রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রায় দশদিন পরে মিলল সুনীল ঘোষের (৪০) মৃতদেহ। ইটভাটার মালিক সুনীলবাবু গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম এলাকার একটি কালভার্টের নীচ থেকে বস্তাবন্দি ওই পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুনীলবাবুর বাড়ি নদিয়ার মুরুটিয়ার গন্ধরাজপুরে। পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার দুপুরে নবগ্রাম এলাকার একটি কালভার্টের তলায় একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকার মানুষের। ওই বস্তা থেকে রীতিমত দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছিল। এরপর পুলিশ এসে বস্তাবন্দী ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে রবিবার সুনীলবাবুর পরিবারের লোকজন নবগ্রাম থানায় গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনীলবাবু মোটরবাইকে করিমপুরে এসেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওইদিন সন্ধ্যায় মুরুটিয়া থানাতে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। এর কয়েকদিন পরে সুনীলবাবুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মুরুটিয়া থানায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুনীলবাবুর স্ত্রী ভারতীদেবী। সুনীলবাবুকে দ্রুত উদ্ধার করার দাবিতে গত সোমবার করিমপুরের মহিষবাথান এলাকায় প্রায় ঘন্টা তিনেক করিমপুর কৃষ্ণনগর রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন সুনীলবাবুর ইটভাটার কর্মচারীরা ও এলাকার ক্ষুব্ধ কিছু মানুষ। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বাজারে বেশকিছু দেনা হয়েছিল সুনীলবাবুর। তবে সেটাই খুনের কারণ কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
করিমপুরের সি আই বিমল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই ঘটনায় নবগ্রাম এলাকার দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সুনীলবাবুর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।” এ নিয়ে পুলিশ মোট পাঁজনকে গ্রেফতার করেছে। সুনীলবাবুর সঙ্গে তাঁর মোটরবাইক, সোনার কয়েকটি আংটি ও নগদ টাকা ছিল। সেসব কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুনীলবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে হাত পা বেঁধে বস্তাবন্দী করে কালভার্টের নীচে ফেলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’ |