বন্ধ বিরোধী মিছিলে হামলা ইন্দাসে, জখম
সিপিএমের বন্ধের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিধায়কের বন্ধ বিরোধী মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ইন্দাসের শান্তাশ্রমে রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মার-পাল্টা মারের ঘটনায় দু’পক্ষের ১২ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ও এক জনকে ইন্দাস বিপিএইচসি-তে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের কাছে ইন্দাসের তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে এবং তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা রবিউল হোসেনের অনুগামীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার বলেন, “ইন্দাসে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
মিছিল। বাঁকুড়ায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল। ছবি: অভিজিৎ সিংহ।
মাস দুয়েক আগে ইন্দাসের বিধায়কের বাড়ি থেকে ত্রাণের কম্বল ‘লুঠের’ অভিযোগ ওঠে রবিউলের বিরুদ্ধে। বিধায়কের দাবি, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনার জেরে রবিউলকে দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। এক সময় সিপিএমের ‘শক্তঘাঁটি’ বলে পরিচিত ইন্দাস এলাকায় এর পর থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি প্রায় লেগেই রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে শান্তাশ্রমে বন্ধ বিরোধী মিছিল করতে ও বিধায়কের কার্যালয় খুলতে গিয়েছিলেন গুরুপদবাবু। তা থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। গুরুপদবাবুর অভিযোগ, “দল থেকে বহিষ্কৃত ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা আমাদের বন্ধ বিরোধী মিছিলে হামলা চালায়। ওদের ছোড়া ইটের ঘায়ে আমাদের ৫ জন কর্মী জখম হন। পাল্টা প্রতিরোধ করলে তারা পালায়।” তিনি জানান, জখমদের প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। রবিউল হোসেন অবশ্য নিজেকে এখনও ব্লক সভাপতি বলেই দাবি করেন। তাঁর দাবি, “শান্তাশ্রমে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের নাম পাল্টে ‘বিধায়ক কার্যালয়’ বলে চালু করতে গিয়েছিলেন গুরুপদ। স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে মিছিলে থাকা লোকেরা লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে হামলা চালায়। পরে কলাগ্রামে আমাদের কর্মীদের উপরেও হামলা হয়।” তিনি জানান, তিন জনকে বিষ্ণুপুর ও ইন্দাস স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। আরও চার জনের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
পাল্টা মিছিল। তৃণমূলের ধর্মঘট বিরোধী মিছিল। হুড়ায় ছবিটি তুলেছেন প্রদীপ মাহাতো।
সোমবার সকালে বাঁকুড়ার জয়পুরের হরিণাশুলি গ্রামেও তৃণমূলের জয়পুর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ খাঁ ও ব্লক তৃণমূলের সম্পাদক রবিউল মিদ্যার গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। দু’পক্ষেরই অভিযোগ কয়েক জন জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। দিলীপবাবুর দাবি, “হরিণাশুলি গ্রামে দলের কর্মী গোলাম খাঁকে দলেরই কিছু লোকজন খুন করেছিল। এ দিন তাঁর ভাই সাবুদ খাঁ ও তাঁর সঙ্গীদের রবিউলের অনুগামীরা শূন্যে গুলি ছুড়ে ভয় দেখায় ও মারধর করে।” রবিউলের পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের কর্মী কাজল ভূঁইঞা মাঠ থেকে আলু তোলার সময় দিলীপের লোকজন গিয়ে মারধর করে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.