|
|
|
|
নেতাদের সামনেই পুলিশকে হেনস্থা তৃণমূল সমর্থকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² নামখানা |
দলীয় কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। আর তাঁদের সামনেই সহকর্মী খুন হয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে এসডিপিও এবং ওসি-কে হেনস্থা করলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। দলীয় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার কর্মী-সমর্থকদের সংযত থাকার নির্দেশ দিলেও সেটা যে মানা হচ্ছে না, তা আরও একবার দেখা গেল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা থানার উত্তর চন্দনপিঁড়ি গ্রামে শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও পুলিশ অফিসারেরা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ্য খুলতে চাননি। তবে শাসক দলের নেতাদের সামনে এ ঘটনা ঘটায় রীতিমতো হতাশ তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান গ্রামের তৃণমূল-কর্মী লক্ষ্মণ প্রধান (৫০)। শুক্রবার বিকেলে দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির পাশের পুকুরপাড় থেকে। লক্ষ্মণবাবুর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে শনিবার দুপুরে সেই গ্রামে যান দলের দক্ষিণ ২৪ পরগণার পর্যবেক্ষক তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মেয়রের সঙ্গে ছিলেন জেলার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী চৌধুরী মোহন জাটুয়া, রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ এবং ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ ও সাগরের বিধায়কেরা। সেই দলের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই গিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, এসডিপিও (কাকদ্বীপ) সঞ্জিত ভট্টাচার্য ও নামখানা থানার ওসি আব্দুল গফ্ফর।
আচমকা দলীয় সমর্থকদের একাংশ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেশ কয়েক জন মহিলা সমর্থক এসডিপিও এবং ওসি-র উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দু’জনের জামার কলার ধরে টানাটানি শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে ঘটনার সময়ে শোভনবাবু-সহ দলীয় নেতারা মৃত কর্মীর বাড়ির ভিতরে ছিলেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। শোভনবাবু অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ দিন তৃণমূলের তরফে মৃত লক্ষ্মণবাবুর স্ত্রী নীলিমা প্রধানের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন শোভনবাবু। পাশপাশি তাঁর ছেলে গোবিন্দ প্রধানকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। শোভনবাবু পরে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছিলাম। দ্রুত মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে বলেছি। পুলিশ যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলছিল তা ঠিক নয়। পরিকল্পিত ভাবে লক্ষ্মণ প্রধানকে খুন করা হয়েছে। সিআইডি তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|