|
|
|
|
এগরা গণধর্ষণ |
পিটিয়ে খুন নিয়ে রাজনীতি নয়, সাজা চান নিহতের দাদা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
গণধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত দুই যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে এগরায়। যদিও গণপিটুনির অভিযোগকারী নিহতের পরিবার এই ঘটনায় রাজনীতি না করে দোষীদের সাজা দাবি করেছে।
শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার দুবদা গ্রামে এক বধূকে গণধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্নেহময় বর ও শিবু জানাকে পিটিয়ে মারা হয়। নিহতেরা তৃণমূল সমর্থক বলেই এলাকায় পরিচিত। ‘নির্যাতিতা’ বধূ ও তাঁর স্বামী সিপিএমের দলীয় সদস্য। গ্রামের বহু লোক গণপিটুনিতে জড়িত থাকলেও ‘বেছে-বেছে’ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নামে অভিযোগ হয়েছে বলে দাবি সিপিএমের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের অবশ্য দাবি, “সিপিএম তাদের জমানায় পুলিশকে প্রভাবিত করত বলে এখন আমাদের সম্পর্কেও অমূলক আশঙ্কা করছে।” |
|
এগরার দুবদা গ্রামে থমথমে পরিবেশে পুলিশি টহলদারি। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
ঘটনাও হল, নিহত স্নেহময়ের দাদা মৃত্যুঞ্জয় বর রবিবার এগরা থানায় যে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে মূল অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন ওই বধূর স্বামী, দুই দেওর ও দুই ভাই। এই পাঁচ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক হিসাবে পরিচিত। অভিযুক্ত বাকি চার গ্রামবাসীর মধ্যে দু’জন সিপিএম এবং দু’জন তৃণমূলের সমর্থক বলে গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত পণ্ডার দাবি, “ওই মহিলার স্বামী গণপিটুনি বা প্ররোচনাকিছুর সঙ্গেই জড়িত নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।”
মৃত্যুঞ্জয়বাবু কিন্তু বলেন, “রাজনীতির প্রশ্নই নেই এখানে!
ওই মহিলার দেওর-ভাইরা আমার ভাইকে মারতে-মারতে টেনে নিয়ে যায়। পুলিশের হাতে তুলে দেবে বলে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে
দেয়নি জখম ভাইকে। যারা ওকে মেরেছে, তাদের শাস্তি চাই আমরা। সে যে দলেরই হোক না কেন।”
ঘটনার রাতে ‘ঝামেলা এড়াতে’ জখম শিবু ও স্নেহময়কে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।
কিছু গ্রামবাসী বলেন, “পুলিশ ঠিক সময়ে ওদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো ওরা বেঁচে যেত।” এ দিন দুবদা গ্রামে ছিল থমথমে পরিবেশ। গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ৯ জন ছাড়াও অনেকেই গ্রামছাড়া। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
এখনও কেউ ধরা পড়েনি। ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃতীয় ব্যক্তিকেও পুলিশ খুঁজছে। |
|
|
|
|
|