রমেশ অবশ্য খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ দিন আদালত চত্বরে সে বলে, “শ্যামলের সঙ্গে আমার ৩০ বছরের বন্ধুত্ব। ও চলে যাওয়ায় কষ্ট হচ্ছে। আমার একটা শক্তি চলে গেল। কে ওকে খুন করল আমি তা জানার চেষ্টা করছি।”
তবে যেদিন নিখোঁজ হয়, সেদিন রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত শ্যামল যে তার সঙ্গেই ছিল, রমেশ তা স্বীকার করেছে। রমেশ জানায়, ওই দিন দু’জনের মধ্যে জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা হয়। দু’জনে একটি জমিও দেখতে গিয়েছিল।
রমেশের দাবি, “রিষড়ার দাসপাড়ায় আমার ফ্ল্যাটের সামনে মোটরবাইক রেখে শ্যামল আমার গাড়িতে উঠেছিল। জমি দেখে ফিরে সেখান থেকে বাইকে চেপে ও চলে যায়। আমি ফ্ল্যাটে উঠে যাই। তার পরে কী হয়েছে, বলতে পারব না। আমার সঙ্গে ওর শেষ মিটিং হয়েছে বলেই আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি নির্দোষ।”
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের অবশ্য দৃঢ় ধারণা, ঘটনার মূল চক্রী রমেশই। তবে, ‘অপারেশন’টা করেছিল তারই সহযোগী নেপু গিরি। বেশ কিছুদিন ধরেই শ্যামলকে ‘সরিয়ে’ দেওয়ার মওকা খুঁজছিল সে। ওই দিন নির্জন রাস্তায় একা পেয়ে দলবল নিয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে শ্যামলের উপর।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রমেশ দাসপাড়ায় পৌঁছনোর আগে নেপুর ঘনিষ্ঠ কিছু দুষ্কৃতী সেখানে ছিল। তারা কাছেপিঠেই কোথাও অপেক্ষা করছিল বলে মনে করা হচ্ছে। নেপু-সহ সন্দেহভাজন আরও কয়েকজন দুষ্কৃতীকে পুলিশ খুঁজছে। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত অন্য দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” |