বাড়ির ঠিকানার প্রমাণপত্র ছাড়া লাইসেন্স নবিকরণ করা হবে না বলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিবহণ দফতরের নির্দেশের জেরে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন গাড়ি চালকেরা। রাজ্য পরিবহণ দফতরের নয়া নির্দেশে নবিকরণ হওয়া লাইসেন্স আবেদনকারীর বাড়িতে ডাকযোগে পাঠানো হচ্ছে। এজন্য আবেদনকারীরে অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাড়ির ঠিকানার প্রমাণপত্র জোগাড় করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন বহু চালক। তাঁদের অভিযোগ, মোটর ভেহিক্যালস দফতরের আধিকারিকদের একাংশ ভোটার কার্ড দেখতে চাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। লাইসেন্স নবিকরণ করাতে পারছেন না। শিলিগুড়ির মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক রাজেন সুনদাস অবশ্য বলেন, “ডাকযোগে নবিকরণ হওয়া লাইসেন্স পাঠানোর নিয়ম চালু হওয়ায় বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র চাওয়া হচ্ছে। ভোটার কার্ডই জমা দিতে হবে এমনও কিছু বলা হয়নি।” যদিও অল বেঙ্গল মোটর ভেহিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউনিয়নের অভিযোগ, মহকুমা পরিবহণ দফতরের যে সমস্ত আধিকারিক লাইসেন্স নবিকরণের দায়িত্বে রয়েছে তাঁরা ভোটার কার্ড জমা না-দিলে কোনও কথাই শুনতে চাইছেন না। এর ফলে বহু চালকের লাইসেন্স বাতিলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইউনিয়নের সম্পাদক শ্যামল মিত্র বলেন, “মহকুমা পরিবহণ দফতরের ওই নির্দেশের ফলে কয়েক হাজার চালকের লাইসেন্স নবিকরণ আটকে গিয়েছে।” অল বেঙ্গল মোটর ভেহিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউনিয়নের অভিযোগ, মহকুমার বহু চালকের ভোটার কার্ড এখনও হয়নি। যাঁদের ভোটার কার্ড রয়েছে, নবিকরণের জন্য আবেদনপত্র জমা দিলেও তা হাতে পেতে দেরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দুর্ঘটনা ঘটলে বিমার ক্ষেত্রে চালকদের বিপাকে পড়তে হবে। পাশাপাশি মোটর ভেহিকেলস দফতরে টেকলিক্যাল ও নন টেকলিক্যাল অফিসারের সংখ্যা যথেষ্ট না-হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শ্যামলবাবু বলেন, “মোটর ভেহিক্যালস দফতরের পরিকাঠামো উন্নত না-হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। মহকুমা পরিবহণ আধিকারিককে সমস্যার কথা জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে।” মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক জানান, সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |