রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে পড়ুয়ারা সোমবার দুপুরে দেড় ঘণ্টা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ছাত্র নেতারা আন্দোলন তুলে নেন। এদিন আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র পরিষদ নেতাদের একাংশের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বচসা হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শত্রুঘ্ন সিংহ বলেন, “পড়ুয়াদের অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ছাত্র নেতাদের আচরণে অপমানিত হয়েছি। ছাত্র পরিষদের ওই নেতারা পড়ুয়াদের নিয়ে ঘন ঘন ঘেরাও বিক্ষোভ করে কলেজের কাজকর্মে বাধা দিচ্ছেন। আমার নামে বদনাম রটানো হচ্ছে।” অধ্যক্ষ জানান, ছাত্র পরিষদের তরফে কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি’র জানানো হয়েছে। পুরোটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়। |
ছাত্র পরিষদ নেতা নব্যেন্দু ঘোষ বলেন, “ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কলেজে একাধিক অনিয়ম হচ্ছে। উনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ থমকে গিয়েছে। কলেজের মঞ্চ নির্মাণের জন্য স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বিধায়ক তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিলেও তা পড়ে রয়েছে। ছাত্র সংসদের নজরদারি না থাকায় শিক্ষকরা নিয়মিত কলেজে আসছেন না। প্রতিদিনই বিভিন্ন ক্লাস বাতিল হয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষক কলেজে এলে সময়মতো ক্লাস নিচ্ছেন না। বাণিজ্য বিভাগের ইনফর্মেশন ও টেকনোলজি ক্লাস নিয়মিত হচ্ছে না। সংগঠনের নেতারা জানান, পড়ুয়াদের কাছ থেকে বছরে ৬০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কলেজ কর্তৃপক্ষ স্নাতক স্তরের তিনটি বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফর্ম পূরণের ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিপিএল তালিকাভুক্ত পড়ুয়াদের চলতি শিক্ষাবর্ষে হাফ-ফি ও ফুল-ফির সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। ছাত্র পরিষদ পরিচালিত বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, “অবিলম্বে সঠিকভাবে সব কাজ করা না হলে পড়ুয়াদের নিয়ে কলেজ চত্বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামা হবে।” |