একটি বাসে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সোমবার দুর্ভোগে পড়ল খানাকুলের বেশ কিছু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয়। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল-দিগরুইঘাট রোডে ১৬/২০ রুটের তিনটি বাস চলে। ট্রেকার বা অটোরিকশার মতো যানবাহনও কম চলে। বেলা ১১টা নাগাদ যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য একটি বাস মাঝপথে থেমে যায়। পরীক্ষা কেন্দ্রে কী ভাবে পৌঁছবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরীক্ষার্থীরা। একই অবস্থা হয় অভিভাবকদেরও। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীকে ফোনে সমস্যার কথা জানান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বেশির ভাগ অভিভাবক নিজেদের উদ্যোগেই ট্রেকার ভাড়া করে ছেলেমেয়েদের নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছন। কয়েক জন পরীক্ষার্থী পরের বাসের জন্যই অপেক্ষা করে। মহকুমাশাসক বলেন, “ওই রুটে চলা তিনটি বাসের মধ্যে একটি হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল। ওই রুটের বাস-মালিকদের বলা হয়েছে, বাসে কোনও বিভ্রাট হলে সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।” এ দিনের সমস্যার কথা মেনে নিয়ে ওই রুটের বাস-মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, একটি বাসে যান্ত্রিক গোলমাল হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিকল্প বাস পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
|
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে চোলাই মদ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশকে বার জানানো সত্ত্বেও চোলাই মদের রমরমা বন্ধ হয়নি। পাতিহালের মিত্রগড়ে খোলা মাঠে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে চারপাশ ঘিরে তৈরি হয়েছে ঠেক। পাতিহাল হাটতলা থেকে বড়গাছিয়া ক্ষিরিশতলা পর্যন্ত জনবহুল রাস্তার দু’দিকে গড়ে উঠেছে একাধিক চোলাই মদের ঠেক। মুন্সির হাট পেট্রোল পাম্পের কাছে, পাতিহাল রেল স্টেশনের কাছে, বড়গাছিয়া হাট, প্রভৃতি এলাকাতে চলছে রমরমিয়ে চোলাই মদের কারবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল থেকে মুন্সিরহাটে কারবারিরা চোলাই মদ বড় বড় জেরিকেনে নিয়ে আসে। মুন্সিরহাট থেকে থেকে আবার চোলাই মদ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন ঠেকে। পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চোলাই মদের সব ঠেকগুলি বন্ধ হোক। কয়েক বছর আগে স্থানীয় মহিলা সমিতিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা চোলাই মদের ঠেকগুলি ভেঙে দিয়েছিলাম। কিন্তু ফের সব গজিয়ে উঠেছে। আসলে এগুলি পাকাপাকিভাবে বন্ধ করতে হলে পুলিশের সহায়তা দরকার।” হাওড়া জেলা পুলিশ (গ্রামীণ)-এর এক কর্তার অবশ্য দাবি, সংগ্রামপুরে বিষ মদে মৃত্যুর ঘটনার পরে জেলা জুড়ে চোলাই মদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।
|
পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে হুগলির সিঙ্গুরে বাগডাঙা-ছিনামোড় পঞ্চায়েতের হাকিমপুর তুষ্টুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে। ওই স্কুলেই পড়ত অর্পিতা দাস (১৬) নামের ওই ছাত্রী। তাঁর বাড়ি হাকিমপুর গ্রামেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এ দিন পরীক্ষা দিয়ে সে বাসে করে নসীবপুর মোড়ে নামে। রাস্তা ধরে হেঁটে বাড়িতে ফিরছিল। সেই সময় চন্দননগরের দিক থেকে আসা কুমড়োবোঝাই একটি ট্রাক তাঁকে পিষে দেয়। মাথা থেঁতলে যায় মেয়েটির। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
|
হুগলিতে সোমবার দুটি ভিন্ন ঘটনায় জিরাট ও পাণ্ডুয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে পাণ্ডুয়ার পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা কলিমুদ্দিন খন্দকার (৭৫) বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে জিটি রোডের কলবাজারের কাছে একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিনই সন্ধ্যায় জিরাট মোড়ে অসম লিঙ্করোডে একটি ট্রাক পিছন থেকে মোটরবাইক আরোহী দুই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। মানস বিশ্বাস (৩৮) নামে একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। |