|
|
|
|
গ্রামে চিকিৎসাই লক্ষ্য |
‘দুর্গম’ অঞ্চলের স্থায়ী সংজ্ঞা হতে পারে না, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষায় দুর্গম ও উপদ্রুত অঞ্চলের হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাড়তি ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘দুর্গম’ ও ‘পিছিয়ে পড়া’ অঞ্চল বলতে কী বোঝায়? কলকাতা হাইকোর্টের এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকারের জিপি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, কোনও এলাকা স্থায়ী ভাবে পিছিয়ে পড়া বা দুর্গম থাকে না। আজ যা দুর্গম, কাল তা সুগম হয়ে যেতে পারে। আজ যেখানে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য, কাল সেখানে যাতায়াত সহজ হয়ে যেতে পারে। তাই পিছিয়ে পড়া বা দুর্গম এলাকার কোনও স্থায়ী সংজ্ঞা তৈরি করা সম্ভব নয়।
প্রত্যন্ত এলাকার হাসপাতাল মানে কী, হাইকোর্ট আগেই সেই প্রশ্ন তুলেছিল। এ দিন চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশি নম্বর দেওয়া নিয়ে মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল নিজেও জানতে চান, পিছিয়ে পড়া বা দুর্গম এলাকার হাসপাতালের সংজ্ঞা কী? ‘দুর্গম’ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছে। বিভিন্ন দিনের শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবীরা বারবার বলেছেন, এমন সব হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে যাতায়াত করা অত্যন্ত সহজ, নাগরিক জীবনযাত্রার সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ রাজ্য সরকার সেই সব জায়গাকে ‘দুর্গম’ এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে। সেখানে যে-সব চিকিৎসক কাজ করেন, তাঁরা সমস্ত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে বাড়তি ৩০ শতাংশ নম্বর পাবেন। অথচ হাসপাতালের তালিকা এমন ভাবে করা হয়েছে যে, প্রায় অগম্য, অধিকাংশ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এলাকার হাসপাতালে কাজ করা সত্ত্বেও সেখানকার চিকিৎসকেরা বেশি নম্বর পাবেন না। কয়েকটি জেলাকে দুর্গম ও উপদ্রুত জেলা
বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সব জেলায় প্রকৃত দুর্গম এলাকা রয়েছে, সহজগম্য এবং নাগরিক সুবিধাপ্রাপ্ত হাসপাতালও আছে। আবার যে-সব জেলাকে অগ্রবর্তী এবং সুগম বলা হয়েছে, সেখানে অসংখ্য হাসপাতাল রয়েছে, যা যথেষ্ট দুর্গম। জবাবে জিপি বলেন, এখানে চিকিৎসকদের মধ্যে শ্রেণি ভাগ করার কোনও উদ্দেশ্য নেই সরকারের। অনেক ক্ষেত্রে গ্রামের বাসিন্দারা প্রায় কোনও চিকিৎসাই পান না। চিকিৎসকেরা যাতে গ্রামে যেতে আগ্রহী হন, সেই কারণেই সরকার এই উৎসাহ বৃদ্ধির নীতি নীতি নিয়েছে। গ্রামীণ মানুষের কাছে চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। প্রধান বিচারপতি ‘অগম্য’, ‘দুর্গম’ বা ‘পিছিয়ে পড়া’ ইত্যাদি শব্দের পার্থক্য জানতে চান। অশোকবাবু বলেন, এক-একটা ক্ষেত্রে এক-এক ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে লক্ষ্য গ্রামের সেই সব মানুষ, যাঁরা চিকিৎসা পান না। |
|
|
|
|
|