বার বার আবেদন জানিয়েও পোস্ট অফিস হয়নি। এমনকী বসেনি চিঠি ফেলার বক্সও। ফলে চিঠির খোঁজ নিতে মাঝেমধ্যেই বাসিন্দাদের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে বোড়াল পোস্ট অফিসে গিয়ে তদ্বির করতে হয়। এমনই অভিযোগ রানিয়া এলাকার বাসিন্দাদের।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানান, এই এলাকার ডাক পরিষেবার বিষয়টি দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত। অথচ গত দুই দশকে রানিয়া এবং সংলগ্ন এলাকায় জনবসতি দ্রুত বেড়েছে। এই এলাকাটি বোড়াল পোস্টঅফিসের অন্তর্গত। অভিযোগ, অনেক সময় বোড়াল পোস্টঅফিস থেকে চিঠি এই এলাকায় আসে না। বাসিন্দাদের বার বার খোঁজ নিয়ে পোস্টঅফিস থেকে চিঠি আনতে হয়। |
বাসিন্দা পঙ্কজ সাহার কথায়: “কোনও চিঠি আসার কথা থাকলে সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন পোস্টঅফিসে গিয়ে খবর নিতে হয়। অনেক সময় প্রয়োজনীয় তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরে চিঠি হাতে আসে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোড়াল পোস্টঅফিসের এক কর্মী জানান, রানিয়া ঘন বসতিপূর্ণ বিরাট এলাকা। কর্মীর অভাবও রয়েছে। তাই ওই এলাকায় চিঠি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। রানিয়ার বাসিন্দারা পোস্টঅফিসে এসে চিঠি নিয়ে যান।
অনেক বাসিন্দা আবার অফিসে যাওয়ার পথে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাঁশদ্রোণি পোস্টঅফিসে চিঠি ফেলে যান। সবচেয়ে অসুবিধে এলাকার বয়স্ক মানুষদের। চিঠি আনা ছাড়াও পোস্টঅফিসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে তাঁদের মাঝেমধ্যেই তিন কিলোমিটার দূরে বোড়াল পোস্টঅফিসে যেতে হয়।
বাসিন্দারা জানান, জন প্রতিনিধির কাছে একাধিক বার এই সমস্যার কথা জানানো হলেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। যদিও এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের ফিরদৌসি বেগম বলেন, “ওখানকার বাসিন্দারা আমাকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।” ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, কোনও এলাকায় পোস্টঅফিসের দরকার হলে তাদের কাছে আবেদন জানাতে হবে। এই আবেদন এলাকার জন প্রতিনিধি মারফতও আসতে পারে। আবার বাসিন্দারা সরাসরি ডাক বিভাগের কাছে তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে আবেদন করতে পারেন।
কলকাতার পোস্টমাস্টার জেনারেল সুবরত দাস বলেন, “আমাদের কাছে আবেদন আসার পরে আমরা সেই এলাকায় পোস্টঅফিসের কতটা প্রয়োজন রয়েছে তা সমীক্ষা করে দেখি। সমীক্ষার কাজ শেষ হলে রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |