|
|
|
|
মিলেছে রক্ত সংরক্ষণের অনুমতি |
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব চালু হচ্ছে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
শীঘ্রই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে হাওড়া জেলার বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং হাসপাতাল সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই হাসপাতাল রক্ত সংরক্ষণের অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। বহাল হয়েছেন মহিলা ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ সার্জন এবং অ্যানাস্থেটিস্ট। দরকার আর কয়েকটি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এইসব যন্ত্রপাতি চলে এলে আগামী এপ্রিল মাস থেকে এখানে চালু হয়ে যাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের ব্যবস্থা। ‘জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্প’-এ গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের কথা বলা হয়েছিল বছর পাঁচেক আগেই। সেইমতো হাওড়ার জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব ব্যবস্থা ইতিমদ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। নিজেদের উদ্যোগেই এই ব্যবস্থা চালু করে দিয়েছেন আমতা ২ নম্বর ব্লকের বিবিধর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল, বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে এই ব্যবস্থা এখনও চালু করা যায়নি।
বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে অবশ্য আগে থেকেই রয়েছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার। কিন্তু রক্ত সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাব ছিল। অভাব ছিল মহিলা ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ সার্জেন এবং অ্যানেস্থেটিস্টেরও।
হাসপাতালের সুপার তথা বাগনান ১-এর বিএমওএইচ ইন্দ্রনীল মিত্র বলেন, “রক্ত সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা করেছি। এর জন্য আমরা লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছি। আগামী সপ্তাহ থেকেই হাসপাতালে রক্ত সংরক্ষণ করতে পারব। এই রক্ত অবশ্য বহিরাগতদের দেওয়া যাবে না। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের চিকিৎসায় এই রক্ত ব্যবহার করা হবে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব চালু হলে এখান থেকেই প্রয়োজনীয় রক্ত প্রসূতিদের দেওয়া হবে।” একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মহিলা ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং অ্যানেস্থেটিস্টও বহাল করা হয়েছে।
এতেও অবশ্য সমস্যা মেটেনি। আরও কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি লাগবে। এইসব যন্ত্রপাতি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে চাওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। সুপার বলেন, “এইসব যন্ত্রপাতি এসে গেলেই আমরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব ব্যবস্থা চালু করতে পারব। জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে এই সব যন্ত্রপাতির চাহিদার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছি।”
উল্লেখ্য বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে প্রসূতিদের বেশ চাপ থাকে। অনেকেরই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবে তাঁদের ‘রেফার’ করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে।
বাগনান থানা গণতান্ত্রিক নাগরিক সমিতির পক্ষে প্রসূন রায় বলেন, “বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা এখনও চালু না-হওয়ায় না-হওয়ায় এর সুযোগ নিয়ে এখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে নার্সিহোম। পয়সা খরচ করে অনেক প্রসূতি সেখানে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।” অবিলম্বে বাগনানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন বলে প্রসূনবাবুরা জানিয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি শীঘ্রই বাগনান হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সুপার বলেন, “সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এপ্রিল মাস থেকেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের ব্যবস্থা ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|