|
|
|
|
সুপারের আবাস, মেসে রাত্রিবাস চিকিৎসকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারের কোয়ার্টার ঝাড়পোঁছ হয়েছে সোমবার। সৌজন্য, মঙ্গলবারের ধর্মঘট।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, সুপার প্রভাস চক্রবর্তী হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকেন না। তাই সেটি তালাবন্ধ থাকে। সোমবার সেই তালা খুলে পরিষ্কার করা হয়েছে সুপারের কোয়ার্টার। এ দিন রাতে সেখানেই থাকেন হাসপাতালের বেশ কিছু চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী। ধর্মঘটের দিন সকালে হাসপাতালে আসার ঝক্কি এড়াতেই এই ব্যবস্থা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের অতিথিশালার কয়েকটি ঘর নিখরচায় খুলে দিয়েছেন। সেখানেই সোমবার রাতে থেকে যান অনেকে। চাঁদা তুলে খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছে। পরিবহণ ব্যবস্থা একেবারে ঠিক থাকবে বলে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র যতই আশ্বাস দিন, আর জি কর-কর্তৃপক্ষ নিজেদের অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্স ধার করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানান, ওই সব অ্যাম্বুল্যান্সের তেলের খরচ দিচ্ছেন তাঁরা। প্রয়োজনে চিকিৎসকদের আনার জন্য ওই সব অ্যাম্বুল্যান্সকে কাজে
লাগানো হবে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশেপাশে কলেজ স্ট্রিট ও শিয়ালদহ এলাকার বেশ কিছু মেসে ঘর ভাড়া নিয়েছেন কিছু কর্মী। স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে ‘ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার’-এর শিক্ষার্থী নিবাসেও প্রায় ১৫০ জন অফিসার ও কর্মী থাকছেন। চাঁদা তুলে খাবারের প্যাকেটের ব্যবস্থা হয়েছে। থাকার জন্য শয্যা-প্রতি ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেন, “অনেক কর্মীকেই দূর থেকে আসতে হয়। তাঁরা থাকতে চেয়ে অনুরোধ করায় শিক্ষার্থী নিবাসে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” কয়েক দিন আগেই স্বাস্থ্য অধিকর্তা একটি নির্দেশ জারি করেন। তাতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুপস্থিতির জন্য ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। অবশ্য এ দিন তিনি বলেন, “যদি কেউ অনুপস্থিত থাকেন, সে-ক্ষেত্রে যথার্থ কারণ ছিল কি না, তা যাচাই করবেন বিভাগীয় কর্তারা। যদি দেখা যায়, সামান্য কারণে বা বিনা কারণে ছুটি নেওয়া হয়েছে, তা হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|