|
|
|
|
গ্র্যান্ড স্লামে চিনা বিপ্লব |
সংবাদসংস্থা ² প্যারিস |
একশো আট মিনিটে টেনিস-গ্রহে চিনা বিপ্লব ঘটে গেল শনিবার। চিনের প্রথম টেনিস প্লেয়ার হিসাবে গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব জিতলেন লি না। উহান-এর উনত্রিশ বছর বয়সি টেকনোলজির ছাত্রী ফরাসি ওপেন ফাইনালে ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিটে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শিয়াভোনে-কে স্ট্রেট সেটে ৬-৪, ৭-৬ (৭-০) হারিয়ে চিনের টেনিসে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন। জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি নিয়ে লি না বলেছেন, “টেনিস প্লেয়ার হিসেবে বেড়ে ওঠার সময় ফরাসি ওপেন টিভিতে বেশি দেখার সুযোগ পাইনি। কারণ চিনে টেনিস বেশি দেখানোর চল নেই টিভিতে। সেই রোলাঁ গারোতেই চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে তাই অদ্ভুত একটা অন্য ধরনের অনুভূতি হচ্ছে।” |
|
রোঁলা গারোয় লি না। |
জাপানের কিমিকো দাতের (চার নম্বর) পর লি না হলেন এশিয়ার সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং টেনিস প্লেয়ার। বিশ্বের সাত নম্বর, ফরাসি ওপেনে ষষ্ঠ বাছাই লি না এ দিন ফাইনালে তাঁর সুপার ফিটনেস, বেসলাইন থেকে পাওয়ারফুল টেনিস আর দুর্ধর্ষ কিছু ফোরহ্যান্ড ক্রসকোর্টের দাপটে নিজের অপছন্দের ক্লে কোর্টেও গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব জিতলেন। পাশাপাশি শিয়াভোনের লাল মাটি হচ্ছে প্রিয় সারফেস। কিন্তু দুর্দান্ত টপস্পিন আর দীর্ঘ র্যালিইতালীয়ের দুটো অস্ত্রের কোনওটাই ফাইনালে চিনা প্রতিপক্ষের সামনে কাজ করেনি। লি না এ বছর অস্ট্রেলীয় ওপেনেরও ফাইনালে উঠেছিলেন। ক্লিস্টার্সের কাছে চূড়ান্ত সেটের চাপ সামলাতে না পেরে হেরে যান। কিন্তু রোলাঁ গারোয় শেষ সেটের টাইব্রেকারে দেখালেন চাপ সামলাতে এখন তিনি কেমন তৈরি। শিয়াভোনেকে টাইব্রেকারে একটাও পয়েন্ট না দিয়ে ঐতিহাসিক খেতাব জিতে নেন লি না। যাঁর চিনা টেনিসমহলে পরিচয় ‘বিপ্লবী প্লেয়ার’ হিসেবে। মূলত টিনএজ থেকে ইউরোপে টেনিস শেখা লি না-র পোশাক থেকে শুরু করে জীবনযাত্রা এতটাই আধুনিক যে, এত দিন নিজের দেশে মিডিয়ার আশীর্বাদ তেমন পাননি। শনিবার ইতিহাস গড়ার পর ছবিটা কতটা পাল্টায় সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|