উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্তান মোটরসের উদ্বৃত্ত জমিতেই টাটাদের ন্যানো কারখানা গড়া যেত বলে মনে করেন জমি-নীতি কমিটির সদস্য দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যথাযথ ভাবে জমি-ব্যাঙ্ক তৈরি হয়নি। তাই তারা সিঙ্গুরে গিয়েছিল। তা ছাড়াও সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য পরপর দু’বার সিপিএমকে হারিয়েছিলেন। তাই তাঁকে ‘শিক্ষা’ দিতেই সিঙ্গুরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। নতুন জমি-নীতি তৈরির ব্যাপারে গত বুধবারের পর শনিবার মহাকরণে ফের রাজ্যের ভূমি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন দেবব্রতবাবু। বৈঠকের পর তিনি বলেন, বিধানচন্দ্র রায় হিন্দুস্তান মোটরসকে ৭৫০ একর জমি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৪৫০ একর জমি খালি পড়ে ছিল। সেই জমিতেই টাটাদের কারখানা হওয়া উচিত ছিল। সম্প্রতি সেই উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি করেই হিন্দুস্তান মোটরস ২৮৫ কোটি টাকা পেয়েছে বলে রাজ্য সরকারের কাছে খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু গোড়া থেকেই জমি ব্যাঙ্ক তৈরির উপরে জোর দিয়েছেন। এ দিন বৈঠকে হাজির ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব আর ডি মিনা বলেন, জমি-ব্যাঙ্ক তৈরির জন্য ৩০ জুনের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত দফতরের সচিব ও জেলাশাসককে তাঁদের অধীনে থাকা সমস্ত সরকারি জমির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ মহাকরণে পাঠাতে বলা হয়েছে। কত জমি তাঁদের কাজে লাগছে, কত জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে, কত জমি নিয়ে মামলা চলছে পাঠাতে হবে সেই সব তথ্যই। তার ভিত্তিতে তৈরি জমি-ব্যাঙ্ক থেকে ভবিষ্যতে শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করা যাবে।
|
এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকালে উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলেজ চত্বরে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন বিকাল ৫টা নাগাদ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের পক্ষ থেকে ব্যাঁটরা থানায় অভিযোগ করা হয়, ছাত্র সংসদের ঘরে এসএফআই সমর্থকেরা অস্ত্র মজুত করে রেখেছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র সংসদের ঘরের আলমারি ভেঙে ৬টি তাজা বোমা, ১টি দেশি বন্দুক এবং ১ রাউন্ড থ্রি-নট-থ্রি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে টিএমসিপির সঙ্গে এসএফআইয়ের ছাত্রদের সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অস্ত্র উদ্ধারের সময় কলেজে আসেন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল দে। তাঁর দাবি, পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্ররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কলেজ থেকে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়েছে ঠিকই। তবে কারা এই অস্ত্র রেখেছিল বা কোন জায়গা থেকে এগুলি আনা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
পারিবারিক বিবাদের জেরে গণপিটুনিতে নিহত হলেন এক স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার বটতলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম কৃষ্ণা হালদার (৩২) ও তরুণ হালদার (৩৭)। ঘটনায় আরও দু’জন জখম হয়েছেন। তাঁদের গোসাবা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলেছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পড়শি শ্যামলী সর্দারের একটি হাঁস কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে যায়। অভিযোগ, কৃষ্ণাদেবীর ছোড়া ইটের ঘায়ে হাঁসটি জখম হয়। তার প্রতিবাদ জানাতে শ্যামলীদেবী কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে আসেন। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময়ে ধারালো কিছু দিয়ে শ্যামলীদেবীকে আঘাত করতে যান কৃষ্ণাদেবী। আটকাতে গিয়ে জখম হয় শ্যামলীদেবীর ভাইঝি পুস্পিতা সর্দার। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক তরুণবাবু কিছু বোঝার আগেই হামলা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ভাই তপন হালদারের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে গোলমাল চলছিল তরুণবাবুর। তপনবাবুদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল শ্যামলী ও তাঁর স্বামীর। তপনবাবুরাও হামলা করেন বলে অভিযোগ। বেধড়ক মার দেওয়া হয় ওই দম্পতিকে। পরে গ্রামবাসীরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে কৃষ্ণাদেবী মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তরুণবাবুর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, জখম শ্যামলীদেবী ও পুস্পিতাকেও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।
|
জল খেতে চেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে শুক্রবার রাতে হাবরার পিয়ারাতলার একটি বাড়ি থেকে সোনার গয়না এবং নগদ কয়েকশো টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, বাড়িটি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী দেবেশ দাসের। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ চার দুষ্কৃতী দেবেশবাবুর ডাক নাম ধরে ডাকে। দেবেশবাবু তখন বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী ঝুমাদেবী দরজা খুললে দুষ্কৃতীরা জল চায়। ঝুমাদেবী ঢুকে যেতেই দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ঘরে গিয়ে আলমারির চাবি চায়। তার পরে ঝুমাদেবীর থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয়।
|
রাতভর তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার বনগাঁর রামচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী ২১ জনকে গ্রেফতার করল। ওই সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুরে ধর্ষণের চেষ্টায় এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশ গ্রামবাসীদের একাংশের হাতে আক্রান্ত হয়। ৬ জন পুলিশকর্মী জখম হন। শনিবার ওই এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। বহু পুরুষই গ্রামছাড়া। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা ঘটনার তদন্তে যান।
|
বারাসতের রোহান্ডা-চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য আব্দুল সাত্তার নস্করের বাড়িতে শুক্রবার রাতে হামলা চালাল কয়েক জন দুষ্কৃতী। বাড়িটি চণ্ডীগড় গ্রামে। দুষ্কৃতীরা জিনিসপত্র লুঠ করে এবং ভাঙচুরও চালায় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুল। তাঁর আরও অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই হামলা চালায়। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |