|
|
|
|
বাড়তি নজরদারি ব্যারাকপুর এবং হাওড়ার শিল্পাঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
যে কোনও বন্ধেই শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি আলাদা গুরুত্ব পায়। এ বারের বন্ধেও তার ব্যতিক্রম নেই, বরং ব্যারাকপুরের বিস্তীর্ণ শিল্পাঞ্চল ‘স্বাভাবিক’ রাখার ক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রশাসনের প্রস্তুতি কিছুটা বেশিই। বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে হাওড়া শিল্পাঞ্চলের জন্যও।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের আওতায় এলাকায় জনসংখ্যা ৬৫ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু সব থানা মিলিয়ে পুলিশের সংখ্যা সাকুল্যে দেড় হাজার। থানাগুলিতে গাড়ির সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাই বন্ধের দিন সমস্যা হলে প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সোমবার জানান ব্যারাকপুরের ডিসি (সদর) কল্লোল গনাই। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ১২টি থানাকে সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত সতর্কতার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। গঙ্গার ধার বরাবর এই শিল্পাঞ্চলে মাঝারি ও বড় মিলিয়ে শতাধিক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে চালু চটকল ২৩টি। এ ছাড়াও, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির বড় কারখানা ১০টি। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, বড় কারখানাগুলির গেটের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। কল্লোলবাবু বলেন, ‘‘ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত ১০০ জন পুলিশকর্মী থাকবেন। থাকছে কমব্যাট ফোর্স, র্যাফ। প্রতি থানাকে একটি করে রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড দেওয়া হচ্ছে। বরাহনগর থেকে বীজপুর পর্যন্ত চারটি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ঘুরবে।’’ সব থানায় অফিসার ও কর্মীদের হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসি, এডিসি-রা সকাল থেকেই গোটা এলাকা জুড়ে টহল দেবেন। ট্রাফিক ভলান্টিয়ারদেরও পথে নামানো হবে।
অন্য দিকে, বন্ধের মোকাবিলায় আজ, মঙ্গলবার, ভোর পাঁচটা থেকে হাওড়া শহরের রাস্তায় নামছে ৫০০ পুলিশকর্মী। হাওড়া কমিশনারেটের অধীনে আটটি থানাতেই মজুত থাকছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে মজুত থাকছে কয়েকশো পুলিশ ফোর্স। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকছেন ডেপুটি কমিশনার (সদর) সুকেশ জৈন নিজেই। হাওড়া ময়দান, শিবপুর মন্দিরতলা, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ২ ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক, সালকিয়া চৌরাস্তা, পিলখানা, বালি-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলবে স্থানীয় থানা ও সদর দফতরের পুলিশবাহিনীর টহল। পাশাপাশি, সরকারি অফিস, চটকল, কারখানা, সেতু, বাসস্ট্যান্ডেও মোতায়েন থাকবে পুলিশবাহিনী। স্থানীয় থানার পাশাপাশি আটটি থানা এলাকায় টহল দেবে চারটি হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ও আটটি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের গাড়ি। ওই ১২টি গাড়িতে এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে মহিলা পুলিশ-সহ কাঁদানে গ্যাস, লাঠি, রবার বুলেট নিয়ে থাকবেন পুলিশকর্মীরা।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, সদর দফতরের টহলদারি গাড়ির সঙ্গে থানার গাড়ি সব সময় যোগাযোগ রেখে চলবে। প্রতিটি খবর একই সঙ্গে পৌঁছবে কন্ট্রোল রুমে। প্রয়োজনে সেখান থেকেও পৌঁছবে যথাযথ নির্দেশ, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সদর) সুকেশ জৈন বলেন, “কোথাও সমস্যা দেখলেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে। রাস্তা অবরোধ কেউ করতে না পারে সে দিকেও নজর রাখা হবে।” |
|
|
|
|
|