ঋণের টাকা শোধ না-করায় এক প্রৌঢ়কে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে আরামবাগের বৃন্দাবনপুর সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর ধারের একটি বাগান থেকে নবকুমার জানা নামে ওই প্রৌঢ়কে স্থানীয় বাসিন্দারা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানালেও সোমবার রাত পর্যন্ত লিখিত ভাবে তা জানাননি। পুলিশ জানায়, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রৌঢ়কে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। তাঁর গলায় দাগ রয়েছে। নবকুমারবাবুর বন্ধু গুরু চন্দ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৌলতপুরের বাসিন্দা নবকুমারবাবু পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ২০০৭ সালে তিনি বন্ধু, নওপাড়ার বাসিন্দা গুরু চন্দের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা ধার নেন। ইতিমধ্যে কিছু টাকা শোধ করেছেন। বাকি টাকা শোধের ব্যাপারে আলোচনার জন্য রবিবার বিকেলে ওই আমবাগানে নবকুমারবাবুকে ডাকেন তাঁর বন্ধু। অভিযোগ, সেখানেই গুরুবাবু এবং তাঁর এক সঙ্গী নবকুমারবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজনের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে যায়।
সোমবার হাসপাতালে নবকুমারবাবু বলেন, “আলোচনার জন্য গুরু ডাকায় গিয়েছিলাম। সুদ সমেত পুরো টাকাই আমি ফেরত দিতাম। কিন্তু গুরু এবং তাঁর এক সঙ্গী আমাকে কথা বলার সুযোগ দিল না। ওঁর সঙ্গী আমাকে মারধর করল। তার পরে দু’জনে মিলে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আমাকে খুনের চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন এসে আমাকে ওদের হাত থেকে ছাড়ায়।” সুস্থ হলে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন নবকুমারবাবু। অভিযোগ অস্বীকার করে গুরুবাবু বলেন, “ঋণ শোধের জন্য নবকে ডেকে শুধু তাগাদা দিয়েছিলাম। মারধরের কথা সাজানো। ঋণ শোধ না করার মতলব রয়েছে ওর।” |