মাঠ সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। মাস ছয়-সাত আগে দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের গিরিডাঙাল গ্রামে একটি খেলার মাঠ সংস্কার হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পে ওই মাঠ সংস্কারে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মাটি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করেছিল পঞ্চায়েত। শুধু তাই নয়, এলাকার লোকেদের সামান্য কয়েক দিন কাজ দিয়ে মজুরি খাতে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা খরচ দেখিয়েছে পঞ্চায়েত।
এলাকাবাসীর দাবি, কাজ চলাকালীন পঞ্চায়েতে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে সম্প্রতি বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের চায়না বাগদি অবশ্য বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি এই কাজ করিয়েছে।” দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ সব ভিত্তিহীন কথা। যেহেতু ১০০ দিনের প্রকল্পে একটা বড় অঙ্কের কাজ ছিল, তাই তৎকালীন বিডিও-র অনুমতি নিতে হয়েছিল পঞ্চায়েত প্রধানকে। পঞ্চায়েতেই কাজ করিয়েছে।” |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী অধ্যুষিত গিরিডাঙাল গ্রামের খেলার মাঠের উন্নয়ন শুরু হয়েছিল গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে। প্রকল্পে মোট বরাদ্দ দেখানো হয়েছে ১৭ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। মজুরি বাবদ দেখানো হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ এবং কাঁচামালের খরচ দেখানো হয়েছে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। গ্রামবাসী মঙ্গল মাড্ডি, চরণ মুর্মু, বুধিয়া টুডুদের কথায়, “শ্রমিকেরা মাত্র দু’চারদিন কাজ পেয়েছেন। বাকি সময় খেলার মাঠের পাশে গর্ত করে মাটি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আপত্তির কথা পঞ্চায়েতে জানিয়েছিলাম। কিছুই হয়নি। কাজ শেষে বোর্ডে নোটিস দেখে জানতে পারি, মজুরি খাতে ১১ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু যতজন কাজ করেছেন তাঁদের পারিশ্রমিক ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছবে না। তাই বিডিওকে জানিয়েছি।” শুধু তাই নয়, মাটি কাটার জন্য কাঁচামালের ক্ষেত্রে এত টাকা কোথায় খরচ হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। যুগ্ম বিডিও মানিক সিংহমহাপাত্র বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে। কিন্তু ওই কমিটি গঠন করতে দেরি হওয়ায় তদন্ত শুরু করা যায়নি। তবে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে।” |