|
|
|
|
জেলার চারটি হাসপাতালে এ বার রোগী সহায়তাকেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পরিকাঠামো উন্নয়ন বা শূন্যপদে নিয়োগের মতো জরুরি বিষয়ে তেমন উচ্চবাচ্য নেই। বরং স্বাস্থ্য পরিষেবার ‘হাল ফেরাতে’ হাসপাতালে-হাসপাতালে রোগী সহায়তাকেন্দ্র চালুর ‘দাওয়াই’ পেশ করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক মহকুমা ও জেলাস্তরের হাসপাতালে এই কেন্দ্র চালু হয়েছে। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, ঝাড়গ্রাম ‘জেলা’ হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এই সহায়তাকেন্দ্র চালু হতে চলেছে। সহায়তাকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে। আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) সবিতেন্দ্র পাত্রের বক্তব্য, “অনেক সময়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হতে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েন। এ ছাড়া দালালদের উৎপাত তো রয়েইছে। এই সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতেই রোগী সহায়তাকেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আগামী মার্চ থেকেই জেলার চার হাসপাতালে এই কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে কেন্দ্রগুলি। থাকবে মাইকিং-এর ব্যবস্থা। যে কোনও সময়ে রোগী ও তাদের পরিজনেরা ওই কেন্দ্রে গিয়ে অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য-সহায়তাও পেতে পারবেন। রোগী ভর্তির ক্ষেত্রেও সাহায্য করবেন ওই কেন্দ্রের কর্মীরা। হাসপাতালের কোথায় রক্তের পরীক্ষা হয়, বহির্বিভাগে কবে কোন চিকিৎসক বসবেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা কেমন আছেনজানা যাবে ওই কেন্দ্রে গিয়ে। হাসপাতাল বা বাইরে কোথায় ওষুধ পাওয়া যাবেমিলবে সেই তথ্যও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের বক্তব্য, মহকুমা ও জেলাস্তরের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় নানা ওযুধ, রক্তের নানা রকম পরীক্ষা, ইসিজি-র ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির কর্মী ও দালালদের খপ্পরে পড়ে রোগীরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য হন। এমনকী ভর্তির ক্ষেত্রেও অনেক সময়ে রোগীর আত্মীয়দের ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে পাঠিয়ে দেন এক শ্রেণির কর্মী। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “সহায়তাকেন্দ্র চালু হলে এই সব অবৈধ কারবার কিছুটা হলেও বন্ধ করা যাবে। সহায়তাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার লোকজন ঠিকঠাক কাজ না করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বাতিল করারও সুযোগ রয়েছে।” |
|
|
|
|
|