আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলশেখ রিন্টু ও শেখ কদম। বাড়ি সিউড়ির হারাইপুর ডাঙালপাড়ায়। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিধবা ওই মহিলা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। রবিবার কাজ সেরে বাজার করতে দেরি হওয়ায় পুরুষ সহকর্মী সাইকেলে করে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাত সওয়া ৯টা নাগাদ সিউড়ি-বোলপুর রাস্তার সলখানা মোড়ের কাছে চার দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। অভিযোগ, এক জন ওই মহিলাকে পাশে একটি ঝোপে তুলে নিয়ে যায়। অন্যরা সহকর্মী ওই রাজমিস্ত্রিকে অস্ত্র দেখিয়ে ঘিরে রাখে। |
কোনও ভাবে ওই রাজমিস্ত্রি দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে বেরিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। এসপি হৃষিকেশ মিনা বলেন, “খবর পেয়ে ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) প্রশান্তকুমার চৌধুরী, সিউড়ি থানার আইসি মীর জামীর কাশেম দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তিন জনকে হারাইপুর ডাঙালপাড়া থেকে আটক করা হয়। সোমবার আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ সিউড়ি আসেন।” পুলিশ জানায়, আটকদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করা হয়। আইজিও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে এক জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও রিন্টু ও কদমকে গ্রেফতার করা হয়। এসপি জানান, আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতদের মধ্যে এক জন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বছর দশেক আগে সিউড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন। তিন ছেলেমেয়ে। সোমবার তিনি বলেন, “হাটজন বাজার এলাকায় একটি স্কুলে রাজমিস্ত্রি শেখ সিরাজের সঙ্গে কাজ করি। তার পরে বাজার করে বাড়ি ফিরি। ওই দিন বাজার করতে দেরি হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য বাস পাইনি। |
সিরাজই আমাকে সাইকেলে করে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিল। হঠাৎ চার জন পথ আটকায়। সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তিন জন সিরাজকে ঘিরে ধরে। এক জন টানতে টানতে আমাকে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়।” শেখ সিরাজ বলেন, “দুষ্কৃতীরা আমাদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, গয়না কেড়ে নেয়। কোনও ভাবে তাদের হাত থেকে বেরিয়ে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশকে খবর দিই।”
|
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |