|
|
|
|
পেন ওরজি ইস্টবেঙ্গলেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কলকাতা |
ডেম্পোর বিশাল আর্থিক প্রস্তাবে মাথা ঘুরে গেলেও শেষ পর্যন্ত সাড়া দিতে পারলেন না পেন ওরজি। চুক্তিমতো ইস্টবেঙ্গলেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এবং উগা ওপারার মতোই নাইজিরিয়ান মিডিও শনিবার রাতে বলে দিলেন, “ওডাফার মোহনবাগানে যোগদান নিয়ে আমি বিচলিত নই। ইস্টবেঙ্গলের যা টিম হয়েছে তাতে গতবারের মতোই ডার্বি ম্যাচের ফল হবে। আমাদের ওরা হারাতে পারবে না। বরং সামনের বছর আই লিগ পাব আমরাই।” লাল-হলুদের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি থাকা সত্ত্বেও গত এক মাস ধরে নানা সময়ে বেশি টাকা দাবি করে আসছিলেন পেন। কী ভাবে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসা যায় তার পথ খুঁজতেও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার ইস্টবেঙ্গলের প্রধান রিক্রুটার দেবব্রত সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর পেন চুক্তি মেনেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দেবব্রতবাবু বলেন, “ওর কিছু আবদার ছিল। আমরা সেটা মেটানোর চেষ্টা করব বলেছি। পেন আমাদেরই ছিল। থাকছেও । অগ্রিম নিয়েই দেশে যাবে।” এ দিন ক্লাবে এসে পারিশ্রমিকের মাসিক চেক নিয়ে যান পেন। মঙ্গলবার সামনের মরসুমের অগ্রিম নেওয়ার জন্য নাইজিরিয়ায় যাওয়ার দিনও বদলে ফেলেন তিনি। লাল-হলুদ মিডিও আগে জানিয়েছিলেন, সোমবার দেশে যাবেন এবং মায়ের সঙ্গে কথা বলে কোথায় খেলবেন সিদ্ধান্ত নেবেন। এ দিন বললেন, “সামনের সপ্তাহে যাব। সোমবার যাচ্ছি না।”
ওপারা এবং পেনকে নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় প্রায় পুরো দলটিই রেখে দিতে সমর্থ হল ইস্টবেঙ্গল। কোচ ট্রেভর মর্গ্যান যাঁদের রাখতে চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে রহিম নবি ছাড়া সবাই থেকে গেলেন শুধু নয়, বলজিৎ সিংহ, রবিন্দর সিংহ, নওবা সিংহ, গুরবিন্দর সিংহের মতো বেশ কিছু ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ দু’-তিন বছর বাড়িয়ে নিয়েছেন কর্তারা। মর্গ্যানের টিমে নতুন করে যোগ দিচ্ছেন চার্চিলের তিন ফুটবলার রাবার্ট লালথামুয়ানা, চরন রাই, খানতাং পাইতে। তিনজনই কলকাতায় এসে চুক্তি করে গিয়েছেন। ইন্ডিয়ান অ্যারোজের রাজু গায়কোওয়াড়-সহ ছয় ফুটবলারকেও ফিরিয়ে আনছে ইস্টবেঙ্গল। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির এই ফুটবলারদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের আগে চুক্তি ছিল। ক্লাব কর্তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন আরও একজন এমন ফুটবলার, যিনি রক্ষণের সব পজিশনে খেলতে পারেন। চতুর্থ বিদেশিরও খোঁজ চলছে।
এ দিকে প্রিমিয়ার ডিভিশনের দলবদল কবে হবে তা এখনও ঠিক করতে পারেনি আই এফ এ। ফেডারেশন আই লিগের ফুটবলারদের কলকাতা লিগে খেলতে দেবে কি না তা নিয়েও তারা সংশয়ে। ক’জন বিদেশি লিগে খেলতে পারবে তাও জানেন না আই এফ এ কর্তারা। তাঁদের অবস্থা বেশ কাহিল। |
|
|
|
|
|