকাতা পুরসভায় জমা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে কেআইটি কর্তৃপক্ষ জানান। পুরকর্তৃপক্ষ জানান, সব দিক খুঁটিয়ে দেখে তবেই অনুমতি দেওয়া হবে। |
একটু বৃষ্টিতেই চেতলা বাজার জল থই থই। বাজারের এক পাশে ডাঁই করা জঞ্জালের স্তূপ। রয়েছে বৈদ্যুতিক তারের জটলা। কয়েকটি জায়গায় ফাটল ধরেছে। এই বাজারের উপরে রয়েছে অহীন্দ্র মঞ্চ। তার পাশে কোয়ার্টার্স। রাস্তায় বাজার বসার জন্য বাসিন্দাদেরও যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা নবারুণ দাস বলেন,“রাস্তায় বাজার বসায় চলাফেরার অসুবিধা তো হয়ই। গাড়ি চলাচলেও সমস্যা হয়।”
সমস্যা কোথায় ছিল?
কেআইটি কর্তৃপক্ষ জানান, এই ধরনের বাজারে বিক্রেতা ছাড়াও আবাসিকেরা থাকেন। তাঁদের পুনর্বাসন দিতে না পারলে এখানে আমূল সংস্কার সম্ভব নয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাজারের পিছনে মাছ এবং মাংস বিক্রির অংশটি ফাঁকা রয়েছে। ঠিক হয় সেখানে দোতলা হবে। এখানে বাজারের কিছু ব্যবসায়ী ছাড়াও রাস্তার বিক্রেতারাও স্টল পাবেন। পাশাপাশি কিছু দিনের মধ্যে বাজারের অন্য স্টলগুলি এবং ভিতরের দেওয়ালগুলিও সারানো হবে বলে কেআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি।
চেতলা কেআইটি মার্কেট দোকানদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি সরকার বলেন, “তৈরির পরে বাজারের কোনও সংস্কার হয়নি। দেওয়ালের ফাটল দিয়ে জল পড়ত। ব্যবসায়ীরাই মেরামতি করতেন। এই বাজারের নিকাশির উন্নয়নের জন্যও কেআইটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।” |