হস্তশিল্প মেলা শুরু বহরমপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
ব্যারাক স্কোয়ারে মেলায় মন্ত্রীদের সঙ্গে শিল্পীরা। নিজস্ব চিত্র। |
প্রাকৃতিক তন্তুজাত শিল্পের উন্নতির জন্য এই প্রথম ‘ন্যাশনাল ফাইবার মিশন’ গঠন করল কেন্দ্র। সোমবার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার মাঠে ‘রাজ্য হস্তশিল্প মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানালেন মন্ত্রী মানস ভুইঞা। তিনি বলেন, “মাদুর, বেত, বাঁশ, তুলো ও পাটের মতো প্রাকৃতিক তন্তুজাত শিল্পের উন্নতির জন্য কয়েক দিন আগে ‘ন্যাশনাল ফাইবার মিশন’ গঠন করেছে কেন্দ্র। মাদুর, বেত, বাঁশ, তুলো ও পাট মিলে মোট ৫টি প্রাকৃতিক তন্তুকে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে শিল্প গড়ে তোলার জন্য ওই মিশন গড়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পের আনুমানিক বরাদ্দ ধরা হয়ছে ২৫৭ কোটি টাকা। এ ছাড়াও দিন তিনেক আগে বালুচরি শাড়ি তৈরির জন্য আমাদের দেশ পেটেন্ট পেয়েছে। ফলে আমরা ছাড়া অন্য কোনও দেশ বালুচরি শাড়ি তৈরি করতে পারবে না।” বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “রাজ্যের সব থেকে বেশি পাট উৎপন্ন হয় মুর্শিদাবাদে। অথচ আজ পর্যন্ত এ জেলায় হস্তশিল্প মেলা হয়নি। এ কারণে বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এ জেলা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের সব বিধায়ক সম্মিলিত ভাবে বহরমপুরে এ বাবের রাজ্য হস্তশিল্প মেলা করা আবেদন করেন। ওই আবেদন মেনে এই প্রথম বহরমপুরে ‘রাজ্য হস্তশিল্প মেলা’ হল।” ব্যারাক স্কোয়ার মাঠের প্রায় অর্ধেক এলাকা জুড়ে বসেছে মেলা। সেখানে রাজ্যের সব জেলার শিল্পজাত সামগ্রী নিয়ে হাজির হস্তশিল্পীরা। প্রতিদিন দুপুর একটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা চলবে আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত। মানসবাবু বলেন, “এই মেলায় প্রায় ৯০০ জন হস্তশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন।”
|
ক্ষোভের মুখে মহিলারা, নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
পাড়ার বেআইনি মদের আসরের খবর পুরপ্রধানকে জানিয়ে মদ বিক্রেতার রোষের মুখে পড়লেন মহিলারা। নবদ্বীপ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুরে শনিবার রাতে পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা হানা দেন ওই মদের ঠেকে। উদ্ধার করেন বেআইনি মদ। মদের দোকানের মালিক উৎপল দেবনাথ ওরফে উদো তখন গা ঢাকা দিলেও গভীর রাতে এলাকায় ফিরে ওই মহিলাদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিতে থাকে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নরেশ সাহা রায় বলেন, “রাত দেড়টা নাগাদ রামদা নিয়ে ওই মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে। সঙ্গে গালিগালাজ। সকালে মহিলারা উৎপলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।” নবদ্বীপের আইসি শঙ্করকুমার রায়চৌধুরি বলেন, “আমরা নজর রাখছি। তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
বাংলা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ির ফিরে প্রসবযন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েছিলেন। পরের দিন সকালে সন্তানের জন্ম দেন কৃষ্ণনগরের ভজনঘাটের বাসিন্দা সরস্বতী হালদার। আর তারপরে সোমবার ইংরেজি পরীক্ষা দিতে আসেন তিনি। সঙ্গে নবজাতক। বিকেলে বলেন, “পরীক্ষা ভালো হয়েছে। মেয়ে কিন্তু একদমই জ্বালাতন করেনি।” বছর খানেক আগে পেশায় কৃষক ষষ্ঠী হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। সরস্বতী বলেন, “একটু কষ্ট করেই পরীক্ষা দিলাম কারণ পড়াশোনায় ছেদ পড়লে আর হয়তো পড়া হত না। এটা পারলাম আমার শাশুড়ির জন্য।”
|
|
|
কৃষ্ণনগরে ধর্মঘট সফল ও ব্যর্থ করার মিছিল। নিজস্ব চিত্র। |
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
রবিবার থেকে নিখোঁজ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দীপনারায়ণ বিশ্বাস। বাড়ি হাঁসখালির বেনালি নতুনগ্রামে। চন্দননগর আরডিপি ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সে। ছাত্রটির বাবা চাঁদমোহন বিশ্বাস এক যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই ছাত্রের মাসির সঙ্গে কিছু দিন আগে এক যুবকের পরিচয় হয়। তারপর থেকেই দীপনারায়ণের বাড়িতেও যাতায়াত শুরু হয় ওই যুবকের। চাঁদমোহনবাবু বলেন, “রবিবার সকাল আটটা নাগাদ ওই ছেলেটি আমাদের বাড়ি আসে। দশটার পর থেকেই আমার ছেলে নিখোঁজ। ওই যুবককেও পাওয়া যাচ্ছে না। ওই আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই যুবক যে পরিচয় দিয়েছিল খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তাও ভুল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
পরীক্ষা বয়কট করলেন মুর্শিদাবাদ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি নামে সরকারি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কলেজের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা, যা আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে। পরে ওই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন কলেজের সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ও ইলেকট্রনিক্স অ্যাণ্ড ইন্সট্রুমেন্টেসন্ শাখার তিনটি বর্ষের প্রায় ৭০০ জন ছাত্রছাত্রী। তারই জেরে এদিন তারা পরীক্ষা বয়কট করেন। কলেজ অধ্যক্ষ করুণাময় ঘোষ বলেন, “গোটা বিষয়টি উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন দফতরকে জানিয়েছি।”
|
মিড-ডে মিলে ‘নিম্ন মানের’ খাবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
মিড-ডে মিলে নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শান্তিপুরের এক স্কুলে। ওই অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে প্রায় চার ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও মুক্ত করে। বিক্ষোভে সামিল হন নদিয়া জেলা মিড-ডে মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যরা।
|