মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষায় নকলের চেষ্টা রুখতে গিয়ে জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। সোমবার দুপুরে ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন দুপুরে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে একটি মেয়ে এক পরীক্ষার্থীকে নকল দিতে যায়। পরীক্ষা হলে জানালা দিয়ে নকল দেওয়ার সময় পুলিশ কর্মী ওই মেয়েটিকে তাড়া করলে সে মাটিতে পরে আহত হয়। ওই পুলিশ কর্মীকে ঘিরে উত্তেজিত জনতা মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ইসলামপুর থানার আইসি সমীর পাল বলেন, “ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “ঘটনাটি তদন্তের জন্য মহকুমাশাসককে বলা হয়েছে।” গোয়ালপোখর এলাকায় চারটি কেন্দ্রে চলছে ব্যাপকহারে নকল চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সামনেই স্কুলে প্রাচীরে জানালায় উঠে পরীক্ষার্থীদের বাইরে থেকে নকল দেওয়া হচ্ছে। মণিভিটা হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক মজরুল হক বলেন, “এ ভাবে নকল করা নিয়ে যা হচ্ছে তাতে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।” এ দিন বেরুবাড়ির তফশিলি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্মল রায় বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে ফণীন্দ্রদেব স্কুলে যান। নির্মলবাবুর অভিযোগ, “প্রশ্নপত্র খোলার ঘরে অনেকে আসছিলেন। প্রতিবাদ করতে আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুলের মাঠে নিয়ে আসা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ এসে স্কুল থেকে বার করে দিয়েছে। ঘটনাটি বোর্ডকে জানিয়েছি।” অভিযোগ পেয়ে মাধ্যমিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা স্কুলে আসেন। ওই পরিদর্শনকারী দলের সদস্য অমিতকুমার সাহা বলেন, “আগের দিনও বোর্ডের প্রতিনিধির সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ পেয়েছি।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজন সোমরায় বলেন, “প্রশ্নপত্র খোলার সময় শিক্ষক বা কর্মী মোবাইলে কথা বলেলনি। উল্টে প্রতিনিধিই ফোন ব্যবহার করেছেন। উনি ঘর থেকে স্কুলের কর্মী এবং শিক্ষকদের বার হয়ে যেতে বলেন। এটা মানা যায় না। তাই ওঁকে স্কুল থেকে বার হয়ে যেতে বলেছি। ওঁর পরিচয়রপত্র নিয়ে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না।” |