|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২৯ মে - ৪ জুন |
|
ইসলামাবাদ লন্ডন টোকিয়ো বার্লিন মিলান |
|
নিখোঁজ পাকিস্তানি সাংবাদিক সালিম শাহজাদকে পাওয়া গেল মৃত। উত্তর গুজরাত অঞ্চলে মিলল মৃতদেহ। কিছু দিন আগে পাক নৌবাহিনীতে আল-কায়দার রমরমা নিয়ে একটি প্রবন্ধ লেখেন তিনি। তারই জেরে গত ২২ মে করাচির মেহরান-এ নৌবাহিনী দফতরে ভয়াল বিস্ফোরণ, এই ছিল তাঁর মত। মতামতের দাম দিলেন প্রাণ দিয়ে। তবে পাকিস্তান একা নয়। সাংবাদিকদের প্রাণে মেরে শাস্তিহীন ভাবে ছাড় পাওয়া যাচ্ছে আরও কিছু দেশে: সোমালিয়ায়, ইরাকে, শ্রীলঙ্কায়।
lজাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নো-কনফিডেন্স তুললেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নাওটো কান কিন্তু জিতে গেলেন। হঠাৎ নো কনফিডেন্স মোশন-কেন? ভূমিকম্প ও সুনামি বিপর্যয়ের মোকাবিলা বিষয়ে সমালোচনা চলছে সে দেশে।
lজার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেছেন, ২০১১-এর মধ্যে তাঁর দেশ থেকে পরমাণু শক্তি সম্পূর্ণ উধাও হয়ে যাবে। এবং জার্মানির পরমাণু শক্তির বদলি হিসেবে রিনিউএবল এনার্জি বা নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রসারে প্রথম ও প্রধান দেশ হিসেবে অবতীর্ণ হবে।
lমিলান ও নেপলস-এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট বার্লুস্কোনি পরাজিত। তাঁর দলের প্রার্থীরা গোহারান হারলেন বামঘেঁষা প্রার্থীদের কাছে। তবে বাম-দক্ষিণ পার্থক্যের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এখন বার্লুস্কোনির চারিত্রিক কালিমা, একের পর এক দুর্নীতি ও যৌন কেলেঙ্কারি। এই কি তাঁর শেষের শুরু? |
|
lকোনও মেয়ে তাঁর মতো লিখতে পারে না। লন্ডনে রয়াল জিয়োগ্রাফিক সোসাইটির এক সভায় ঘোষণা করেছেন হ্যাঁ ভি এস নয়পল। মেয়েদের লেখা মানে গুচ্ছের সেন্টিমেন্ট, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও বড় সংকীর্ণ। যথারীতি, নিন্দার ঝড় বইছে তাঁর নামে ‘ছি ছি, এটা কী ধরনের নারীবিদ্বেষ, অ্যাঁ?’ নয়পল তো ঠিক এটাই চেয়েছিলেন! |
|
সান্তিয়াগো |
১৯৭৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সালভাদর আয়েন্দেকে পদচ্যুত করে চিলিতে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল আউগুস্তো পিনোশে। ১১ সেপ্টেম্বর আয়েন্দের গণতান্ত্রিক সরকারের পতন হল, ২৩ তারিখে হাসপাতালে মারা গেলেন চিলির নোবেলজয়ী কবি পাবলো নেরুদা (ছবি)। আয়েন্দের বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। অনেক দিন ক্যান্সারে ভুগেছিলেন, সেই রোগেই মৃত্যু। অন্তত তেমনটাই জানা ছিল। সম্প্রতি চিলির আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বিষ প্রয়োগে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল কি না, তদন্ত করে দেখতে হবে। এমন অভিযোগ প্রথমে আনেন নেরুদার গাড়ির চালক, তার পর চিলির কমিউনিস্ট পার্টি। গত মাসে আয়েন্দের দেহাবশেষও আদালতের নির্দেশে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনি সত্যিই আত্মহত্যা করেছিলেন না খুন হয়েছিলেন, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য। |
মোগাদিশু |
|
সোমালিয়ার ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছেই। সঙ্গে সঙ্গে চলছে সে দেশের শিশুদের অকালমৃত্যুর ঢল। এই বছরের গোড়া থেকেই আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে সোমালিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার। রাষ্ট্রপুঞ্জের অতি সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে সংঘাতে নিহতদের পঞ্চাশ শতাংশই হল সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, কেবল মে মাসে যে ১৫৯০ জন অস্ত্রাঘাতে পঙ্গু হয়ে পড়েছে, তার ৪৬ শতাংশই সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছরের শিশু। এমন ঘটনা কমই দেখা যায়, বলছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। প্রসঙ্গত ১৯৯১ সালে এই দেশের শেষ সরকার চলে যাওয়ার পর থেকে লাগাতার গৃহযুদ্ধ চলছে। কুড়ি বছর পূর্ণ হল। |
বার্লিন ও লন্ডন |
|
ব্যাকটিরিয়ার নাম ই কোলি। এই জীবাণুটি একটি বিষ উৎপাদন করে, মানুষের দেহে যার প্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর হতে পারে। এই বিষক্রিয়ায় কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দ্রুত সেই ক্রিয়া প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। ইয়োরোপের বারোটি দেশে গত ক’দিনে প্রায় দু’হাজার মানুষ এই জীবাণুর শিকার হয়েছেন, অন্তত সতেরো জনের মৃত্যু হয়েছে। যে দেশগুলি এর কবলে পড়েছে, তাদের মধ্যে প্রথম এবং এ যাবৎ প্রধান হল জার্মানি। কিন্তু ব্রিটেন থেকে চেক প্রজাতন্ত্র, নরওয়ে থেকে স্পেন ইয়োরোপের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। খাবারের মাধ্যমে এই জীবাণু সংক্রামিত হয়। রাশিয়া ও বেলজিয়াম ইতিমধ্যেই জার্মানি আর স্পেন থেকে শাকসব্জি আমদানি বন্ধ করেছে। আতঙ্ক বাড়ছে। |
ওয়াশিংটন |
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আই ই এ) জানিয়েছে, গত বছর শক্তি সংক্রান্ত কার্বন নিঃসরণের মাত্রা সর্ব্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০০৯-এ বিশ্বব্যাপী মন্দার জেরে কার্বন নিঃসরণ কমেছিল, কিন্তু এ বার তা আবার বেড়েছে। সেটা ২০০৮-এর রেকর্ড-এর থেকেও ৫% বেশি। বৃদ্ধির জন্য সব থেকে বেশি দায়ী ভারত ও চিন। ২০১০-এ শক্তি প্রকল্পগুলিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়েছে রেকর্ড ৩০.৬ গিগাটন। |
শেষ পাত |
পূর্ব চিনের আনহুই প্রদেশের সতেরো বছরের ছেলে শিয়াও ঝেং। বাড়ির অবস্থা সাধারণ। কয়েক দিন বেড়াতে গিয়ে সে যখন একটা আইপ্যাড টু কিনে বাড়ি ফিরল, তার মা খুব অবাক। ‘টাকা পেলি কোথায়?’ প্রথমে বলতে চায় না কিছুতেই। অনেক চাপাচাপির পরে শিয়াও জানাল, নিজের একটি কিডনি বিক্রি করে দিয়েছে সে। ভাল দর পেয়েছে, প্রায় চার হাজার ডলার। আসলে আইপ্যাডটা না কিনলে তার চলছিল না। কিন্তু কিডনি কিনল কে? ছেলের কাছ থেকে তাদের ঠিকানা, ফোন নম্বর নিয়ে অকুস্থলে পৌঁছলেন অভিভাবকরা। কাউকে পাওয়া গেল না, বলা বাহুল্য। |
|
|
|
|
|