|
|
|
|
জমিদাতাদের চাকরি দিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জিন্দলদের |
সুমন ঘোষ • শালবনি |
ইস্পাত-প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের পরিবার-পিছু এক জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জিন্দল-গোষ্ঠী। সেই পথে এক কদম এগোল ওই শিল্প-গোষ্ঠী।
জমিদাতা পরিবারের সন্তানদের চাকরির উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শালবনির সুন্দরায় যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে তারা, সোমবার তার উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। দিনে দুই ‘শিফটে’, প্রতিবার ৪০ জন করে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এখানে। জিন্দল-গোষ্ঠীর সিইও বিশ্বদীপ গুপ্ত বলেন, “আমরা কথা দিয়েছিলাম জমিদাতা পরিবারের এক জনকে চাকরি দেব। সে কথা রাখব। সে লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণ দিয়ে জমিদাতা পরিবারের সদস্যদের কাজের উপযুক্ত করার ব্যবস্থা করছি।”
এই প্রকল্পের জন্য ৪ হাজার ৩৩৬ একর জমি নিয়েছে ওই শিল্প সংস্থা। যার মধ্যে ২৯৪ একর জমি ‘রায়তি’। |
 |
শালবনিতে জিন্দলদের প্রশিক্ষণ শিবিরে জমিদাতা পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ। —নিজস্ব চিত্র। |
বাকিটা খাসজমি। জমি সরাসরি শিল্পগোষ্ঠীকেই কিনতে হবে--তৃণমূল সরকারের এই ‘নীতি’ প্রণয়নের অনেক আগেই ওই রায়তি জমি জিন্দলেরা সরাসরি কিনেছিলেন। প্রতিটি পরিবারে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা হয়, পরিবারের কে চাকরির উপযুক্ত, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, তিনি কোন বিষয়ে পারদর্শী বা কারখানার কাজ সম্বন্ধে একেবারেই অনভিজ্ঞ কি না। দেখা যায়, কারখানার কাজ সম্বন্ধে এ তল্লাটের বেশির ভাগই অনভিজ্ঞ। যাঁর যে বিষয়ে উৎসাহ রয়েছে, সে বিষয়েই প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযুক্ত করা হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হওয়ায় স্থানীয় মানুষ খুশি।
২০০৮-এর নভেম্বরে শিলান্যাসের অব্যবহিত পরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে মাওবাদীদের মাইন বিস্ফোরণে থমকে যায় এই প্রকল্পের কাজ। কর্তৃপক্ষের দাবি, এ বার কয়েক মাসেই মূল প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হবে। ২০১৫-র মধ্যে প্রথম ধাপে ৩০ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদনও শুরু হবে। ২০২০-২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ রূপ পাবে বলে বিশ্বদীপবাবু জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এখন প্রকল্পের কাজে তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। দ্রুত কাজ চলছে। এই অঞ্চলে বিপুল কর্ম-সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ধাপেই ২০-৩০ হাজার কর্মীর প্রয়োজন। একাংশ অবশ্য ঠিকাদারের অধীনে কাজ করবেন। এলাকার ২৩টি গ্রামে অনেক বেকার যুবক রয়েছেন। তাঁরা যাতে কাজ পান, সে দিকে আমাদের নজর রয়েছে।” |
|
|
 |
|
|