নয়ডায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে দেওয়ায় পুলিশের কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী কৃষ্ণ তিরথ। সেই সঙ্গে দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ধর্ষিতার নাম প্রকাশ করা যায় না ও আদালত রায় না দেওয়া পর্যন্ত ধর্ষিতার বয়ানকেই প্রাধান্য দিতে হবে। কিন্তু রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে নয়ডার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট অনন্ত দেব ওই কিশোরীর নাম প্রকাশ করে দেন। ঘটনার দিন ওই কিশোরী নিজের ইচ্ছায় ৫ অভিযুক্তের সঙ্গে মদ খেয়েছে বলেও ওই বৈঠকে জানিয়েছেন অনন্ত। যদিও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই কিশোরী জানায় ওই ৫ যুবক তাকে মদ খেতে বাধ্য করে।
নাম প্রকাশ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আজ পঞ্চম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার অন্য ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই ৫ জনকে জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কিশোরীর দাবি, পাঁচ অভিযুক্তের অন্যতম রাহুল আগেও তাকে ধর্ষণ করেছিল। এ ব্যাপারে মুখ না খুলতে রাহুল তাকে হুমকি দেয়। তার এক বান্ধবীকেও সে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী।
এ দিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অধস্তন এক অফিসারের উপর ঘটনায় দায় চাপিয়েছেন অনন্ত। পুলিশের সমালোচনা করেছে ‘শিশু অধিকার সংক্রান্ত জাতীয় কমিশন’-ও। কমিশনের চেয়ারপার্সন শান্তা সিন্হা বলেছেন, “এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এক সরকারি অফিসার হয়েও ঘটনার গুরুত্ব না বুঝে ওই কিশোরীর নাম প্রকাশ করে দেওয়ায় এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে সে।” কিশোর অপরাধ সংক্রান্ত আইনের পরিপন্থী কাজ করায় দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ব্যবস্থা নিতে নোটিস জারি করেছে কমিশন। রাজ্য মহিলা কমিশনের তরফেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বৃন্দা কারাট ঘটনার নিন্দা করেছেন। চাপের মুখে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার চলন্ত গাড়িতে ৫ যুবক কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে মদে ঘুমের ওষুধের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘুমের ওষুধ মেশানো মদ খেয়ে আচ্ছন্ন হলে ৫ যুবক তাকে ধর্ষণ করে। |