সিপিএমের মিছিলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল
সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে পুরুলিয়ার বলরামপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে মিছিলে হামলা হয়। বলরামপুরে সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরও হয়। এ দিনই বিকেলে বাঁকুড়ার ইন্দাসে তৃণমূল বিধায়কের ধর্মঘট-বিরোধী মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। গোষ্ঠী-সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১২ জন জখমও হন। স্থানীয় বিধায়ক গুরুপদ মেটে ও তাঁর ‘বিরোধী’ গোষ্ঠীর নেতা রবিউল হোসেনের অনুগামীরা পুলিশের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
বলরামপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া সিটু কার্যালয় থেকে এ দিন বিকেলে মিছিল বার করে সিপিএম। তাদের অভিযোগ, ব্লক তৃণমূল সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতোর নেতৃত্বে দলের কর্মীরা মিছিলের উদ্দেশে প্রথমে কটূক্তি করেন। কিছু পরে তৃণমূলের ধর্মঘট-বিরোধী মিছিল বেরোয়। পুলিশ জানিয়েছে, দু’দলই মিছিলের অনুমতি নিয়েছিল। সিপিএমের বলরামপুর জোনাল কমিটির সদস্য ত্রিলোচন দাসের অভিযোগ, “অশান্তি এড়াতে আমাদের কর্মীরা কটূক্তির প্রতিবাদ করেননি। পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়কে মিছিল পৌঁছতেই পুলিশের সামনেই তৃণমূল মিছিলে পাথর ছোড়ে। আমাদের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপের দাবি, তৃণমূলের লোকজন চকবাজারে তাঁদের জোনাল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কিছু টাকাও লুঠ করা হয়। ত্রিলোচনবাবুর দাবি, “পার্টি অফিসে দলীয় কর্মীদের খাবারের জন্য মজুত রাখা চাল-আলু-কপি ছুড়ে বাইরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। পরে সিটু অফিসের সামনে রাখা এক দলীয় কর্মীর মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেয় তৃণমূল। আরও দু’টি মোটরবাইক ভাঙচুর করে। ওই অফিসেও ভাঙচুর চলে।” রাতে বলরামপুর থানায় সৃষ্টিধরবাবু-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। মণীন্দ্রবাবু বলেন, “বিধানসভা ভোটের পর থেকে এখানে গুন্ডারাজ চলছে।” পাথরের ঘায়ে ২ পুলিশকর্মী জখম হন। ঘটনার পরে বলরামপুর বাজারে সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
সৃষ্টিধরবাবু অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “সিপিএম সশস্ত্র মিছিল করছিল। যা হয়েছে, তা গণরোষের ফল।” জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “বন্ধের রাজনীতি বলরামপুর অনেক আগে প্রত্যাখ্যান করেছে। মাওবাদীদের বন্ধেও এলাকা সচল থেকেছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখার দাবিতেই আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়। আমাদের কর্মীরা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নন।” সশস্ত্র মিছিলের কথা অস্বীকার করেছে সিপিএম। ভাঙড় থানার চন্দেশ্বর গ্রামেও তাদের মিছিলে তৃণমূল হামলা চালায় বলে সিপিএম থানায় অভিযোগ করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ওই মিছিলের অনুমতি ছিল না। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.