এক) নাদালের ফোরহ্যান্ড টপস্পিনের সফল মোকাবিলা ফেডেরার এখনও করে উঠতে পারেনি। ট্যুরের শতকরা পঁচানব্বই ভাগ টেনিস প্লেয়ারের মতো ফেডেরারের ডাবল হ্যান্ডেড ব্যাকহ্যান্ড নেই। এক হাতে ব্যাকহ্যান্ড মারে। বাঁ-হাতি নাদালের টপস্পিনে এত বেশি স্পিন মেশানো থাকে আর সেগুলো এত উঁচু হয়ে ফেডেরারের ব্যাকহ্যান্ডে আসে যে, ওর এক হাতে মারা ব্যাকহ্যান্ড রিটার্নে সেই পাওয়ার বা নিখুঁত ভাব থাকে না। যা দিয়ে নাদালের বিরুদ্ধে উইনার মারা সম্ভব।
দুই) শুক্রবার প্যারিসের সময় রাত দশটায় ডকোভিচের বিরুদ্ধে ওই সাংঘাতিক কষ্টসাধ্য সেমিফাইনাল লড়াই জিতে উঠে পরের চল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে ফেডেরারকে ফাইনালে নাদালের বিশাল চ্যালেঞ্জ সামলাতে হচ্ছে। ফেডেরারের মতো সুপারফিট অ্যাথলিট আমি কোনও খেলায় দেখিনি ঠিকই। অবিশ্বাস্য রকম ফিট বলেই এক দশকের ওপর পেশাটার সার্কিটে টানা খেলেও কোনও বড় ধরনের চোটের শিকার হয়নি। তবু ফেডেরার শরীর-মন নিংড়ে নেওয়া সেমিফাইনালের ক্লান্তি কতটা ‘রিকভার’ করে ফাইনালে নামছে সেটা দেখার। আরও গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, নাদাল এমন একজন প্রতিপক্ষ যে কখনও ক্লান্ত হয় না। প্রবল হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের পঞ্চম সেটেও প্রথম সেটের মতোই কোর্টময় দৌড়য়। অবিশ্বাস্য স্ট্যামিনা! |