মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের অন্নপ্রাশন বাড়ি থেকে আনা বাসি খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের বাণেশ্বর এলাকার একটি প্রাইমারি স্কুলে। সোমবার বাণেশ্বর কলোনি চতুর্থ পর্যায় প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যার নাতির অন্নপ্রাশনের বাসি খাবার খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ তোলেন অভিভাবকদের কয়েকজন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকার অন্য অভিভাবকরাও স্কুলে ভিড় করেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রায় এক ঘন্টা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখান ওই উত্তেজিত অভিভাবকরা। খবর পেয়ে বাণেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরিমল রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার। |
চেয়ারপার্সন বলেন, গুরুতর অভিযোগয় প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই ব্যাপারে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেটা দেখে ব্যবস্থা নেব। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই স্কুলে মোট ৪২ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। তাদের জন্য রান্নার চাল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের বুঝিয়েও দেন শিক্ষকরা। অন্যদিনের মতো ওই সদস্যারা স্কুলে যে রান্না করেননি তা কেউই খেয়াল করেননি। আচমকা তারা বাড়ি থেকে ভাত, মুড়িঘন্ট, ডাল ও চাটনি নিয়ে হাজির হন। সেই খাবার পড়ুয়াদের খাওয়ানো হয়। কয়েকজন অভিভাবক স্কুলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। ওই অভিভাবকদের মৃদুল সরকার বলেন, “ভাইপো ওই স্কুলে পড়ে। সেখানে বাসি খাবার দেওয়া হয়েছে শুনে স্কুলে যাই। তখন অনেকেই খাবার দুর্গন্ধ বলে জানায়।” অন্য অভিভাবকের অভিযোগ, বাচ্চাদের খোঁজ নিতে গিয়ে এদিন মেনুতে মুড়িঘণ্ট, চাটনির মতো খাবার থাকায় সন্দেহ হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমর রঞ্জন সরকার বলেন, “কিছুক্ষণের জন্য সার্কেল অফিসে পড়ুয়াদের বই আনার জন্য স্কুলের বাইরে ছিলাম। ফিরে এসে অভিযোগের কথা জানি। তবে আমাদের না জানিয়ে বাইরে থেকে খাবার আনার ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত গোষ্ঠী সদস্যদের ক্ষোভের কথাও জানিয়েছিলেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাণেশ্বর পঞ্চায়েত প্রধান পরিমল রায় বলেন, “বাইরের খাবার মিড ডে মিলে যেন দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।” |